রূপালী আলোর ঠিকানায়
Perpendicular way-তে একটি কবিতা লিখেছি যার প্রথম
অক্ষরগুলো ফের ব্যবহার করে usualway-তে লিখেছি আরেকটি
কবিতা। ‘রূপকথা’ থীমের ওপর প্রথমটি সোজা-সহজ লেখা যা
দ্বিতীয়টির মধ্যে দিয়ে অন্যভাবে ফুটে উঠতে চেয়েছে... সুর যদিও
এক। এটিকে দু’ভাবে ভাবার একটাই উদ্দেশ্য- তা হল যে খোঁজ
ভিতরে ছিল তার অনুসন্ধান ও লেখাটিকে অন্যভাবে উপস্থাপনার চেষ্টা।
রূ রূপালী আলোর ঠিকানায়
প পড়ে আছে আমার ভালদিন।
ক কটুগন্ধ সন্ধ্যা যায়,
থা থাকব কেন আরো-
সু সুচারু শ্যামলীমার ছায়াভান মেখে
র রঙ-লোভানো বাস্তবের
ম মনপোড়া, সংরাগহারা
ন নব বাসন্তীসাজ মুখে
দু দুনিয়াদারীর ব্যাপারী বেশে
পু পু্ঞ্জপ্রেম, অমরত্ব, পারিজাত,
র রবিপুরে চাঁদ-বুড়ীর নিমন্ত্রণ কথা
নি নিরুচ্চার মিথ্যার মত-
ল লজ্জার আপাত সাজে সাজেই যদি
উ উদ্ভাসিত তবু, ঊজ্জ্বল তা’ আমার
ড়া রাইসুখকথা বাঁচে কবিতায়, রমণীয়
ল লক্ষপ্রেমিক বুকে-
স্ব স্ববিরোধের মালা দোলে গলায়।
প পণ-ধন-প্রাপ্তি ফেলে রেখে, সেইদিন ছুঁতে
ন নবনীত গান মেখে যাব ভেসে
পু পুরনো প্রণয়-ডাকে জানি এসেছে-
র রঙ-রূপকথা চিঠি রূপালী আলোর ঠিকানায়।
*************************************
Note- কমেন্ট অপশন শূন্য দেখাচ্ছে মানেই শূন্য নয়। গুগুল প্লাসে বদলে
ফেলার পর COMMENT-এ ক্লিক করলে মন্তব্যঘর খুলছে ও সেখানে
গুগুল প্লাসের মন্তব্যপত্র দেখাচ্ছে ।
মুক্তোকথা
মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী
দিয়ে উপরতলে বরফগলা জল
আগুন হয়ে এলি পায়ের নীচে।
কেন্দ্রস্রোতে কাঁপন নিয়ে যুঝেও
পুডালি তুই বুকের দরজা ভিজে।
অবহেলা
অকুন্ঠিত
ছিল
ছিল দিনে অমানিশার আঁধার।
নোনাজলে বসত দিলি বলেই
মুক্তো হলাম সমুদ্রগন্ধার।
ছিল দিনে অমানিশার আঁধার।
নোনাজলে বসত দিলি বলেই
মুক্তো হলাম সমুদ্রগন্ধার।
ডুবতে-ডুবতে
পোড়ার জ্বালা জানি,
জানি থেকেও দূরে নিকট-ভাসা ভান।
জানি থেকেও দূরে নিকট-ভাসা ভান।
ঝিনুকবুকের উথাল-পাতাল কাছে-
আছে এই কবিতার জন্মের আখ্যান।
আছে এই কবিতার জন্মের আখ্যান।
***************************
শুভার্থী
মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী
হাওয়ায় ছড়াস চতুর আলাপন
শুভার্থী তুই আমার প্রণাম নে।
ক্ষয়ের-মধ্যে ক্ষতের চারা রোপন
শুভার্থী তুই কষ্ট আরো দে।
আমার কর্মে প্রশ্ন অগণন
শুভার্থী তোর কাজের দিন বাড়ুক।
আমার সুখে কষ্ট অনুক্ষণ
শুভার্থী তোর সুখপাখীটা উড়ুক।
হত আমার ইচ্ছে অবিরত
শুভার্থী তুই সেই নিহতয় বাঁচ।
আমার খুশী মুক্তোদানা যত
শুভার্থী তা হারিয়ে গেছে- নাচ।
ভাবিস খুলে ফেলবি নীল রাগ
শুভার্থী তুই তোর মতনই থাক।
ছড়াস কালো ঈর্ষা বিষ-ভাব
শুভার্থী তুই না থাকলে অভাব।
আছিস্ বলেই বেড়া ভাঙার জেদ
শুভার্থী তুই কুটিল আরো হ।
কাড়িস বলেই আলক্ষ্য অভেদ।
শুভার্থী তুই জীবন জুড়ে র।
নারী
চৈতী আহমেদ
নিজের আগুনে দগ্ধ হয় অরণী!
