স্বপ্ন-7
চন্দন রায়চৌধুরী
‘মনফসল’-এ একটা
স্বপ্ন বলে ঘর আছে, যেখানে আমার স্বপ্নটা না লিখে পারছি না। এটা কাল ভোরবেলায়
দেখেছি।
আমি হটাত্ একটা টান অনুভব
করছিলাম, যেন জামার বুকের কাছে একটা হাওয়ার হাত আমাকে টানছে। আমি বলছি যাচ্ছি
যাচ্ছি... সঙ্গে সঙ্গেই ডানদিকে শার্টের হাতায় একইরকম টানের অনুভব। মনে কিন্তু কোন
ভয় বা অদ্ভুত লাগার ব্যাপার নেই। আমি বরঞ্চ স্বাভাবিক ভাবেই বলে চলেছি- এইতো
যাচ্ছি। কাকে যে বলছি কেজানে। শেষে হাওয়ার হাত আমায় টানতে টানতে যেখানে নিয়ে গেল,
সেখানে দেখি বছর সাতেক আগে মারা যাওয়া আমার রাঙা জ্যাঠামশায়ের ছবি। পাশে আরেকজন, কিন্তু
তার মুখটা অস্পষ্ট। ঐখানে পৌঁছে দিয়ে হাওয়ার টান ছেড়ে গেল, আমি বসলাম আর ঘুমও
ভেঙে গেল।
যতক্ষণ স্বপ্নে ছিলাম কোনো
অস্বস্তিবোধ ছিলনা। অথচ ঘুম ভাঙার পর থেকে একটা ঘোরের মধ্যে কাটছে। যেহেতু এই
স্বপ্নের একটা বিশেষত্ব আছে অথচ ব্যাখ্যা নেই।
রাঙা জ্যাঠামশাই যে আমার
প্রিয় মানুষ ছিলেন ব্যাপারটা তা নয়। তবে হ্যাঁ, ওঁনার আট/দশটি ছেলেমেয়ের মধ্যে
সবাইকে একদম চাবুক করে তৈরী করেছেন। শিক্ষায়, সাফল্যের হিসেবে, মানবিকতায় তারা
প্রত্যেকে উল্লেখযোগ্য। ওদিকে আমি একমাত্র সন্তান হয়েও একাই বড় হয়ে উঠেছি, ঠকে
ঠকে জীবন সম্পর্কে শিক্ষা একাই শিখেছি। কেননা মা ছিলেন একদিকে কোরিওগ্রাফার ও
ইউনিভার্সিটির প্রফেসর আর বাবা মিউজিক ডিরেক্টর। জ্ঞান হয়ে থেকে আমি রান্নার মাসী,
কাজের দিদি, ড্রাইভার এদেরই দেখেছি, ওদের হাতেই বড় হয়েছি। ঠাকুমাই খালি মারা
যাবার আগে বছর তিনেক আমাদের বাড়িতে ছিলেন, সেই স্মৃতিটা খুব ঊজ্জ্বল। কিন্তু
তাঁকে স্বপ্নে কখনো দেখলাম না।
কেন যে স্বপ্নে হাওয়ার টান
ছিল, কেনই বা একমুখী না থেকে সেটা কখনো সামনে কখনো পিছনে টানছিল, কেনই বা
জ্যাঠামশায়ের ছবির সামনে যাবার পর টানের হাত থেমে গেল... কিছু বুঝছি না, সব গোলমাল
হয়ে যাচ্ছে।
তবে কি জীবন একদিকে টানছিল
অন্যদিকে মৃত্যু ডাকছিল? নাকি জাগ্রত বাস্তব হতাশার ছায়াছবি এটা? মৃত্যু কি
শান্তির রূপ? আমি কি সেখানে বসেছিলাম? তবে ঠাকুমা না হয়ে জ্যাঠামশাই কেন?
