মাথা
ঝিম ঝিম করে। চোখের সামনে অন্ধকার। যেন কানামাছি ভোঁ ভোঁ। আমাদের
দৃষ্টিসীমা নাকি ছয় কিলোমিটার। আমার চোখের সামনে, যেটুকু দেখতে পাচ্ছি তবে কী ওটা ছয় কিলোমিটার
রাস্তা! কে জানে... শুধু রাস্তাটাই দেখা যায় আর একটা সোঁ সোঁ শব্দ। যেন
একঝাঁক মৌমাছি একসাথে গুনগুনিয়ে ভনভানিয়ে চলেছে চলেছে দুই কান জুড়ে, মাথা জুড়ে।
রাস্তাটাও কী অদ্ভুত সোজা! কোথাও কোন বাঁক নেই। সোজা, একদম সোজা চলে গিয়ে
যেন ঢুকে পড়েছে এক সুড়ঙ্গে। হুঁ। সুড়ঙ্গই তো। ওই তো। শেষমাথায় তো একটা
সুড়ঙ্গই দেখা যায়...
বেনজির ভুট্টোকে যারা মেরেছিল তারা নাকি আত্মঘাতী হামলাকারী। কী করে মানুষ আত্মঘাতী হয়? আমার মাঝে মাঝেই ইচ্ছে করে নিজের শরীরে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে একটা বোমা জড়াই। গোটা শরীরে বিষ্ফোরক। না না। কেউ কাছে এসো না। উড়িয়ে দেব আমি। সত্যি বলছি। ঠিক উড়িয়ে দেব আমি সব, সবকিছু। কিন্তু আমি তো বোমা বানাতে পারি না। কেউ আমায় একটা বোমা বানিয়ে দেবে?
কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। গাড়ি ছুটে চলে সাঁই সাঁই, সাঁই সাঁই। বাউল আব্দুল করিম বলেন, গাড়ি চলে না, চলে না চলে না রে। ভুল ভুল। ওই তো অগণিত গাড়িরা সব ছুটে চলেছে অবিরাম, নিরন্তর। সাঁই সাঁই, সাঁই সাঁই। শ্যামসুন্দর। শ্যাম আবার কবে সুন্দর হল? সুন্দর তো রাধা। তবে কেন শ্যাম ছুটে ছুটে যায় গোপিনিদের কাছে? কে জানে.. কে জানে.. বাউলে কয়, বনমালী তুমি, পরজনমে হইও রাধা । পরজনম? ধুসস...
ঠান্ডা লাগে। শীত করে প্রচন্ড। শরীরের সব রক্ত যেন হিম ঠান্ডা হয়ে নেমে যাচ্ছে পায়ের দিকে আর তারপর বেরিয়ে যাচ্ছে আঙুলের ডগা দিয়ে, নখের কোণা দিয়ে। আমার দরজা জানালায় রশুনের মালা। ভ্যাম্পায়ারেরা রশুনের গন্ধ সইতে পারে না। তবু প্রতি রাতে ভ্যাম্পায়ার আসে। ওদের দাঁতে, নখে রক্ত, ঠোঁটের কষ বেয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ে। আমি পড়ে থাকি নির্জীব, নি:স্তব্ধ হয়ে। জানালার পর্দারা কাঁপে থিরথির। জানালার কাঁচে জলের খেলা, যেন রাধা নাচে যমুনাতীরে। আমার শীত করে, ভীষণ শীত।।
জলের উপরে বাড়ি বানায় কারিগর। চৌকো চৌকো খোপ খোপ। পুকুর আর পুকুর থাকে না। খোপ খোপ হয়ে যায়, চৌকো চৌকো সব খোপ। না না পায়রার খোপ নয়। ওটা তো বাড়ি! মানুষ থাকবে ওতে। জলের উপর বসত। কি ঘর বানাইলাম আমি শূন্যের মাঝার। গানেরা শুধু বদলায় না। যেমনটি ছিল তেমনটিই থেকে যায়...
আমার ঘুম আসে না...
চোখ শুধু বুজে আসে আপনা থেকে। শীতল স্রোত বয় শরীর জুড়ে। অন্ধকার শহর জুড়ে সার সার বাতি। হিম বাতাস বয় চরাচর জুড়ে... আমার ঘুম আসে না... ভাল লাগে না...
বেনজির ভুট্টোকে যারা মেরেছিল তারা নাকি আত্মঘাতী হামলাকারী। কী করে মানুষ আত্মঘাতী হয়? আমার মাঝে মাঝেই ইচ্ছে করে নিজের শরীরে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে একটা বোমা জড়াই। গোটা শরীরে বিষ্ফোরক। না না। কেউ কাছে এসো না। উড়িয়ে দেব আমি। সত্যি বলছি। ঠিক উড়িয়ে দেব আমি সব, সবকিছু। কিন্তু আমি তো বোমা বানাতে পারি না। কেউ আমায় একটা বোমা বানিয়ে দেবে?
কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। গাড়ি ছুটে চলে সাঁই সাঁই, সাঁই সাঁই। বাউল আব্দুল করিম বলেন, গাড়ি চলে না, চলে না চলে না রে। ভুল ভুল। ওই তো অগণিত গাড়িরা সব ছুটে চলেছে অবিরাম, নিরন্তর। সাঁই সাঁই, সাঁই সাঁই। শ্যামসুন্দর। শ্যাম আবার কবে সুন্দর হল? সুন্দর তো রাধা। তবে কেন শ্যাম ছুটে ছুটে যায় গোপিনিদের কাছে? কে জানে.. কে জানে.. বাউলে কয়, বনমালী তুমি, পরজনমে হইও রাধা । পরজনম? ধুসস...