অগ্নিবর্ণ ধাতবের আদল
গনগনে কয়লার স্তূপে নাচে
হাওয়া দিলে কামারের হাপর
অন্তরীক্ষের ক্যানভাসে নক্ষত্রের ছাঁচে।
যদিও সমুদ্রসম্ভূতা
সন্তরণ শেখেনি অবাধ জলে অনায়াস
তীব্র আলিঙ্গনে টেনে নেয়
সমুদ্রের অতল অক্টোপাস।
অভিজ্ঞা ফিস ফিস করে বলে-
ভালোবাসা মানে একা হয়ে যাওয়া
আগ্নেয়গিরির অতল গহ্বরে হাবুডুবু খাওয়া
গোঁয়ারের মত তবু ভালোবেসে ফেলি
*****************************
অগ্নিবর্ণ ধাতবের আদল
গনগনে কয়লার স্তূপে নাচে
হাওয়া দিলে কামারের হাপর
অন্তরীক্ষের ক্যানভাসে নক্ষত্রের ছাঁচে।
যদিও সমুদ্রসম্ভূতা
সন্তরণ শেখেনি অবাধ জলে অনায়াস
তীব্র আলিঙ্গনে টেনে নেয়
সমুদ্রের অতল অক্টোপাস।
অভিজ্ঞা ফিস ফিস করে বলে-
ভালোবাসা মানে একা হয়ে যাওয়া
আগ্নেয়গিরির অতল গহ্বরে হাবুডুবু খাওয়া
গোঁয়ারের মত তবু ভালোবেসে ফেলি
*****************************
ডাঁটিয়াল
মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী
সন্ধ্যা-সকাল শিউলিবোঁটার
কমলা ছলনা-
ঢের সয়েছে মিথ্যা সোহাগ
ছিন্ন ললনা।
মন উঠোনে জল থৈথৈ
মাড়িয়ে যাবে? না।
ভিতরপুরের শাপলা ডাঁটায়
সাপের জ্বলনা।
ছন্দময়ীর হাঁটার পথে
সজনা ফুলেল রোদ।
মুছবে আলো? নেবে গাঢ়
কষাটে নীল শোধ।
সোহাগী ওম্ সাতসমুদ্দুর
আসক্তি নিলাজ-
ফেলে উজান? দেবে কঠোর
'সম' হারানো সাঁঝ।
রাতের কেয়াফুলের বুকে
প্রখর রতিকাল।
তাহার বোধে পাপের পাঁক
ফুল্ল ডাঁটিয়াল।
************************************
*নোট- ‘সম’ হচ্ছে সেটাই, যা না থাকলে গান, বাজনা, নাচের মজা প্রায় নেই বলা যায়, বিশেষতঃ ক্লাসিক্যালে। যে কোনো তাল শুরু হয়ে তার মাত্রাপথ (গণনা হিসেবে ত্রিতালের ক্ষেত্রে যেমন 16, কারুর ক্ষেত্রে 14,12,7 ইত্যাদি) ঘুরে যখন সেই শুরুর মাত্রায় এসে একটা আবর্তন কমপ্লিট করে, তখন তাকে 'সম' বলে। গোদা বাংলায় বোঝাতে গেলে বলতে হয় একদম মাপে-মাপ, খাপে-খাপ। সম, বিষম, অনাগত, অতীত এমনি চারটি গ্রহ(যেখান থেকে সংগীতের আরম্ভ হয়)-র মধ্যে ‘সম’ হল তাই, যেখানে আদি ও অন্তের মধ্যে সাযুজ্য থাকতেই হবে। ‘বিষম’ হল আদি-অন্তে অনিয়ম হতেই হবে আর ‘অতীত’, ‘অনাগত’- হল এমনই আরো কিছু, যা না জানলেও কবিতা বোঝার অসুবিধে হবে না। শিক্ষার শুরুতেই তাল শিখতে হয় ও সেই সঙ্গে আসে ‘সম’। ‘সম হারানো সাঁঝ’ মানে তাই সাযুজ্য-হীন, মিল-বিহীন, মাত্রাছাড়া কষ্টদায়ক যাত্রাপথের সন্ধ্যাকাল।
আয়োজনে মেতেছিল সেদিন বরেন্দ্রভূমি
বর্ষা গ্রামে বর্ষণ ছিল না তবুও আমরা
ভিজেছিলাম, তোমার বৃষ্টিতে আমি
আমার বৃষ্টিতে তুমি।
সাঁওতালি নাচের মুদ্রায় বেজেছিল