স্বপ্ন-6
মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী
সকাল
ছ’টা, ঘুম ভেঙে গেল। আজ ক্লাশ নেই, তাই
সোফায় গিয়ে ফের ঢুপ্পুস। কি্ন্তু এমনই এক স্বপ্ন এলো, জেগে উঠে তারপর বসেই রইলাম-
কতক্ষণ।
একটা
এক্সটার্নাল হার্ডড্রাইভ নিয়ে যাবার দরকার পড়েছিল... কোথায় জানিনা... কেন
জানিনা... যাচ্ছিলাম। মনে-মনে জানি ওটা হার্ডডিস্ক, অথচ দুধের ক্যান যেমন আংটা ধরে
নেয়, তেমনই আংটাটা আঙুলে গলিয়ে হাঁটছিলাম। আমি বুলবুল, বোন টুলটুল (মাসতুতো) আসছিল
গাড়ি চালিয়ে পিছনে। কি আশ্চর্য্য, আমি হেঁটে যাচ্ছি, অথচ যচ্ছি ওর আগে। হঠাত্ই
মনে হল- আরে হাতের জিনিসটা বড্ড ভারী, খামোকা আমি হাঁটছি কেন? পিছু ফিরে ডাকলাম- ‘টুলটুল, টুলটুল, থাম আমি যাব্।’ আজব ব্যাপার, আমি পিছু ফিরে ওর দিকে যাচ্ছি, ও আসছে আমার দিকে অথচ দূরত্ব
বাড়ছে... বাড়ছেই। আমার রাগ হচ্ছে... ছুটছি... পৌঁচচ্ছি না। বুঝতে পারছি ও-ও
চেষ্টা করছে... আপ্রাণ। এমন সময় এগোতে-এগোতে ডানে একটা লেন পেয়ে ওর গাড়ি সোজা
ওদিকে ঢুকে গেল। মূহুর্তের মধ্যে আমিও। গলিতে পুরনো দিনের লালচে আলোর মরা-মরা
ছায়া- কেমন যেন চেনা। সোজা রাস্তায় বেশ রোদেলা সকাল ছিল, কিন্তু এখানে... তা যাই
হোক্, টুলটুল গাড়ি ডানদিক চেপে পার্ক করতে গেল আর বেশী চেপে গিয়ে গাড়ি নর্দমার
জলে ফোয়ারা তুলে একটু এগিয়েই দাঁড়িয়ে গেল ভোঁস্ করে। এবার এগোন-পিছনোর কথা বলতে যাব,
দেখি ও নিজেই এ্যাকসিলেটর রেজ্ করে গাড়ি পিছিয়ে নিচ্ছে। যে জল ছলকাচ্ছে, তা
পুতিগন্ধময়, বিষকালো নোংরা। হঠাত্ই দেখি কোথা থেকে সেই জল ঊচ্ছ্ল-উচ্ছৃত হযে পুরো
গাড়িটাকে ঢেকে দিল। গাড়ির অস্তিত্ত্বহীন ও জায়গাটা এখন শুধুই আস্ফালন, জলের,
কালচে স্রোতের, গন্ধের। বুঝতে পারছি, ক্রমাগত গাড়িকে আগে-পিছে নেবার চেষ্টা করে
চলেছে ও। কারণ জলের স্রোত ও ঠেউ-এর লাফালাফি ক্রম-বর্ধমান। কিন্তু কিছুতেই কিছু
হচ্ছে না। খেয়াল করেছিলাম জানলার কাচ নামানো ছিল্। গাড়ির মধ্যে এখন জল ঢুকে
নিশ্চই... ওফ্, ভাবতে পারছি না। কি হল টুলটুলের? কি করব আমি? লোক কোথায়? গাড়ি
ঠেলতে গেলেও তো আরেকজন চাই। দমবন্ধ করে ভিতরে কি করছে টুলটুল? পাগলের মত ছুটছি।
এসে পৌঁছলাম এক ডাক্তারখানায়। ভিড় করে ডঃ-কে ঘিরে বসে আছে কয়েকজন (যা মোটেই কখনো
দেখিনি, দেখিনা)। আমি প্রশ্ন করার সুযোগ না দিয়ে প্রায় টানতে-টানতে একজনকে ধরে
আনলাম সেই লেনে। কিন্তু কোথায় গাড়ি, কোথায় জল? আমি থম ধরা বুকে বাঁদিকে তাকিয়ে
দেখি টুলটুল একটা বড় হাতা দিয়ে জিভ ছুলতে-ছুলতে আসছে আর গাড়িটা খেলনা গাড়ির মত
রং চটে, পচে প্রায় গলে গিয়ে, দ হযে দাঁড়িয়ে আছে দূরে।
কত
কথা জানা হল না, একবুক প্রশ্ন নিয়ে ঘুম ভেঙে গেল আমার। ইচ্ছে হল ফের স্বপ্নে ফিরে
ওর উদ্ধার পাওয়া গল্পটা শুনে আসি, ওর অস্থিরতার পাশে বসে আসি দু’দন্ড।
-------------------------------------------------- স্বপ্ন 5
মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী 25.06.11, দুপুর আড়াইটে
কি হয়েছে কি জানি ক’দিন কিচ্ছু লিখতে পারছি না। ভাগ্যিস স্বপ্নটা এলো, কিছু তো লেখার জন্য তবু পেলাম। অদ্ভুত।
