মনখেয়াল

আমার নতুন বন্ধু: 'ভুচুকুলু ও চার রূপসী'

মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী


                                     ভুচুকুলু ও চার রূপসী

প্রাণ পাচ্ছি আবার... বাঁচছি নতুন করে জীবনের অন্য মানে খুঁজে নিয়ে অন্য নতুন বোধে। ই ‘ভুচুকুলু ও চার রূপসী’কে আমার বন্ধু বলে যেই মেনে নিয়েছি, সেই বদলে গেছে অন্তরমহল যেন পাহাড়ি ঝোরায় নাইতে নেমেছি মাড়িয়ে আসা সময়ের যত গ্লানি আর ঘষটানো যাপনের ক্লান্ত দিন-মন-বাঁচাকে রিচার্জ করে চলেছি- তারপর থেকেই। এরা কুঁড়ির থেকে সবে মুক্ত হাওয়ায় পাপড়ি মেলছে, নিষ্পাপ মন থেকে উড়ছে চন্দনগন্ধ... আমি কেন না সামিল হই তা’তে? আফটার অল আমিও তো ফুল, আমিও তো সুবাতাস... খালি ‘কাল’এর ময়লা মন থেকে মুছেটুছে ফেলে আমায় জাগতে হবে চন্দনবনে সে চেষ্টাতেই ছিলাম, হঠাত্  পেয়ে গেলাম এদের। ব্যস, আর কে পায় আমায়, ভোরের ফুলগুলোকেই বানিয়ে নিয়েছি  জিয়নকাঠি, আমার রাত্রিদিনের অপেক্ষা।

অভিজ্ঞতা মানেই পোকায় কাটা গন্ধদিনের ভান্ডার (নিজের অনুভবে), জ্ঞানের আড়ম্বর মানেই পাশ থেকে প্রজাপতিদের উড়ে যাওয়া (আমার আপন বোধে) অথচ কচিকাঁচাগুলো একদম আনপ্রেডিক্টেবল রঙমশাল... কখন ফাটবে বা রঙ ছড়াবে জানা নেই। ভুলভ্রান্তির মধ্যে দিয়ে যাওয়া ওরা একথোকা সারল্য। আমি সরলতায় যেতে চাই। ওরা হিসেবহীনের মাঠ, ছুঁতে চায় দিগন্ত- আমিও হাত ধরে সেই অবধি ছুটতে চাই ভুলে যেতে চাই  যুক্তি-বুদ্ধি-কার্যকারণ। মনে-মনে আমি স্কুল জীবনে ছিলামই... এখন বাস্তবিক বন্ধু জুটিয়ে ক্লাশে ঢুকছি।  

কিছুদিন ধরে মনে হচ্ছিল-  কি চাই যেন আমরা? কার কাছে চাই? চাই আসলে অস্তিত্ত্বের স্বীকৃতি-  স্বত্ত্বার প্রতি অন্যের মনোযোগ। কিন্তু পাই কি?  ঠোক্কর খেতে-খেতে যদি নির্লিপ্তির মধ্যে ঢুকে পড়ি কখনো, তখন হঠাত্ দেখি হাত ফাঁকা... শূন্যতর বোধে পৌঁছৈ গেছি অখেয়ালে। সে’সব ঝেড়েঝুড়ে ফের যখন ভেসে উঠতে চাই, একাকীত্বের ব্যথা মুছে ‘পূর্ণ আছি’–র মায়ায় যেতে চাই- তখনই বন্ধু খুঁজি, ফেসবুকে আসি, উগড়ে দিই কিছু তাত্ক্ষণিক হিসেব-নিকেশ, এলো-কথার পাঁচালী। যাঁরা ছবি টাঙিয়ে, কেজো কথার ফুলঝুরি উড়িয়ে ‘সমুখে শান্তি পারাবার’ দেখতে পান, তাঁরা তবু যেমন-তেমনঅবস্থা করুণ তাঁদেরই, যাঁরা কবিতা লেখেন, আঁকেন, দর্শনতত্ত্বে  আনন্দ পান। নিজেকে গল্পকার, কবি বা দার্শনিক ভাবা সেই তাঁরা আদ্যান্ত সাজানো একটা রূপকথার সঙ্গে  বসত করেন- অজান্তেইসৃজনধর্মী কাজ পোস্ট হওয়া মাত্রই যখন অমনোযোগীতার প্রতিযোগীতায় নাম লিখিয়ে ক্রমাগত নীচে নামে... নেমেই চলে, তখন কবির স্বপ্ন ফুরোয়, বাকীদের বোকা ভেবে করুণা করেন (আড়ালে নিজেকেই!)। আরেকদল আছেন, দুর্দান্ত... যাঁরা Promotion-এর কারণে Socialite করেন। পত্রিকায় লেখা বেরলে, সদনে প্রোগ্রাম হলে, এ্যাকাডেমীতে নাটক, চ্যানেলে ইন্টারভিউ...