উন্মাতাল মাদলের সুর কালের নিদ্রা
ভেঙে দুবাহু বাড়িয়ে নান্দনিক সম্পর্কে
ডেকেছিলে তুমি, যুগান্তের তৃষ্ণা
আকাঙ্ক্ষার আগুন।
ফাগুন বেলায় তোমাকে ভালবেসে
জেনেছি আমি সব নান্দনিকতায়
থাকে গোলাপের মত কাঁটা ও কীট
বাগান বিলাসের রঙ বদলাতে পারে না
মনের কোনের লুকানো কদর্যতাকে।
অবচেতনে যে প্রতিনিয়ত যূপকাষ্ঠের পাশে
শান দেয় ছুরি, তৈরি রাখে সিঁদুর,
যে কোন মুহূর্তে বলি দেবে তার নিজেরই
আত্মাকে যেখানে রেখেছিলাম পরম
বিশ্বাসে আমার হৃদয়।
3
comments
বর্ষা গ্রামে বর্ষণ ছিল না তবুও আমরা
ভিজেছিলাম, তোমার বৃষ্টিতে আমি
আমার বৃষ্টিতে তুমি।
সাঁওতালি নাচের মুদ্রায় বেজেছিল
উন্মাতাল মাদলের সুর কালের নিদ্রা
ভেঙে দুবাহু বাড়িয়ে নান্দনিক সম্পর্কে
ডেকেছিলে তুমি, যুগান্তের তৃষ্ণা
আকাঙ্ক্ষার আগুন।
ফাগুন বেলায় তোমাকে ভালবেসে
জেনেছি আমি সব নান্দনিকতায়
থাকে গোলাপের মত কাঁটা ও কীট
বাগান বিলাসের রঙ বদলাতে পারে না
মনের কোনের লুকানো কদর্যতাকে।
অবচেতনে যে প্রতিনিয়ত যূপকাষ্ঠের পাশে
শান দেয় ছুরি, তৈরি রাখে সিঁদুর,
যে কোন মুহূর্তে বলি দেবে তার নিজেরই
আত্মাকে যেখানে রেখেছিলাম পরম
বিশ্বাসে আমার হৃদয়।
প্রাতিভাসিক
চৈতী আহমেদ
তোমার লহমার ঔদার্য আমাকে অনুপ্রাণিত করে
নগ্ন পায়ে হেঁটে পেরিয়ে যেতে জীবনের এই উৎপথ
প্রত্ননগর পাড়ি দিয়ে আমাকেই বার বার তোমার
কাছে পৌঁছাতে হবে লক্ষ লক্ষ যুগের
অন্ধকার পার হয়ে একা?
তোমার মায়া হয়না!
নদী, সমুদ্র পেছনে ফেলে গহীন অরণ্যের
লোমশ অন্ধকারে আমি অবশেষে খুঁজে পাই
তোমার পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের ছাপ
বাকীটুকু আমার অতিচেনা পথ
একদিন তুমি আমি
জ্যোৎস্না দিয়ে তাম্বুল খেয়ে
হৃদয়ের হ্রদে নাইতে গেছি
এই ঘুলঘুলি পথ বেয়ে,
পৌর্বদেহিক সাঁকো পারাপার করি প্রতিরাতে
পায়ের পাতা, হাঁটু, উরু, কটি, তলপেট বেয়ে
নাভীটাকে আলতো ছুঁয়ে প্রায়ই পৌঁছে যাই
পাঁজরের ঘেরাটোপে কাঁঠালিচাপার সুবাসটাকে ছুঁই,
এখানেইতো ছিল শিল্পের প্রশস্ত পতিত ভুঁই!
আজ কিছু নেই পাঁজরের তলে শুন্য গহ্বর ছাড়া
আমার ঠিক মনে নেই, তুমি মনে করে বলতো মন!
ওখানে হৃদপিণ্ড ছিলো না কি কোনদিন? তুমি ভুলেছ
যদি আমিও ভুলি, কোনদিন ভুলবে না কাপ্তাই হ্রদ,
ভুলবেনা পেডাটিংটিং সেই সব সুখরাঙা দিন
ওরা মানুষের মত স্মৃতিভ্রষ্ট নয়।
তোমার লহমার ঔদার্য আমাকে অনুপ্রাণিত করে
নগ্ন পায়ে হেঁটে পেরিয়ে যেতে জীবনের এই উৎপথ
প্রত্ননগর পাড়ি দিয়ে আমাকেই বার বার তোমার
কাছে পৌঁছাতে হবে লক্ষ লক্ষ যুগের
অন্ধকার পার হয়ে একা?
তোমার মায়া হয়না!