আমি, আমার মা, নবু আর ভুচু বাড়ি যেতে চাই নদী পেরিয়ে অথচ হাঁটাপথে বাড়ি কাছেই। কি করব, ওটা স্বপ্নময় ইচ্ছে.... ওটা খেয়াল… দাম তো তার দিতেই হবে। তো যেখানে স্টিমার এসে ভেড়ে, সেই জেটিঘাট থেকে নদীর উত্তাল ঠেউএর সঙ্গে গা ভিজিয়ে মন ভিজিয়ে চারজনেই জলে ঝুপ্পুস। পাশ দিয়ে স্টিমার যাচ্ছে ঘুচঘুচ শব্দে দিব্যি ধোঁয়া উড়িয়ে.... কিন্তু কিজানি কেন আমরা যাচ্ছিনা, আমরা যাচ্ছি সাঁতরে। বাস্তবে অথচ আমি ছাড়া বাকীরা সাঁতার জানেনা। কিন্তু স্বপ্ন বোধহয় এ’জন্যই মধুর... যা নয়, যা নই তার সঙ্গে মুলাকাত্ ঘটায় মনে রোদ্দুর জ্বেলে!!!!! তা যা হোক্, এবার তো সাঁতারাচ্ছি। আমার মা, আর ভুচুর মা মানে নবু দেখি ফ্রিস্টাইল স্ট্রোকে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক পথে আর ভুচুবুড়ো নদীর লম্বাই ধরে কেজানে কোন পথে চলল। আমি একদম শেষে সাঁতারাচ্ছি, তাই সবটা দেখে ভুচুকে ডাকতে-ডাকতে ওরই দিকে চললাম। কিন্তু সে ছেলে শুনতেই পায়না, বরং স্পীড বাড়িয়ে জোরসে চলেছে। একটু এগিয়েই দেখি বালিয়ারী... ডাঙা। বাধ্য হয়ে দু’জনকেই উঠতে হল। কাছে গিয়ে দেখি ওমা, ভুচু কই! এতো অন্য কাদের মেয়ে.... হলুদ ছিটের ফ্রক পড়া। এ’বার শুরু হল আমার দৌড়। দৌড়চ্ছি, দৌড়চ্ছি.... আমাকে জেটিঘাটে পৌঁছতেই হবে। আমি ডাঙায় উঠেই যেন বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলাম, তবু মনের মধ্যে চলছে আমি ভুল করেছি, ভুল করেছি। ভুচু নিশ্চই মা-দের সঙ্গেই.... আমি ভুল করেছি।
দৌড়চ্ছি, দৌড়চ্ছি.... দৌড়তে-দৌড়তে যে ঘাটে এসে পৌঁছলাম, সেটা একদম অপরিচিত, আগে দেখিনি। পাড় থেকে অনেক নীচে জলের সীমানা। দেখি ওপর থেকে সেখান অবধি দড়ির সিঁড়ি নেমে গেছে। আমি এরপর সিঁড়িকে পাকড়ে ধরে ল্যাগব্যাগ করে ঝুলতে-ঝুলতে ঠিক মাঝ বরাবর এসে যেই ডাইভ দেব ভাবছি, তাকিয়ে দেখি জলের মধ্যে এলোমেলো নুড়ি-পাথরের মিশেলে জেগে আছে ছোট-বড় পাহাড়-পাহাড় এলাকা। আমি তবু নীচে নামতে চাইলাম। ভাবলাম ডাইভ না দিয়ে নাহয় সাঁতরে... পাশ কাটিয়ে.... এবার দেখি ঐ সিঁড়ি বেয়েই আরেকটি মেয়ে নেমে আসছে.... সে চেঁচিয়ে-মেচিয়ে বলল
‘যেও না যেও না... এই ঘাটটা পরিত্যক্ত‘
‘তা তুমি আসছ যে...’
‘আমার অন্য কাজ‘
‘এখন কি করি?‘
‘যেমন এসেছ, তেমন ফেরত্ যাও।‘
‘কেন গো? আমি কি পাশ কাটিয়ে, সাবধানে.... পারিনা? সাঁতরে....‘
‘পাগল? দেখতে পাচ্ছ না পাশের ঘাটটা? ওখানে যাও।‘
তাকিয়ে দেখি পাশের জেটিটাই সেই আগের জায়গা। এবার ফের হাঁচড়-পাঁচড করে দুলতে থাকা দড়ির সিঁড়ি বেয়ে-বেয়ে ওপরে প্রায় মুখ অবধি পৌঁছে গেলাম। কিন্তু কি যে হল, শেষের দু’টো সিঁড়ি পেরনো গেল না। মন খারাপ, শরীরও খারাপ, ওপরে উঠতে পারছি না... কিছুতেই। এইসময় কিন্তু মনে মা-নবু-ভুচু আর কেউই নেই। সারাটা মন এখন একাগ্র সিঁড়ির শেষধাপে শরীরকে টেনে ওঠানোর নেশায়। চেষ্টা এবং চেষ্টা এবং তারপরেও না পেরে জুলজুল করে নীচে বয়ে চলা জল আর কুলকুল স্রোতের দিকে চেয়েচেয়েই হাল্কা হয়ে গেল ঘুম।
তখনো ভোরের আলো ফোটেনি, সকাল নয়। তাই ঘুম ভাঙতেই স্বপ্নকে জোড়া লাগাবার ইচ্ছে মনে নিয়ে ফের ঘুমোলাম ও স্বপ্নবেটা কিচ্ছু না দেখিয়ে ঘুম ভাঙাল যথা সময়েই।
স্বপ্ন 4
মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী 18.06.11, দুপুর পৌনে একটা
খুব বাজে, খুব বাজে। অবিশ্বাসী যে মানুষটার স্বার্থ সচেতন আচরণের জন্য বেঁচে মরে আছি, সে বোকা আজ স্বপ্বে হাজির ছিল একই মারণ অস্ত্র নিয়ে। শয়তানকে আমি সইতে পারিনা, না বাস্তব পৃথিবীতে না স্বপ্নে- বাধ্য হয়ে চলি। কেউ জানে না এই চলা, যে ঘৃণা ও মারায় প্রতিনিয়ত নিয়ে চলেছে তার ক্ষয় কতদূর, কষ্ট কতখানি। একে তো দায় বইছি, তায় বোঝার ওপর শাকের আঁটির মতন স্বপ্নেও গন্ধগি হাজির। সকাল হল নর্দমার পাশে ঘুম ভেঙে।
সত্যি আমি ঈশ্বরের অপ্রিয় সন্তান.... না হলে এ’ভাবে তিনি মারেন? স্বপ্নে-জাগরণে?