ঠান্ডা লাগে। শীত করে প্রচন্ড। শরীরের সব রক্ত যেন হিম ঠান্ডা হয়ে নেমে যাচ্ছে পায়ের দিকে আর তারপর বেরিয়ে যাচ্ছে আঙুলের ডগা দিয়ে, নখের কোণা দিয়ে। আমার দরজা জানালায় রশুনের মালা। ভ্যাম্পায়ারেরা রশুনের গন্ধ সইতে পারে না। তবু প্রতি রাতে ভ্যাম্পায়ার আসে। ওদের দাঁতে, নখে রক্ত, ঠোঁটের কষ বেয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ে। আমি পড়ে থাকি নির্জীব, নি:স্তব্ধ হয়ে। জানালার পর্দারা কাঁপে থিরথির। জানালার কাঁচে জলের খেলা, যেন রাধা নাচে যমুনাতীরে। আমার শীত করে, ভীষণ শীত।।
জলের উপরে বাড়ি বানায় কারিগর। চৌকো চৌকো খোপ খোপ। পুকুর আর পুকুর থাকে না। খোপ খোপ হয়ে যায়, চৌকো চৌকো সব খোপ। না না পায়রার খোপ নয়। ওটা তো বাড়ি! মানুষ থাকবে ওতে। জলের উপর বসত। কি ঘর বানাইলাম আমি শূন্যের মাঝার। গানেরা শুধু বদলায় না। যেমনটি ছিল তেমনটিই থেকে যায়...
আমার ঘুম আসে না...
চোখ শুধু বুজে আসে আপনা থেকে। শীতল স্রোত বয় শরীর জুড়ে। অন্ধকার শহর জুড়ে সার সার বাতি। হিম বাতাস বয় চরাচর জুড়ে... আমার ঘুম আসে না... ভাল লাগে না...
০২-০২-০৮
4 comments:
ডায়রীর পাতাটিকে আলগোছে হাতে তুলে নিলাম সামরান। আমার কিন্তু পড়তে-পড়তে শীতল হচ্ছে দেহ, এই দহনেও মন বলছে- সত্যি, 'গানেরা শুধু বদলায় না। যেমনটি ছিল তেমনটিই থেকে যায়...
কি করে এমন লেখো গো?
এবার একটা ভিন্নকথা। এ'ঘরের অন্য লেখাপত্র বুঝি পড়বে না... বলবে না? তোমায় পেয়ে আমি উত্ফুল্ল্ কন্যে। সে কারণেই অপেক্ষা, সে কারণেই বলা।
মঞ্জু,
বেশি প্রশংসা কোরো না, বার খেয়ে যাচ্ছি কিন্তুঃ-)
অন্যকথা, ভিন্নকথা-
কিছু লেখা তো পড়ছি, এই পাতা, তোমার এই মনফসল আমার বুকমার্ক বারে, একখানা ক্লিকেতেই খুলে যায় এই দরজা। কাজেই এক এক করে পড়ছি। হ্যাঁ, কিছু বলা হয়ে উঠছে না, তবে বলব তো বটেই।
আরেক পিস ভিন্ন কথা। আমাকে পেয়ে তুমি উৎফুল্ল জেনে আমি সত্যিই আপ্লুত।
কি জানো তো, এই পুরনো লেখাগুলো, যেগুলো চাপা পড়ে গেছে পুরনো বলে, সেগুলো আবার করে নিজে পড়ছি। সব ক'টা লেখাই ত এক একটা সময়ের খণ্ডচিত্র, আবার করে পড়ার ফলে যাপিত সেই দিনে -যে দিনে, সময়ে এই ভাবনাগুলো এসেছিল, আকার পেয়েছিল শব্দেরা, সেই সময়টায় যেন পৌঁছে যাচ্ছি। এ যেন একটা টাইম মেশিন। মজাটা হচ্ছে, আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সেই সময়টায় পৌঁছে গিয়ে একজন তৃতীয় ব্যক্তির মত করে দেখতে পাচ্ছি সব। অন্য অর্থ, অন্য রকম লাগছে সেই সময়কালকে।
তোমাকে থ্যাঙ্কু বলব না এই দরজাখানি খুলে দেওয়ার জন্যে, শুধু জেনো, না দেখে-জেনে-চিনেও অনেক কাছের একজন হয়ে গেছ..
বাহ, প্রতিমন্তব্যও সুন্দর। কে বলল আমরা পরস্পরকে জানিনা... চিনিনা? এ'ভাবে নাহলে একসুরে বাজতাম?
সম্মুখ যোগাযোগের দরকার নেই সামরান, এই বেশ। এই বায়বীয় বন্ধুত্বের অকল্পনীয় জোর্- দেখা হলে এই সৌরভ হাওয়ায় মেলায় যদি!
না বাবা, আমি দৃশ্যতঃ অনেক হারিয়েছি। এই অদৃশ্যতা আমার খেলা, আমার কল্পনা। আমি কল্পনায় তোমাদের আঁকি। এটা বিলাস বলতে পার। একে এমনি করেই সামলে নিয়ে চলব, প্রত্যাশাহীন থাকব। তা'তে আমার চেতনপথে হয়তো সবার ভালটুকুই থাকবে।
উপস্থাপনাটা বেশ সুন্দর।
শুভকামনা থাকল।
Post a Comment