নদী, সমুদ্র পেছনে ফেলে গহীন অরণ্যের
লোমশ অন্ধকারে আমি অবশেষে খুঁজে পাই
তোমার পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের ছাপ
বাকীটুকু আমার অতিচেনা পথ
একদিন তুমি আমি
জ্যোৎস্না দিয়ে তাম্বুল খেয়ে
হৃদয়ের হ্রদে নাইতে গেছি
এই ঘুলঘুলি পথ বেয়ে,
পৌর্বদেহিক সাঁকো পারাপার করি প্রতিরাতে
পায়ের পাতা, হাঁটু, উরু, কটি, তলপেট বেয়ে
নাভীটাকে আলতো ছুঁয়ে প্রায়ই পৌঁছে যাই
পাঁজরের ঘেরাটোপে কাঁঠালিচাপার সুবাসটাকে ছুঁই,
এখানেইতো ছিল শিল্পের প্রশস্ত পতিত ভুঁই!
আজ কিছু নেই পাঁজরের তলে শুন্য গহ্বর ছাড়া
আমার ঠিক মনে নেই, তুমি মনে করে বলতো মন!
ওখানে হৃদপিণ্ড ছিলো না কি কোনদিন? তুমি ভুলেছ
যদি আমিও ভুলি, কোনদিন ভুলবে না কাপ্তাই হ্রদ,
ভুলবেনা পেডাটিংটিং সেই সব সুখরাঙা দিন
ওরা মানুষের মত স্মৃতিভ্রষ্ট নয়।
ওর নাম চাঁদ
তৃষিতা বন্দোপাধ্যায়
কখন প্রেমিকার গুঁড়ো চুলের মত অপ্রতিরোধ্য,
কখন বা রোম্যান্টিকতার ধারক বাহ্ক
কখন ও একাকিত্বের শ্রুতলিপি,
স্নিগ্ধতার শীতলতার প্রতি ছত্রে
উষ্ণতার রক্ত ছলকে ওঠে ওর নেশায়
বিদেশী উপকথার নেকড়ে মানুষের দাঁতের মত তীব্রতায়
ঝলসে ওঠে কোন ক্ষুধার্ত মানুষের চোখে
স্বপ্নময়তায়, খিদেয়, হাহাকারে আর তাচ্ছিল্যে...
স্তব্ধ কাজল ঘন গভীর জলের চিবুকে
এলোমেলো ছোট ছোট প্রতিবিম্ব ওর,
ঈর্ষা দেয় বিশ্বের তাবড় তাবড় ক্লিওপেট্রাদের
আবার স্বান্তনা পুরস্কার হয়ে অদ্ভুত ভাবে
প্রশংসার মোড়কে ফিরে ফিরে আসে প্রেমিকদের মুখে,
কখনো বা আমার তোমার শৈশবের কপালে
অদৃশ্য মমতার টিপ হয়ে
------ওর নাম চাঁদ
তৃষিতা বন্দোপাধ্যায়
কখন প্রেমিকার গুঁড়ো চুলের মত অপ্রতিরোধ্য,
কখন বা রোম্যান্টিকতার ধারক বাহ্ক
কখন ও একাকিত্বের শ্রুতলিপি,
স্নিগ্ধতার শীতলতার প্রতি ছত্রে
উষ্ণতার রক্ত ছলকে ওঠে ওর নেশায়
বিদেশী উপকথার নেকড়ে মানুষের দাঁতের মত তীব্রতায়
ঝলসে ওঠে কোন ক্ষুধার্ত মানুষের চোখে
স্বপ্নময়তায়, খিদেয়, হাহাকারে আর তাচ্ছিল্যে...
স্তব্ধ কাজল ঘন গভীর জলের চিবুকে
এলোমেলো ছোট ছোট প্রতিবিম্ব ওর,
ঈর্ষা দেয় বিশ্বের তাবড় তাবড় ক্লিওপেট্রাদের
আবার স্বান্তনা পুরস্কার হয়ে অদ্ভুত ভাবে
প্রশংসার মোড়কে ফিরে ফিরে আসে প্রেমিকদের মুখে,
কখনো বা আমার তোমার শৈশবের কপালে
অদৃশ্য মমতার টিপ হয়ে
------ওর নাম চাঁদ
অন্তর্বর্তীকালীন
শুভ্রনীল সাগর
বড্ড অসহ্য লাগছে পৃথিবীর ভিড়। তোমার নিঃশ্বাস আলাদা করা যাচ্ছেনা...
ভীষণ চেনা পথ বহুদিন পর হাঁটলে রোগাটে লাগে, লতানো। আমি সেই ধুলো চাই যারা এই আষাঢ়ে কাদা হয়ে গেছে....
নিষ্পত্তি...