******************************************
স্বপ্ন-3
মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী 17.6.11 দুপুর পৌনে একটাস্বপ্ন-3
- ছাতাটা দাও তো বুলবুল, এখুনি বৃষ্টি এল বলে...
দরজার কাছে আমের থলিটা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে শ্বশুর চাইলেন। আমি বারান্দায় বেরিয়ে আকাশে তাকিয়ে দেখি সত্যিই বেশ সাজগোজ করে মেঘ ধেয়ে আসছে।
- ওসব পরে দেখো, তাড়াতাড়ি ছাতাটা দাও, বসিরহাট থেকে ইরফান এসেছে কাঁদি-কাঁদি তাল নিয়ে। কতদিন যে কচি তালশাঁস পাইনা.... বৃষ্টি নামলেই মিঞা সব গুটিয়ে-ফুটিয়ে পালাবে। টুকলু বাড়ি আছে তো?
শ্বশুর বলে যাচ্ছেন শুনতে-শুনতে আমি ছুট্টে গিয়ে ছাতাটা এনে দিলাম। উনি গ্যেট খুলে বেরিয়ে গেলেন। দরজা বন্ধ করে পিছু ফিরতেই আমার মনে হল- আচ্ছা শ্বশুর কেমন অন্যরকম না? দেখতে এ’রকম কি? মনে করবার চেষ্টা করলাম যখন মারা গেছেন তখন কেমন দেখতে ছিলেন? এই তো পেয়েছি। আমার পরিচিত সেই কোঁকড়া চুলের, ফোকলা দাঁতের.... আমিই তো কপালে চন্দনের ফোঁটা এঁকে দিয়েছিলাম।
এর সবটাই চলছে স্বপ্নের মধ্যে। এমন কি এই ঘরোয়া মানুষটাকেও আমি কখনো দেখিনি কিন্তু!!!! ছেলে বাড়ি আছে কিনা বা আমি জল, ছাতা, শাল এগিয়ে দেব, এমন অবস্থাই কখনো আসতে দেননি জীবনে। অসম্ভব স্বাবলম্বী, গেরেম্ভারী, অহংকারী মানুষটা শুধু মৃত্যুর আগের মাস দুয়েকই....
স্বপ্নের মধ্যেই এ’সব ভাবনা আমার... বেল বাজল স্বপ্নেই। দরজা খুলতেই শ্বশুর হাঁড়ি নিয়ে ঢুকলেন। তা’তে কিলবিল করছে দেখি কুচোকাঁচা মাছের পোনা। বসে পড়ে উনি মেছুয়াদের মতন এবার জল থাবড়াতে লাগলেন।
- বুঝলে বুলবুল, এ’ভাবে অক্সিজেন সাপ্লাই করতে হবে, নাহলে সব ক’টা মরবে।
আমার মনে হল না যে তালশাঁস আনতে গিয়ে এটা কোত্থেকে, ছাতাটা কই বা উনি দেখতে এমন বদলে গেলেন কি’ভাবে? বরং দেখলাম মানুষটাকে আমি শ্বশুর বলে দিব্যি গ্রহণ করছি। ইনি এঁনার ছেলের চেয়েও বয়সে ছোট, গায়ের রং মাজা, মুখে গ্রাম্য সারল্য। যা আমার শ্বশুরের ব্যাক্তিত্বের সম্পূর্ণ বিপরীত।
অথচ প্রশ্নবিহীন ভাল লাগা নিয়েই তো দেখি ঘুম ভাঙল। মনে না কোনো ভীতি, না কোন অন্য উচাটন। কি যে সব স্বপ্ন বুঝিনা। শুধু বুঝি ভাল লাগলেই হল। ভয়ের স্বপ্ন, উঁচু থেকে পড়ে যাবার স্বপ্ন, সাপের স্বপ্ন আমার একদম ভাল লাগে না....
যাই দেখি না কেন যেন আনন্দ পাই এমন ইচ্ছে থাকে বলেই কি? কিজানি....
