মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী
কৈফিয়ত্?
কার কাছে- কে আছে অপেক্ষায়? এ’ শুধু
নিজের সঙ্গে কথা বলতে আসা, বুকের আনাচ-কানাচের দমধরা কথাকে মুক্তি দিয়ে দম নিতে
চাওয়া। অনেকদিন এ’ মহল্লায় ঘুরে বুঝেছি, কেউ কারুর জন্য
এখানে আসেনা... থাকেনা... নেই। যে আসে, সে আকাশপথে বেড়াতে বেরিয়ে এসে পড়ে, তা সে
ফেসবুক হোক্ বা ব্লগর-ব্লগর। কেউ-কেউ বন্ধুভাবাপন্ন আছে ঠিকই, লেখাপত্তর-ছবিটবি
আসে- কিন্তু নিজেকে যাচাতে তারা যত উদগ্রীব, তত নয় অন্যের প্রতি উত্সাহী। ভার্চুয়াল
ফিল্ডটা বোধহয় এমনই- হাতে আছে ‘ষোলো’
পয়েন্টের তাস অথচ তা নিয়েই ‘আছি, আছি’-র
হেঁকে যাওয়া ‘উনত্রিশ’ অবধি। আজকে যে’জন খুব কাছিয়ে কথা বলছে বা তর্ক-বিতর্কের পরিমন্ডল তৈরী করছে, যাকে দেখে
আশা তৈরী হচ্ছে- সেও হঠাত্ দুম করে হাওয়া হতে পারে, হতেই পারে আনমনা। কেন? কেননা
তার কোনো দায় নেই, বন্ধন নেই। বন্ধুত্বের এটা কোন শর্তই না, এটা কোন বন্ধুত্বও না।
এ’ যেন বায়বীয় একটা ভূতভূতুড়ে দশা। দায়বোধহীন থাকা যায় বলেই
কি এমনি করে মিলোয়? ভূতের মত!!! হ্যাঁ তাই। যেমনি মিলিয়েছিলাম আমি! যে যার খুশীমত আমরা
কখনো আসি, কখনো আসিনা। নিজের কাজ সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখলেও, অন্যের কাজ দেখিনা। হয়তো লেখাও
পড়ি, বলিনা। তবে আর আছি কেন, এখানে আসি কেন? নেট যদি নিজেকে প্রোমোট করার প্ল্যাটফর্ম
হয়, তবে সেটাই তো নির্লজ্জের মত করতে পারি। তাইনা? সার কথা এই বুঝলাম, কেউ নেই কোত্থাও,
কিচ্ছু নেই। এই ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ায় আমরা আসলে বেড়িয়েছি ‘আমার’ই খোঁজে, ‘আমার’ই অস্তিত্ত্বের
অনুসন্ধান। সাতঘাটের জল খেতে-খেতে মরচে পড়া ইগো আর তুবড়ে যাওয়া ব্যক্তিত্বের খোঁজ।
সেই ‘আমি’টা অন্যের মনোযোগ পেলে আত্মকরুণা
কেটে যাবে, অপাঙতেয় অস্তিত্ত্ব অক্সিজেন পাবে, চনমনিয়ে উঠে বেঁচে আছি ভাবাবে। এর
দাম কি কম? এই ভুল, মিথ্যে, এই ঠকানো্র সঙ্গে সময় কাটাতে-কাটাতে বিশ্বস্ত কতকিছুই যে
হারাই...
ভেবে
নিয়েছি- আমিও এবার অন্যদের মতন হবো্। দেখবো, শুনবো, পড়বো... বলবো না। এই ব্লগের
নামকরণে আমার চাহত্ তো জানিয়েই রেখেছি। publishedactivity.blogspot.com
আসলে জাতে মাতাল হলেও আমি তালে ঠিক কিনা! সঙ্গে কেউ থাক্ বা না থাক্
আমি আমার একার সঙ্গেই থাকবো। তবে সবার সাথেই চলতে আমি চেয়েছিলাম, এতে কোন ভুল নেই।
একটা প্রবাদ আছে না, ‘মনের কথা মুখে, লোকটা পাগল বটে- মনের কথা মনে,
লোকটা সুজন বটে।‘ আমি মনের কথা মনে না রেখে বলে ফেললাম, হয়তো
সুজন আর থাকলাম না। কি আর করার, খারাপ লাগলেও মেনে নিতে হবে- আমি পাগল, আমি পাগল। অস্তিত্বের
ওপর অতি আবেগ চেপে বসলে সে তো পাগলই- তাইনা?
8 comments:
soliloquy porteo bhalo laglo Manjushree! mon kharap korona ,,,er nam jibon ... amio tomar moto "ekla cholore" te bishwas kori!
প্রিয় ইন্দিরা, কোথাও দিয়ে তুমি ‘কৈফিয়ত’-এর সঙ্গে রিলেট করলে, ব্যাস, আপাততঃ আমার এটুকুতেই হবে। এই দুর্ভোগের যন্ত্রণা তোমার পাবারই কথা... কেননা তুমি একে সৃষ্টিশীল, তায় প্রতিভায় বহুমুখী। খুব ভাল লাগল তোমায় পেয়ে।
তোমার লেখাপত্র পড়ছি, পড়েছি... আনন্দবাজারে, সকালবেলায়। এবার একটা আর্জি ইন্দিরা... সম্ভব হলে সাহায্য কোরো। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি প্রায় দিন কুড়ির জন্য প্রোগ্রামে আন্দামান গিয়েছিলাম। ওরই কাছাকাছি সময়ে ‘সকালবেলা’র ‘ঘুরে আসি’ বিভাগে আমার একটা লেখা বেরিয়ে গেছে যার কোন ইন্ফর্মেশন ছিলনা, এমনকি একটা কপিও আমার কাছে নেই। দপ্তরে ফোন করলে ‘দিচ্ছি-দেব’-র তালবাহানায় দিন যাচ্ছে, বুঝছিনা কি করবো। প্রতি বৃহস্পতিবার এই ভ্রমণ পাতাটি থাকে, তবে কোন বৃহস্পতিবার ওটি বেরিয়েছে তাও আমি জানিনা। তুমি কি পত্রিকাটা নাও? লেখাটি নজরে পড়েছে? জানিও প্লীজ।
কেমন আছ দিদি?
খুব ভাল রে ভাই, তুমি কেমন?
জেনেছি ইন্দিরা, ওটা ছিল জুলাই মাসের 26 তারিখ। ও'সময় আমি আন্দামান না- অমরনাথ-এ ছিলাম। এত পুরোন... কি করে যে পাই!!!!
এইত আছি। আমাদের এলাকাতে ফ্লাইওভারের কাজ হচ্ছে, তাই ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করতে পারছি না। মোডেমই ভরসা। ইদানিং এম্নিতেই নেট এ কম বসি।
Manjusree
Sakalbela lekha select kore ba publish korar age janai na go.... but ami web e follow kori kagojti... tai amar lekha berule jante pari... tobe tomar lekhati miss kore gelam je...seta baddo dukkher...oi somoy amader prog. er jonyo byasto chhilam ...tumi oder office e physically giye dekhte paro... they can help you....
indira
পেয়ে গেছি ইন্দিরা... আজই। ইচ্ছে হলে পড়ে দেখতে পারো।
Post a Comment