সেঁজুতি ঘোষ
তার ছিঁড়ে গেছে দু টুকরো হয়ে,দূরভাষের পথ খোলা নেই
তবু দূর থেকে আভাষ আসে কেউ যেন ভালো নেই
ছেঁড়া তার দাগ রেখে জুড়ে চেষ্টা খালি একটুখানি যোগাযোগ
জীবনের চেয়ে অভিমান তো বড় নয়,কেন তবে বৃথা এই যোগ বিয়োগ?
আকাক্ষা ছিলো তব মনে শতবর্ষ ধরে সৃষ্টি করে যাবো
দুই তিন পা চলতে গিয়ে প্রমাণ মিললো সময় সংক্ষিপ্ত...
আঘাত পারেনা প্রত্যাঘাত করতে,মন তার ভিরু কপোত
কেবল যন্ত্রণার দাপোটে ছটপট্ করে,আবেদন তার প্রবল
“দাওগো দাও ,একটু বুকের মাঝে আরাম স্পর্শ দাও
নাও গো নাও, মোর ভিরু মনটারে আপন করে নাও”।
যা পেয়েছো তা নিয়ে খুশি নও,পাওয়া আর পাওনা যে ভাগ্যনির্ধারিত
আপোশ করবেনা,স্বাধীনও হবেনা,পরাধীন থেকে গোপন সোহাগের উষ্ণতা নেবে
উপভোগ্যের বিষয় কখনো মন কখনো ভাবমুর্ত্তি কখনোবা স্বপ্নের শয্যাবাসর
ভাবের মূর্ত্তিবদল হলে উষ্ণতা শীতল হয়ে পালাবার পথ খোঁজে এধার ওধার
নিজের উপর অত্যাচার,সকল পরকে দিলাম ছাড়
যা পালা......হিসেব মেলা বাকি পরে থাকা ১৪আনা সুখদুঃখের বিচার!
আমি তখন
মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী
একটু বেশী রঙের মাখামাখি
থাকত যদি আমার এ’দিন জুড়ে...
বাড়তি কটা তারাও যদি পেতাম
মনমরুনীর গোপন আকাশপুরে...
আমি তখন লাফিয়ে দিতাম পাড়ি
কুঁড়ের থেকে ইন্দ্রদেবের বাড়ি।
আমি তখন গুছিয়ে নিতাম কাজ
‘উড়তে হবে’ ডাক পেয়েছি তার-ই।
প্রতিক্ষণ উত্তরে
উৎসর্গ: দিদি শ্রীদর্শিনী চক্রবর্ত্তী
শুভ্রনীল সাগর
তোকে বলা যায় এসব কথা? এই ধুলো এই ধোঁয়া নদী হয়ে আমাদের মন। আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমি বলবো দুটো বাজতে এখনো দু মিনিট বাকি - যেতে চাও তো যাওয়া যাক রেল ছুঁয়ে মায়াজল মৈনাক সমাধি। দেখবে ঘুড়ির লেজটা লাল। তোকে চিনিনা বলেই বলছি বিজন বট - এখানে বেঁচে থাকা বড়জোর আলুসেদ্ধ মিহিন মৌনতা। তাও যদি জীবন হত কচ্ছপের পা, নটেগাছ মুড়োলেই পাওয়া যেত ত্রিতাল তিতির। তুই পারতিস এমন কাঠবাঁধাই রূপালী স্লেটের বোঝাপড়া? অথবা মন মৃদঙ্গের জামপাতা আড়াল...
পড়ন্ত পাতা হয়তো ভুলে যাবে বেলিফুল চাতাল....
উৎসর্গ: দিদি শ্রীদর্শিনী চক্রবর্ত্তী
শুভ্রনীল সাগর
তোকে বলা যায় এসব কথা? এই ধুলো এই ধোঁয়া নদী হয়ে আমাদের মন। আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমি বলবো দুটো বাজতে এখনো দু মিনিট বাকি - যেতে চাও তো যাওয়া যাক রেল ছুঁয়ে মায়াজল মৈনাক সমাধি। দেখবে ঘুড়ির লেজটা লাল। তোকে চিনিনা বলেই বলছি বিজন বট - এখানে বেঁচে থাকা বড়জোর আলুসেদ্ধ মিহিন মৌনতা। তাও যদি জীবন হত কচ্ছপের পা, নটেগাছ মুড়োলেই পাওয়া যেত ত্রিতাল তিতির। তুই পারতিস এমন কাঠবাঁধাই রূপালী স্লেটের বোঝাপড়া? অথবা মন মৃদঙ্গের জামপাতা আড়াল...
পড়ন্ত পাতা হয়তো ভুলে যাবে বেলিফুল চাতাল....