*******************************************
মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী 10.6.11 বেলা সাড়ে দশটা
বেশ, কেউ যখন লিখছে না, এই বিভাগটা আমার একারই থাক্।
স্বপ্ন 2
কাল স্বপ্নে আমি রান্নাঘরে ছিলাম। ওমা.... হঠাত্ জানলা দিয়ে একটা বাঘ ঢুকে এলো। আমায় ভয় পাবার অবকাশ না দিয়ে বাঘ বাবাজীই দেখি ভিরমী খেয়ে জানলা দিয়ে ধাঁ। ঐ চকিত ঘটনায় আর বিদ্যুতের মত হলুদ প্রভায় মন যখন ভয় পাওয়ার হিসেবটা বুঝেছে, তখনই ছুটে গেলাম জানলায়। নীচে তাকিয়ে দেখি ডুয়ার্সের সেই নুড়িভরা সাদা বালির 'বালানদী', পুর্ণিমা চাঁদ মেখে শুয়ে আর শুখা সে নদীর বালিতে পা ডুবিয়ে বাঘবেটা চোখ তুলে দেখছে। ড্যাবড্যেবে, অবোধ, 'কেমন বোকা বানালুম' গোছের মুখোভাবের বাঘ আমায় দেখছে আর আমি তাকে। এমন সময় মা আর ভুচু হঠাত্ রান্নাঘরে। ভয়হীন যে সৌন্দর্য্যতে ফিদা আমি মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে ছিলাম, ওদের দেখে সঙ্গে-সঙ্গে তা উধাও তো বটেই বরং কি করে ওদের রক্ষা করি এই চিন্তায় পড়লাম। বাঁদিকে মুখ ফেরাতেই দেখি হলুদ শিখা, জানলা কিন্তু বন্ধ। ভাবলাম গ্যাস জ্বলছে... নেভাই। বাবা, গ্যাস কোথায়... বেটা বাঘ ফের ঘরে, লাফিয়ে বেড়াচ্ছে এই তাক, ঐ তাক, সিলিং....
হঠাত দেখি ওরা নেই, মানে মা আর ভুচু......
ফের আমি আর বাঘ। এবার আর মনে সৌন্দর্য্যবোধের লেশমাত্র নেই, শুধুই ভয়। অথচ পালাচ্ছি না, সেও জ্বালাচ্ছে না। আপন খেয়ালের দস্যিপনায় আমায় কাঁটা করে রেখে দিয়েছে। এমনি ভাবেই ধীরে ফিকে হল স্বপ্ন, ভোর হল। এই স্বপ্নটা ভারী মিষ্টি না? একফোঁটা তিতকুটে স্বাদ নেই। ঘুম ভাঙল যখন, মনে হল ছুঁয়ে এলাম কিশোরীকাল..... আয়নায় দেখতে ইচ্ছে করল নিজেকে।
একটা বয়সের পর এমন সুখী স্বপ্ন বড় কম আসে। জাগ্রত মনের ওপর দিয়ে সবরকম অনুভূতিই যে বয়ে যাবে এমন স্থিরতা নেই। কৈশোরের পর থেকে বেঁচে থাকা জীবনের দায় বইতে-বইতে সংগ্রহে অধিকাংশই জঞ্জাল। কিছু-কিছু তার না যায় ফেলা, না যায় রাখা। তবু জমার ঘরে বাড়তেই থাকে পুঁজি। এমনই দিনগুলোর কোনো এক ফাঁকে যদি এমনি হলুদ স্বপ্ন এসে বলে 'ভয় পাও বুলবুল, ভালবাসো....' তাকে তখন সাপ্টেজাপ্টে নিয়ে বাঁচি।
কিছুদিন পরেই স্বপ্নগুলো হারায়। তাই ধরে রাখতে এমনি করেই লিখে ফেলব। হঠাত্ কখনো চোখে পড়লে, পাঁক থেকে বেরিয়ে থাকা একডগা পদ্মকুঁড়ির মত যাতে আমায় তারা সাহচর্য্য দেয়, শুশ্রুষা দেয়, আকাঙ্খিত রাখে অনুক্ষণ।
স্বপ্ন 1
মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী 16.4.11 ভোর 5.13
উফ.... প্রাণপনে দৌড়তে-দৌড়তে শেষে ধরতে পেরেছিলাম 'তারা'টাকে। ধরতে না পেরে হাঁপাতে-হাঁপাতে যেই ভাবছি মরগে যা.... ঠিক সে'সময়েই নাকের ডগায় টুলটুল করে দুলে-দুলে তারাটার লোভানো চিকচিক..... হাত বাড়ালাম, ধরলামও.... ওমা কি এটা? কাল সকাল বেলা পাপুই ডাস্টবিন থেকে কুড়িয়ে এনেছিল যে 'নেড়ির ছানা', এটা সেটা যে। না, না এ' চাইনা.... আমার 'তারা'ই চাই। স্বপ্নের মধ্যেও মন দিব্যি কেমন 'তারা' আর 'ছানা'টাকে আলাদা করে চিনেছিল। 'তারা' কখনো সবুজ হয়? কিন্তু স্বপ্ন ওই রঙটাই দেখাচ্ছিল বলে না ছুটছিলাম। আমায় পেতেই হবে, সাজিয়ে রাখবো চৌব্বাচ্চায়। চৌব্বাচ্চায়? ওটা কি সাজাবার জায়গা? কিন্তু কি করব, স্বপ্ন যে সাজানোর ওটাই সেরা জায়গা বলে মনকে বোঝাচ্ছিল। এবার যেই পিছন ঘুরে দরজার কাছে যাচ্ছি, অমনি একটা চিল তারাটা আমার আঁচলে টুপ করে ফেলে দিয়ে উড়ে গেল কুয়াশায়। আহ্লাদে আমি মরি, মরি। কিন্তু বেটা পাজি পাপুয়ের সেই নেড়ির ছানা আমার হাত থেকে লাফিয়ে পড়েই সেটা নিয়ে দৌড়, দৌড়। কি যে রাগ ধরল.... ছুটছি, ছুটছি, হাঁপ ধরে গেছে- ছুটছি, তৃষ্ণায় ছাতি ফাটছে, আঁচল দিয়ে ঘাম মুছতে যেই কোমরের গোঁজ থেকে খুঁট খুলেছি, ওমা তারাটাই কিনা গড়িয়ে গেল.... স্বপ্নমন যুক্তি দিয়ে বুঝলোই না যে তারাটা পাপুইয়ের নেড়ির মুখে। আমি আবার নতুন করে....