কিন্তু খুশী একসময় এখানেও ফুরোয়, ক্লান্তি আসে। ‘অকারণের আনন্দ’ বলে একটা আনন্দ আছে, যা কার্যকারণ ভুলে শুধু তৃপ্তিবোধে নেয়, যা দেয় এই ‘ভুচুকুলু ও চার রূপসী’-র মত ছুটকোগুলো। এই রোদ্দুর, এই ঘাসফুল আমায় শান্তি দিয়েছে, জানি আরো দেবে... যদি ভুলে যেতে পারি আমারই কাছে বানিয়ে রাখা আমার ফানুস অবস্থান। 


বন্ধু


মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী


প্রদীপ জ্বালায় আঁধার যদি যেত দূরে
জ্যোছনাভাসি চাঁদের তবে কি কাজ ছিল?
একলা জীবন একার সাথে সুখীই যদি
এ' মন, কেন তোমার পাশে বসতে এল?

চিঠি

জয়মালা বাগচী

কেমন আছো গো তুমি
বললে যে চিঠি লিখবে, আর তো লিখলে না...
জান, আজ সকাল থেকেই এখানকার আকাশটা বড় আবছা।
কোথাও বুঝি বৃষ্টি হচ্ছে কাছে-পিঠে
তোমার কলকাতার আকাশে বোধহয় রোদ্দুরে ঝলমল্।
আচ্ছা, মুক্তার মা কি আবার দেরী করে এসেছে কাজে?
কাকিমা আজ কি কি রান্না করল? কাকু ফিরেছে দিল্লী থেকে?
তোমার ঐ প্রোমোশনটা আটকে ছিল, হয়ে গেছে?
বৌদি আমার কথা কিছু জিজ্ঞেস করে তোমায়?
এখানে কেউ রবি ঠাকুরকে চেনে না,
বড় কষ্ট হয় জানো...
কষ্ট আরো অনেক কিছুতে হয়, তুমি তো আর শুনলে না... 
কিন্তু শুধু যে তোমাকেই জানানোর ছিল
আমার নাম মাধবীলতা, তুমি ডাকতে মধু বলে...
এমনি কত চিঠি লিখেছি তোমায়্।
আজ একটা কথা বলব, রাখবে?
যদি ভুল করে কখনো 
আমার লেখা  কোনো চিঠি পড়ে তোমার হাতে, 
উত্তর দিও না তুমি, শুধু আমায় লিখতে দাও।।