একটি এলেবেলে প্রশ্ন
মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী
আমি
তোমায় ছুঁলাম তুমি আকাশ হলে
আমি কুড়িয়ে নিলাম তুমি মুক্তো হলে
আমি মন পাতলে
জ্যোছনা হবে নাকি?
আমি
চোখ বুজলাম তুমি সপ্ত ডিঙা
আমি
চোখ চাইলাম তুমি রাধাচূড়া
আমি হাত পাতলে
বৃষ্টি হবে নাকি?
আমি
রঙ বুলোলাম তুমি কৃষ্ণকলি
আমি
কান পাতলাম তুমি সুরলহরী
আমি বুক পাতলে
পদ্মা হবে নাকি?
আমি ঠোঁট ছুঁইলাম তুমি
শীতের দুপুর
আমি
ঠোঁট খুললাম তুমি ঝড়ের নূপুর
আমি গাল পাতলে
কান্না হবে নাকি?
Friday, 5 August 2011
চিনেছি
মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী
চিনি চিনি আমি সম্পর্ককে চিনি।
আঘাত করেছ, চলে গেছি বহুদিনই।
চিনি চিনি আমি সম্পর্ককে চিনি।
বকেছ উদোম ছেডে গেছি হারামণি।
অথচ চেয়েছ যখন যে সহযোগে
ফিরেছি দিয়েছি তুলে বুকে সুখখানি।Tuesday, 21 June 2011
আমিও পারি
রবিবার 19.06.11-র ‘NEWS বাংলা’ পত্রিকায় প্রকাশিত লেখা
মঞ্জুশ্রী রাযচৌধুরী
‘তার বিদায়বেলার মালাখানি আমার গলে রে
দোলে দোলে বুকের কাছে পলে-পলে রে.....’
তোমার এ’ গান ভালবেসেছিএতই
এতই টেনেছি কাছে –
বাস্তব বিপদ বুকে
আঁজলা ভরে রক্তস্নানে
অবিরাম, তাই উন্মুখ।
চুঁইয়ে পড়া ক্ষয়, অপ্রেম
আস্টেপৃষ্ঠে জাপ্টে আছে গা-
ঘেন্না ঘেন্না কেন্নো কুন্ডলিনী।
দম দিতে সাধ্যিহারা জন
দম ভ’রে বাঁচছে নিলজ্জ।
নষ্ট সময়পথে ছিল নষ্টচাঁদের আলো
নষ্টমনে নষ্টসুখের আমন্ত্রণ ভারে
আত্মদম কাদায় ভেজা বালি।
তা’তেও হল তার,
‘অপর’ হওয়া স্বজন কু-জনার।
আমার ফুঁ-এর হল্কা এখন তাতাপোডা
আমার ক্ষুধা আদিম, অশালীন।
মন্দ, ভাল, মাঝের-
লাজের কিংবা কাজের
হিসেব বোঝে সে’জন
পেলে পথ্য ভাল ভাল।
দমহারানো নিত্যনতুন
সকালবিহীন অন্তর্লোক
কি দিচ্ছে বাঁচায়?
দিচ্ছে অসুখ গাঢ়।
লগি ঠেলে এরপরও কি
পার হওয়া যায় নদী?
যে নদীতে হাঙর-কুমীর-কামট?
আলোক কাড়া ‘আঁধার’ ছিল দানে
নিত্যভোরে অবিশ্বাসী ধুন-
সরিয়ে এল অন্যদিনের ভোর।
আসুক্ বাধা হাজার সারিসারি
তবু পার হবো ঠিক নদী
যদি হাঙর-কুমীর-কামটদেরও
খাদ্য করতে পারি।
**********
কষ্ট
মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী
আমি পারিনা, নিত্য পারিনা-
কাচ রোদ মাখা চুমকী রুইতে পারিনা।
কেনা দাস আমি করুণার
ক্ষীণ স্রোতগতা-
মরা বীন সুরে বাজিনা।
আকাশে আদুরী রামধনু তবু
জলকণা রঙে সাজিনা।
নদীহীন দিন পড়ে আছে ক্ষয়া মাঠে-
জ্যোত্স্না হারানো পাঠের
ওটা বুকভরা অভিমান।
আমি শুন্যখাতায় জমা করি নীল
রাত্রির অভিযান।
অতন্দ্র উটপাখি
চৈতীয়া
কী
ভীষণ ধুলিঝড়! মরুর লোমশ বালিতে মুখ গুজে আছি সারারাত, অতন্দ্র উটপাখি!