খুঁজছি, খুঁজছি...... কদম গাছের মগডালে চড়ে, এক ল্যাম্পপোস্ট থেকে যে সারি দিয়ে তার গেছে অন্য ল্যম্পপোস্টে, সেই তারে ব্যালান্স করে বাইতে-বাইতে....
পেলাম না, কিছুতেই পেলাম না। তারারও পাখনা গজিয়েছে, রং বদলেছে, পিটপিট করে চাইছে আমার দিকে। চেহারাটা এখন পাপুইয়ের জন্মদিনে পাওয়া লাল-নীল-সবুজ আলোজ্বলা পেপার-ওয়েটটার মত। খুব ছুটছিলাম, ছুটছিলাম.... খালি ঢোঁক গিলছিলাম... তাই ঘুম ভেঙে গেল। নাঃ, হাতে পাইনি তারাটা, কিন্তু মনে দেখি কি প্রশান্তি। ভরপুর মনে 'পেয়েছি' এই তৃপ্তি নিয়ে চোখ খুলেছি। সকাল তখন হয়েই এসেছিল, তাই জল খেয়ে ফিরে আর শুলাম না। বাইরের ঘরে এসে কম্প্যু খুলে বসেছি.... লিখে ফেলছি..... আমার যা ছিরি, বেলা হলেই নয়তো সব ভুলেটুলে একশা।
14 comments:
খুব কিন্তু এবার রাগ ঘরছে আমার। স্বপ্নও বুঝি কেউ দেখেনা? কই, কেউ লিখছে কই?
সকাল 11.52
স্বপ্ন সবাই দেখে বটে...তবে তার বেশিরভাগই হয়তো দোষে ভরা তাই কেউ আর খোলসা করে বলতে চায়না...
অনভিপ্রেত স্বপ্ন যে আমিও না দেখি তা নয় দাদা। লিখব? তাহলে হয়তো অন্যেরাও....
কিজানি- পাঠকের যা মতিগতি, শেষে দেখলাম একা আমিই খাপ খুললাম, বাকীরা সব চেটেপুটে নিযে আমায় একই রকম আকাঙ্খিত রেখে ধাঁ। তখন?
আচ্ছা এই প্রসঙ্গে বলি, আপনাকে যে অথার হিসেবে ইনভিটেশন পাঠিয়েছি তা কি এ্যাকসেপ্ট করেছেন? সঙ্গে একটা মেলও.... একটু দেখে নিন, কেমন?
তুমিতো ভালই খাপ খোলো...তবে তোমার লেখা শ্লীলও নয় আবার ঠিক অশ্লীলও নয়। অনেকটা লুঙ্গি আর ম্যাক্সির মত...থেকেও না থাকার আনন্দ।
তোমার মেল দেখেছি এবং উত্তরও দিয়েছি,কন্ট্রিবিউটার এখনো হতে পারিনি তাই ডিস্টিবিউটার(মঞ্জুশ্রী)এর মাল পড়েই খুশি আছি...তবে কন্ট্রিবিউটার হয়েও তেমন কিছু কন্ট্রিবিউট করতে পারবো কিনা জানিনা...তোমার কাছে লেখাটা প্রায় খাবরের কাগজের মত...প্রতিদিন বেরোই...আর আমার কাছে কাগজের বিলের মত এক/দু মাস পরে আসে। তবে লেখা না পারলেও ছবি-ছাবা দিতেই পারি..
জানোতা ওই 'বনসাই' লেখাটা সেদিন টাইপ করবো ভাবলাম কিন্তু কিছুতেই খুঁজে পেলাম না, কোথায় যে হারিয়ে গেল...হয়তো পুরনো কাগজের সাথে চলে গেছে,খুব খারাপ লাগছে...ওটা লিখে আমার নিজের খুব ভাল লেগেছিল...তোমাকে দেখাতেও চেয়েছিলাম কারন টপিকটা তোমার কবিতা থেকেই পাওয়া...জানিনা আবার লিখতে পারব কিনা...