4 comments

Wednesday, 20 July 2011


যে লোকটা বাল্মিকী হতে পারেনি


লোকটার এ মুহুর্তে কোন বাড়ি নেই । জজ্‌সাহেবের কলমের ভাঙ্গা নিব্‌ এর সাথে কেউ তার বাকী স্বপ্নগুলো সযত্নে প্লাস্টিক এ মুড়ে নিয়ে গেছে । রত্নাকর দস্যুর পরিবারের মত তার পরিবার বোরখার আড়ালে দাঁড়িয়ে জানিয়েছে অস্বীকার। চার দেওয়ালের মধ্যবর্তী সে এক আশ্চর্য জীব। দেওয়ালের সাথে কথা বলে দেওয়ালের বুকে মাথা রাখে,কখনও গান শোনে কখনও কাঁদে। ও পরমুহুর্তে কি করবে জানেনা। লোকটার ‘ধী’ এবং পেশীর মুখ দেখাদেখি প্রায় বন্ধ। একটা কেউ দড়জার ওপাশ থেকে খাদ্য ও পানীয়ের যোগান দেয় ।তার মুখ সে দেখেনি কোনদিন শুধু হাত দুটো দেখতে পায়। সেই সুঠাম হাতের অক্ষে জড়িয়ে থাকা শেকলের সুস্পষ্ট দাগ। নেকড়েটা গরাদের ভিতর থেকে পোষা কুকুরের জন্যে সমবেদনা জানায় ।
হাত দুটো সরে যেতেই ঝাঁপিয়ে পড়ে থালার ওপর। কালের ক্ষুধা তার জিভে চেটে সাফ করে মাড়যুক্ত ডাল এবং পোড়া রুটি। তার কোন অভিযোগ নেই আর । এক অদ্ভুত নিঃস্তব্ধতা গ্রাস করেছে চারদিক .........প্রলয়ের আগে যেমন থমথমে ...... সাপ দেখলেও এখন রজ্জুভ্রম হয়। বিষ বা অমৃত দুটোর স্বাদও কি এক!! এক জীবনে মানুষ কতবার মরে? একবার এর বেশী তো নয়!! লোকটা নিজের মনেই আওড়াতে থাকে। নিজের জিভটাকে শানাতে শানাতে ভারী আমোদ হয় তার ।
আকাশ দেখতে দেখতে ঘুম আসে না এখন।ঘুলঘুলির ফাঁক দিয়ে ফোটন কণার শেষ টুকরোগুলো এসে পবিত্র করে তোলে তাকে। লোকটা স্বেচ্ছায় একবার ঘুমিয়ে নিতে চায় ।একটু একটু করে ঘুম নেমে আসছে। মাথার ওপর থেকে বন্ধ হয়ে আসা ছাদ ধীরে ধীরে জ়ীবাশ্ম করে ফেলছে তাকে । হয়ত প্রলয়ের পর তাকেও একদিন মাটির ভেতর থেকে খুঁড়ে তোলা হবে। আনুষাঙ্গিক ব্যবহৃত জিনিসের মধ্যে কলাই করা একটা বাটি । ধ্বংসের ভেতর থেকে একটা ফসিল এর ইতিহাস কখনও নিঃসঙ্গতার কথা পুনরাবৃত্তি করেনা।

Monday, 18 July 2011


স্মৃতিপুর

মধ্যরাতের বৃষ্টি কার ঘ্রাণ ছড়িয়ে যায়? কার...? কার...?কার ? ঘ্রাণ...? ঘ্রাণ...? ঘ্রাণ? রিন রিনে একটা মিষ্টি সুর, নহলী শিকারী চিলের মত ছোঁ মেরে হাতে তুলে নেয় মুঠোফোন, হাত বুঝি অবিশ্বাস করছে মস্তিস্ককে, একবার নয় পাঁচবার এসেছে একই বার্তা, এটি একটি প্রত্নভাষা অনুবাদ করতে হলে বৃষ্টি চাই, অঝোর বৃষ্টি, চাই মধ্যরাত, তাইকি অঝোরে ঝরছে মধ্যরাতের আকাশ! নখের আচড় পড়ে বিস্মৃতির জঞ্জালের স্তুপে। খোলা জানালা দিয়ে জলের ঝাপটা এসে ভিজিয়ে দিচ্ছে পায়ের পাতা, শাড়ীর পাড়, অন্ধকারে চিকচিক করছে জল, বুকের ভেতর ছলকে পড়ে সেই জল ছলাৎ ছল, ছলাৎ ছল, বিন্দু বিন্দু ঘাম জমা হয় কপালে, বিস্মৃতির জঞ্জাল ধুয়ে গিয়ে বেরিয়ে পড়ে অন্যজন্মের শিলালিপি, বংশীয়াল! কোথায় তুমি? তোমার বাড়ীর ছাদে ফুলের ভারে কি নুয়ে পড়েছে স্নানমগ্ন কদমের ডাল! মধ্যরাতের বৃষ্টি এমন অর্থবহ করে তুলবে আমার কাছে তুমি ছাড়া আর কে?
******************************************