প্রখর তৃষ্ণায় চোখের নোনাজল চাটি। হায় নোনাজল! তাও তো জলের হল্লোড়ে
মিশে গেছে কবে অন্যমনে বঙ্গোপসাগরে, জল চাই জল! শুনে সাগর রক্ষী
বৃষ্টিপোষাক পরিহিত আনত ঝাউ বৃক্ষগুলো ফিক ফিক করে হেসে উঠে, সাগরের
একবুক নোনা জল দেখে তারা নাকি লজ্জিত! রক্তে রক্তে তক্ষক তোলপাড় করে,
সবটুকু ভালো নিয়ে কাছে যাই, ভালোবাসি, জিহ্বা মেলে রাখি আকাশ পানে, আজ
বৃষ্টি হবে না কি এই প্রত্ননগরে? নেইল পেইন্ট চর্চিত নখে তার বুক খুড়ি,
ক্ষত বিক্ষত করি, পেতে চাই তার প্রত্নপ্রেম, চুমুতে চুমুতে জাগাতে চাই তার
শরীরে সজল সাড়া, একটি যাত্রীবোঝাই কালো বাস এসে পিষে ফেলে ফল্গুকাল!
অতর্কিতে। বেলকুনিতে ঝুলতে থাকা মানিকপ্লান্ট বেয়ে, অঝোর বৃষ্টির সাথে
জনকোলাহল আর রক্তহোলি’র রঙ ধুয়ে গেলে, অকস্মাৎ নিঃশব্দে আমার স্তন্য
জড়িয়ে থাকা নরকংকালটি ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। হায়! কালো বেড়াল চিরদিন কামনার
পথ কেটে যায়, দ্বিতীয় ভাবনা আসে না মননে মেধায়, শৈশব সাথী কাঞ্চনমালার
কাছে দীক্ষা নিয়ে ফেলি, তার হাড়গোড় জড়ো করি, অপূর্ণ বাসর থেকে গ্লানিময়
অর্ন্তবাস তুলে নিয়ে পথে নামি, সঞ্চয়ে রাখি তৃষ্ণার কোলাজ! ঘুরি দেশে
দেশে, নগ্ন প্রেতেনীর মত হাটি রাত্রীদিন তটে তটে, কোলাজ-করোটীতে
দীর্ঘশ্বাস করে এপাশ ওপাশ। জল চাই জল! মরীচিকা বলে – জল চাও জল? পৃথিবীতে
যাও ওখানে এখন মধ্য আষাঢ়, তৃষাতুর ছুটে আসি জল থৈ থৈ উপকুলে, জল আহা জল!
তৃষ্ণাকে জল দেই, দু’হাতে অঞ্জলী ভরে! থুথু করে ফেলে দেয়, আরো তৃষাতুর
হয়ে, ছি: ছি: এতো জল নয়, নোনা সাগরের পায়ে মাথা কুটে কাঁদছে আকাশ!
কবিতাল্প
ভরা
মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী
অনুগল্পর মতই এই ছোট-ছোট কবিতাল্প। এ’গুলির বিশেষত্ব এই যে ভরে ওঠা-কে মুখ্যতায় রেখে এ’গুলিকে তৈরীর চেষ্টা।
1.
নদীর রঙে
মনের ঘর
মনের ঘরে নদী
ভরেই যদি ওঠে-
ভোরেরবেলা সন্ধ্যাতারা ফোটে।
2.
গিয়েছি বাজারে
কী দিয়ে ভরাব থলি?
আম-আমড়া-আমসত্ব
খেলাম, পেলাম
অনিত্যের ঘ্রাণ
পয়সা ব্যাগে থাক
স্যুট্....
পেরিয়ে গেলুম গলি।
3.
ভরা ঘটের মত
আনন্দিত-
যেদিন ছিল মাতাল
সেদিন যদি উবজে কাছে আসে-
আবার আমি আম্রশাখা হব-
হলই বা দিন
পশ্চিমাকাশ গামী।
4.
সবুজ পাখী,
লালচে রঙা প্রজাপতি
শিশির ভেজা ধানের কচি ডগা-
ঝিমদুপুরে ঘুঘুর কুবুকুব্....
ব্যস্।
আমার কামকাজ সারা-
ভাবুক যারা
এ’টুকুতেই উঠলো ভরে তারা।
5.