ইস্,বোঝাই যাচ্ছে আপনি আপনার লেখার প্রতি মোটেই মনোযোগী নন। কি নির্ব্বিকার উচ্চারণে 'হারিয়ে গেল' বলে ফেললেন। আমি বহু মূল্যবান জিনিস হারিয়ে যত না দুঃখিত হই, তার অনেকগুণ বেশী হই নিজের দু'কলম লেখা হারালে। মন উজাগর এই আনন্দকর্মকে স্বার্থপরের মত ছেইন্যাকড়া আঁকড়ানোয় আছি বলেই একটু-আধটু সেও আমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছে দাদা। এক কাজ করুন, সে'সব রাখতে একটা ফাইল, নিদেন একটা থলেও নাহয় সঙ্গে রাখুন। পরে যাতে থলি ছাড়লেই বিড়ালটি বেড়োয়। ইস্,খুব খারাপ লাগছে আমার।
তবে লেখালিখি নিয়ে আপনার ব্যাখাটা তুলনাহীন। 'তোমার কাছে লেখাটা প্রায় খবরের কাগজের মত, প্রতিদিন বেরোয়...আর আমার কাছে কাগজের বিলের মত এক/দু মাস পরে আসে।' দুর্দান্ত। এই মানুষ লিখতে পারেনা- তা আমায় বিশ্বাস করতে হবে!!!! হারানো-ফারানো জানিনা,এখুনি লেখা চাই- নাহয় তা শ্লেষাত্মকই হোক্।
তুমি ঠিকই বলেছ আমি লেখার ব্যাপরে একটু উদাসীন....আমি 'জ্যাক অফ ট্রেড মাস্টার অফ নান'...একটা নিয়ে পড়ে থাকলে হয়তো কিছু করা যেত....সব কিছু একসঙ্গে করতে যেয়ে গুলিয়ে ফেলি...লেখা ছাড়াও আমার কিছু হবি আছে যেমন ফটোগ্রাফি,গ্রাফিক্স ডিসাইনিং এবং আরো অনেক উল্টো পাল্টা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো হাবি...তাই আমার লেখার সংখ্যা খুবই কম।
তাছাড়া আমার লেখার একমাত্র মূলধন, জীবনদর্শন...সাহিত্য পড়াশুনা আমি করিনি বা এখনো করিনা, তবে সবকিছু একটু অন্য চোখে দেখার চেষ্টা করি এবং অনুভব করার চেষ্টা করি আর কখনো সখনো সেগুলই লেখার চেষ্টা করি। কবিতা,গল্প,উপন্যাস ওসব লিখতে গেলে একটু ভাষা/সাহিত্য চর্চা বা জ্ঞান লাগে ওটা আমার একদম নেই, তাই শুধু হাসিঠাট্টাকে সম্বল করে কত আর লেখা যায়...
কি ভাবে পোস্ট কারা যাবে জানালে না বা কন্ট্রিবিউটার এর রিকোয়েস্টও আরতো পাঠালে না...
ওমা, পাঠালাম তো.... আপনি বললেন আপাততঃ কন্ট্রিবিউটার নয় ডিস্ট্রিবিউটার থাকি, পরে নাহয়.....
বারবার মঞ্জুর রিকোয়েস্টে মন না দিলে সে তো হারাবেই, কালের নিয়মে মেলঘরে তা ক্রম-অবনতি নিতে-নিতে চোখের আড়ালে যচ্ছে। এবার কিন্তু ইনভিটেশন পাওয়ামাত্র এ্যাকসেপ্ট করুন। নাহয় আপাততঃ পোস্ট না দিলেন কিন্তু গ্রহণ তো হয়ে থাক্। আমি এখুনি পাঠাচ্ছি, মেল ঘর দেখুন।
স্বপ্ন2-
তোমার মিষ্টি স্বপ্নের ভাগ দেবে মঞ্জু? খুব অন্যরকম, যদিও প্রশ্ন কতটা কল্পনা, কতটা....।
"কৈশোরের পর থেকে বেঁচে থাকা জীবনের দায় বইতে-বইতে সংগ্রহে অধিকাংশই জঞ্জাল।
কিছু-কিছু তার না যায় ফেলা,না যায় রাখা। তবু জমার ঘরে বাড়তেই থাকে পুঁজি।"
এটাই তো বিসুখ...সুখও নয়,অসুখ নয় - অথচ জমার ঘরে বাড়তেই থাকে পুঁজি...
আমি এই বিসুখ নিয়ে একটা লিখেছি,কিন্তু্ টাইপ করার সময় পাছি না...
"আমায় ভয় পাবার অবকাশ না দিয়ে বাঘ বাবাজীই দেখি ভিরমী খেয়ে জানলা দিয়ে ধাঁ।"
তোমার এই কথাটা পড়ে আমার একটা জোক মনে পড়ছে ...