Saturday, 16 July 2011


না দেবনা লেখা

মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী

শস্তায় বিকোচ্ছে মনফসল
কারুবাসনা ঢঙে-
না দেবনা লেখা।

লাঠি নিয়ে সম্পু বসে নেই
গলা ধাক্কা দিতে-
না দেবনা লেখা।

আমাকে সে, সে-কে আমি
ন্যেকুপুষু মিউমিউ
না দেবনা লেখা।

কুয়াশা ঘিরছে,
ঘামছে উইন্ডশীল্ড
না দেবনা লেখা।

অস্থির পড়ুয়ার
বিনবিন আলপিন
না দেবনা লেখা।

ফ্যাতরাফাই বুক
উসকানো কথায়
না দেবনা লেখা।
*********
আজ  18.04.11. সকাল দশটা বাইশ। 
না, তেমন করে এখনো কেউ আসেনি। তাই অনেক কিছু প্রশ্ন থাকলেও কারুকে যে জিজ্ঞাসা করবো তার উপায় নেই। আমি চেয়েছিলাম এক-একটা ক্যাটাগরির যে 25-টা করে পাতা সেভ করে রেখেছি, তা'তে সেই ঘরে ক্লিক করে সহজে লেখা রাখা যাক্। কিন্তু পারছি না, পারছি না। আমি নিজেই পারছি না.... অন্যে তো দূর। নিউ পোস্ট দিলেই একমাত্র লেখা, নাম, টাইম ইত্যাদি ঠিকঠাক ঢুকছে। এই  পার্টিক্যুলার পেজ কিন্তু না দেখাচ্ছে নাম না সময়, না  আলাদা-আলাদা  পোস্টের আলাদা-আলাদা মন্তব্যের অপশন। অনেকেই অথচ খুব ভালভাবে এটা সামলাচ্ছে দেখেছি। কিন্তু মুস্কিল এটাই, যে সেই মানুষটি যখন সম্মিলিত ব্লগ খুলে কাজপত্র সামলাতে সক্ষম হচ্ছে, তখনই সে তার ঘাড়ের ওপর অদৃশ্য একটা বলয় তৈরী করে ফেলছে। যেন কি না কি হনু..... 
শুধু  এই 'মনফসল'-এ সদস্য হবার আমন্ত্রণেও কিনা  প্রশ্ন- 'তোমারটায় মেম্বার হয়ে কি হবে, সেটা  বোঝাও।' 
সত্যি আমরা সব কেমন যেন হয়ে যাচ্ছি। যতক্ষণ নিজের কাজ নিয়ে এধার ওধার 'দেখো গো, দেখো গো' করে বিনামূল্যে ফেরি করে ফিরতাম, সেই অবনত চিত্ত্ কারুর তাকানোতেই গলে গলে পড়তো। আর মোটামুটি একটা ভ্রদ্রস্থ অবস্থায় নিজেকে নিতে পেরেছি বুঝলেই বুঝি.....!!!!!! 
যাক্ গে, এত কথা বলার একটাই কারণ, আমি যেন এমন না হই। আমি যেন মূল্যে হোক, বিনামূল্যে হোক্, চোখের কোণে কৃপাদৃষ্টির তাকানোতেই হোক, এই আজকের মতন এমন পাগল থাকি। কি করব.... আমার উপায় নেই। আমি যে না লিখে পারিনা.....  তাই কিছু খেয়ালি, কিছু অকারণের আনন্দ-পাবলিকের কাছেই আমার হাত ফেলা। কত আর একার লেখা একা-একাই পড়ি!!!!!

7 comments:

আল ইমরান said...

হা হা হা............
এক্কেবারে মনের কথা।

Unknown said...

তোমার মত মনোযোগী পাঠকের প্রত্যাশায় ছিলাম ইমরান। আমার এই ব্লগবিলাসের দু'মাস বাদে তোমার মত এমন একজন কেউ, যে ঘরগুলো ঘুরেঘুরে দেখছে.... পড়ছে.....বলছে। হয়তো আসছে, পড়ছে অনেকেই কিন্তু জানান দিচ্ছে কম। তাই তোমায় পেয়ে আমিও বেশ খুশী। আমার দু-তিনটে প্রকাশিত গল্প বা ভ্রমণকাহিনী এখানে আছে, পড়ে জানালে ভাল লাগবে।

আল ইমরান said...

অবশ্যই দিদি। আপনি আমার ব্লগটা পড়ে একটু মন্তব্য করলে আমার ও ভালো লাগবে। আমি নতুন ব্লগার তাই আপনার মতামত আমার লেখাকে আরও উন্নত করবে আশা করি।

অলোকে ভঞ্জ said...