ভরা মন
ভরা দুঃখ
ভরা আকাশ
ভরা সুখও
নিয়ে সন্ধ্যা
সুরা গন্ধা
ছিল তার
ও আমার।
ভুল মুছতে
আলো খুঁজতে
ছিল এতোল
মিঠা বেতোল
ছিল মান
অভিমান-
ছিল স্নান-
অম্লান-
আলো ছুঁয়েছি
সুখ রুয়েছি
ব্যাথাট্যাথা ক্ষীণ
বাজে মনোবীণ
তাই দিনভোর
স্বপনের ঘোর
প্রাণে গান
সুধা পান।
*****
2.08.09-তে সৃষ্টি ই-ম্যাগে প্রকাশিত লেখা
Thursday, 16 June 2011
সহজ দিনের ডাক (2)
মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী
ও সন্ধ্যামণি,
তুই এবার চ্যালেঞ্জের সামনে।
কর মোকাবিলা,
লেখ কিছু অন্য
এবং
আন নামিয়ে ভোর।
মন পুড়িয়ে, বিপদ ছেঁচে,
সিন্দবাদের মতন ‘কষ্ট কষ্ট’ ঘাড়ে চেপে
ও’সব তোর সোজা।
ওরে জানি তো-
যা গেছে,
বিন্ধ্যাচলের মত
অনড় তা’
তা’ অটল।
তবু তো তুই আকাশকে মুখ দেখতে দেখিস্
রবীন্দ্রসদনের ফেন্সিং,
বা
ঝিলের ধার ধরে হেঁটে যাওয়া স্বপ্নবোনাদের চোখে।
ঐ সুর্মা হাত পেতে তুই ধার করে নে মণি।
মেহেন্দী আঁকা ভরা হাতের আঁজলা থেকে নে।
চেলী, সানাই, সন্ধ্যাদীপের শিহরণ,
সাতলহরী হারের ঐতিহ্যগন্ধ তো আছে আজো।
নে না নে, ওখান থেকে নে।
তারপর-
ঝিলের জলে ডুব-ডুব খেলা খেলে
ভ্যাবলা-চোখো মাছেদের মতন তুই
ঝলঝলে, আলাভোলা, খ্যাপলা হয়ে যা।
**********************
Friday, 3 June 2011
সহজ দিনের ডাক
2.08.09 -তে সৃষ্টি ই-পত্রিকাতে প্রকাশিত কবিতা
মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী
যতদিন অচেনা ছিল সে,
সুখেই ছিলি তুই।
নে স্বাদ নে সেই দিনটার আজ।
শিশুসময় কি দিয়েছে, কিশোরীকাল,
যৌবন ভরা কোটাল ছিল কি না
তার খাঁজ-ভাঁজ-আড়াল
খুব দরকার জানার?
যদি মুচমুচ করে ভেঙে গুঁড়িয়ে পড়ে,
কি হবে তখন?
অনেকদিনের না খোলা তোরঙ্গের তলা খুঁজে
পেয়ে যাওয়া জাঁতি, পাঁজী
অথবা ব্রতকথা যেমন........।
আজকের ভাঙন ভুলতে চাস্ তো
পিছনের থেকে মুখ ফেরা।
কোল পেতেছি মেয়ে
আয় শো।
বিশ্বজোড়া একই হাওয়ার
একই চেনা স্বাদ।
সেই স্বাদ চাখবি,
সেই হাওয়া মাখবি গায়,
আর একার পৃথিবী
আরো একায় নেবেনা তোকে,
তা কখনো হয?
সুর সাধলি, গান বাঁধলি,
উড়াল নিলি আকাশ আঙিনায় -
ক্ষত বইবি না বুকে
তা কি করে হয়?
পিছন ভুলে সামনে তাকা মেয়ে
হাত বুলিয়ে দিই ভাঙাচোরায়।
বেতালা দিন, বাতিল ভালবাসা,
কেন খুঁজিস, কেন জ্বলিস,
অনায্যতা অঢেল লেনাদেনায়।
ফড়িং রাতটা ফিকে হবার আগে
হাত বুলিয়ে দিই আয়-
ঋদ্ধ তাতাপোড়ায়।
আগুন-ফাগুন স্বপ্ন উড়ুক, পুড়ুক।
এক চিলতে নে ঘুমিযে মেয়ে,
আকাশ জোড়া কোল পেতেছি
আয়,
আয় কাছে আয় শো।
2 comments:
VALO LAGLO KOBITATI.
ভাই সুবীর, খুব ভাল লাগল তোমাকে এখানে পেয়ে। তবে ঐ বিভাগ ধরে দেখতে গিয়ে তুমি বাকী কবিতা মনে হয় খুঁজে পাওনি.... কেননা আমি ঠিকমত পেজ সেট করতে পারিনি। তাই 'ঘর(Home)'পেজেই সব লেখা জমা পড়ছে। আমি তাই তোমায় বলব, জানদিকে যে Labels লেখার আন্ডারে বিভাগগুলো আছে, সেখান থেকে ক্লিক করে লেখা পাওয়াটা সোজা হবে।
আমি জানিনা এই অসুবিধেটা কবে কাটাতে পারব, তবে চেষ্টা করছি সুবীর। যদ্দ্দিন না হচ্ছে, তদ্দ্দিন নাহয় এ'ভাবেই.....
Post a Comment