একটি ছেলে সদ্য লাভ ম্যারেজ কোরে কোনরকমে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে উঠে এসেছে কিন্তু পয়সার অভাবে জানলাতে পর্দা লাগাতে পারেনি...তার জন্য নতুন বৌএর বেজায় অভিযোগ...
তখন ছেলেটি বললে আমাদের পর্দার কোন দরকারই নেই,তুমি বরং জানালার সামনে দাঁড়িয়ে থেকো...
তাহলে অন্যেরাই পর্দা টেনে দেবে...বাঘ বাবাজীর সেই হাল হয়নিত...
মজা করে লিখলাম...কিছু মনে কোর না যেন...
তোমার মেল আমি পাইনি...জানিনা কেন...বাকিরা কি করে পোস্ট করছে জানিও...
আপনার এই ঠাট্টার ছলে বলা কথায় যে আড়াল অথচ অনুপান থাকে, তা দুর্দান্ত হয় দাদা। এক-একজন মানুষ আছে না, ঠিক নিজের জোরের জায়গার আন্দাজ জেনেও লগন সহ সগ্ন থাকতে পারেনা। আপনি হলেন তাদের মধ্যের একজন অন্যতম মানুষ। যে কোন কথার পিছনে দিব্যি একটা গল্প তৈরী হয় আপনিই। আহা তাহাই নহে লিখিয়া ফেলুন- ভাবিতে-ভাবিতে যে কাল যায়।
আমার মনে হচ্ছে আপনি ই-মেল ঘরে বড়ই কম যান। নাহলে যে পন্থায় সবাইকে ডাকছি, সে পন্থায় ডেকেও কেন শোনানো যাচ্ছে না? আসলে যবে ঘরে যাচ্ছেন, তার অনেক আগেই আমার রিকোয়েস্টটা থাকতে-থাকতে পিছু হটছে। এই মেল ইনভিটেশনটা আমি পাঠালে ভায়া গুগুল হয়ে যায়। আপনি হয়তো চিনতে না পেরে একধাক্কায় ডিলিট দেন অথবা তা স্ম্যামে যায়। এখুনি পাঠাচ্ছি ফের.... ফেলে রাখবেন না, এ্যাকসেপ্ট করুন।
যাক তুমি রাগ করনি তাহলে, আমি খুব চিন্তায় ছিলাম, আমার এই স্বভাবটা আমি কিছুতেই বাদলাতে পারিনা হাসিঠাট্টা করতে যেয়ে দুমদাম বলে ফেলি...পরে ভেবে খারাপ লাগে...
সত্যি আমারই দূরভাগ্য, আমি তোমার মেলটা কিছুতেই পাচ্ছি না,শুধু একবার মনে হয় স্ম্যামে কিছু একটা এসেছিল তারপার আর কিছুই আসেনি...আমি ঘরে কম থাকি বটে, তবে ই-মেলর ঘরে প্রায়ই ঘোরা-ফেরা করি...তাই মিস হাবার চান্স নেই...আসলে বয়েস হয়েছে কানে বোধহয় কম শুনছি তাই তোমার ডাক শুনতে পাচ্ছি না...তবে চিনতে না পারার কথা নয় কারন বয়েস তো কম হোল না...জানা আর চেনার মধ্যে তফাৎটাও বুঝি...
আমি এক কাজ করবো তোমার মেলে পাঠিয়ে দেব তুমি পোস্ট করে দিও...
না না, হবে না, আপনাকেই পোস্ট দিতে হবে। আমার ই-মেল হয়ে আপনার লেখা গেলেও পোস্ট দেবার পর দেখাবে মঞ্জুশ্রীর নাম। সুতরাং যতক্ষণ না পাচ্ছেন- মেরি তরফ সে কোশিশ জারি রহেগা। আপনার কি অন্য কোন ই-মেল আই.ডি আছে? নাহয় না থাক্, আমি এটাতেই 'ইনভাইট এগেন' না দিয়ে ফের ফ্রেশ করে লিখে পাঠাচ্ছি। দেখুন তো পেলেন কিনা.... ইংলীশে লেখা এই লিংকটা অনেক বড় হয়। দুর্ভাগ্য আমারও, যে আপনি যখন দিব্যি ইউনিকোডে লেখালিখিতে অভ্যস্থ হলেন, ঠিক তখনই কিনা ইনভিটেশন পাওয়া নিয়ে প্রবলেম। এনি ওয়ে, এই পাঠালাম।
দাদা, দিদি, আপনাদের সবার কমেন্ট পড়ে খুব মজা পাচ্ছিলাম। এতো সুন্দর ভাষায় মতবিনিময় আমি এর আগে দেখিনি। অনেক অনেক প্রায় ১ ট্রাক ধইন্নাপাতা আপনাদের সবার জন্য, বিশেষত মঞ্জুস্রি দিদি আপনার জন্য ট্রাকের ৮৫%, আমাকে সুযোগ করে দেয়ার জন্য।
আমি একটা পোস্ট দিয়েছি স্বপ্ন নিয়ে পড়ে দেখবেন আশা করি।
Post a Comment