তোমার লেখাটা পড়ে একটা গল্প মনে পড়ে গেল...একবার এক রসগোল্লা খাওয়ার কাম্পিটিশনে প্রশ্ন করা হয়...খালি পেটে কে কটা রসগোল্লা খেতে পারবে...উত্তরে অনেকে বলে ছিল ৫, ১০, ২০ এমনকি ৫০, কিন্তু মজার ব্যাপার খালি পেটে মাত্র একটাই রসগোল্লা খাওয়া যায় কারণ তারপার আর পেট খালি থাকে না...সেইরকম মানুষ একবার একটু প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে আর পেছনে ফিরতে পারেনা...তখন আমি যেন এমন না হই বলে নিজেকে ধরে রাখা খুবই কষ্টকর...তাই ইছহে না হলেও বদলে একটু যেতেই হয়, আগের মতো আর থাকা যায় না...
খালি পেটে ভরা পেটের অভিনয় যদি বা করা যায়, ভরা পেটে খালি পেটের অভিনয় করা অনেক বেশি কঠিন...

Unknown said...

বাব্বা, সেই এপ্রিলে আমার মনখেয়ালের কমেন্ট কিনা আগস্টে!!!! যাই হোক্, আপনার শেষ কথার সঙ্গে আমি সম্পূর্ণতঃ সহমত 'খালি পেটে ভরা পেটের অভিনয় যদি বা করা যায়, ভরা পেটে খালি পেটের অভিনয় করা অনেক বেশি কঠিন...'

কিন্তু মানুষ হিসেবে তাই কি হওয়া উচিত্ দাদা? ঐ অভিনয়? নাহয় ভরা পেটেই থাকলাম, শুধু অন্যের নাকের ওপর ঢেঁকুরটা না তুললেও তো চলে। আমার মনে হয় সফলতার কিছু দাবী থাকে। তা মেটাতে-মেটাতে মানুষটা কোথা দিয়ে একদিন বদলে ফেলে চরিত্র- নিজের অসাক্ষাতেই। তারপর চোখ তুলে যখন চায়, বলতে চায়- পেতে চায়- তখন আমচা-চামচা ছাড়া বহুদূর পরিধিতেও আন্তরিকতাকে খুঁজে পায়না।

কিজানি, ভাবনাটা ভুলও হতে পারে। তবে আমার আকাঙ্খা একশোভাগ আন্তরিক।

Aloke Bhanja said...

Suryo Chandro kimba kono prakitik drisyor photote keu date print kare na kintu gharoa chobite date dey..karon agergulor khetre dateta amulak..tamoni kono lekha jakhon protham para hoy takhon pathoker kache setai natunbhabe dhara dey....sei kathata mone ache...kothai porechilam thik mone nei..."jakhoni chitto jyegyeche shunechhe bani takhoni jao amriter sandhane" sutorang jakhon chitto jyegechhe lekhata porechhi takhoni comment korechhi...tai noy ki...

ebar tomar kathatey ashi "তা মেটাতে-মেটাতে মানুষটা কোথা দিয়ে একদিন বদলে ফেলে চরিত্র-নিজের অসাক্ষাতেই। ami etai bolte cheyechi etate tomar kono dosh nei ba karar o kichu nei, tabu etai bastab setake mene nitei habe...aaj Mamatadidi jatoi sadhasidhe thakte chan na kano sab samay ta sambhab noy....aaj Tendulkar ba Salman Khan jodi bhabe rashtai danriye moner sukhe fuchka khabe keu disturb korbe na, ta kintu sambhab noy..... ami setai bolte chai.. tomar antorikatar upor 100% bharsha rekheai kathata bolchhi...

Unknown said...

বুঝলাম দাদা বুঝলাম, আপনার বার্তাটি বোধের ঘরে পা ফেললেও এখনো বেশ টলোমলো। এই মনফসল ঘিরে আমার চিত্ত সততই জাগ্রত। মুস্কিল অন্যদিকে... হেঁকে-ডেকে নামে পোস্ট দিয়েও যখন জাগাতে করুকে পারিনা, তখন হতাশ লাগে। কেউ পড়ুক বা না বলুক, অন্ততঃ যাকে বললাম সে কিছু বলুক এ'টুকু আশা করাই যায়, তাই না? নাহলে কেমন যেন নিজেকে ভোঁদা-ভোঁদা বোকা লাগে, ভাবনা-পত্র জলে গেল লাগে। যাই হোক্, আপনার জাগ্রত চিত্তের অপেক্ষায় রইলাম দাদা। আশা করি বুঝবেন।