উত্তরের ছেলে
মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী
শ্যামবাজারের পাঁচমাথার মোড়-
অলিগলি পেরিয়ে
হঠাৎ ঝ্যাক্কাস্ সাতমহল।
বাড়ির নীচে পচা-দার রোলের দোকান
রকে ফুলবাহারী গুলবদন।
ঐখানে কি বাড়ি ছিল তোর অনীক?
ছিল, ছিল-
ঘুমঘোরে হলেও এমন-ই কোথাও তা ছিল।
আলুথালু ওড়া বেঁকা উচ্চারণ।
কুঁচকে থাকা ভুরুর নীচে
নগর নস্যাত্ দৃষ্টি-ধারণ।
কথার আড়ে চিকনাই শান তোর
অথচ রোদ্দুর।
আপাত ‘নেতি’-র ঠিকানায় কড়া নেড়ে
জানি পাব তোকে
‘ইতি’-র স্বজনপুর।
অঙ্গে বওয়া ভঙ্গীতে নিয়ে অযত্নভান-
আড়ালের আড়ে শ্রদ্ধাধারণ।
সন্ধ্যাসকাল খুশীখুশী গান,
দিনের গা থেকে কালো মুছে নিয়ে
আলোক করিস্ পান।
জানি, অনীক জানি-
দ্বিধা বুকের রঙবাহারী খোপে
আগুন-আয়লা বাস করে পাশাপাশি।
বাড়ী তাই হতেই হবে তোর
আপাত নেইপুর-
শ্যামবাজারের
পাঁচমাথারই মোড়।
**********
4 comments:
আলুথালু ওড়া বেঁকা উচ্চারণ।
কুঁচকে থাকা ভুরুর নীচে
নগর নস্যাত্ দৃষ্টি-ধারণ।
বেশ লাগলো মঞ্জুদি। এই কবিতা তোমার অন্যগুলোর থেকে বেশ আলাদা। ভালো লাগল। শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় নিয়ে প্লট ফেঁদেছি। কাজের চাপ কমলে ভাবছি গল্প লিখব একটা।
এই তো অবশেষে মন্তব্য করলে। তবে না হে তিতাস, এ তোমার মত না.... তুমি যেমন কথায়-কথায় চেপে ধরো, ঐ খানিকটা উত্তরের ছেলের মতই আর কি..... তা নেই তো!!!! আর তুমি তো নিজস্ব কাজের চাপ নিতে-নিতেই এতকিছু সামলাও.... তা একটু-একটু করে লিখতে শুরু করো না ঐ শ্যামবাজার বৃত্তান্ত? 'ক্রমশঃ' লিখে পোস্ট দেবে তো.... আমার এখানে?
আমার এখন কি বল তো? ভিখিরীর দশা হয়েছে। সবার কাছে হাত পেতে বসে আছি... লেখা দাও, লেখা দাও, লেখা দাও। আচ্ছা, আমার ভ্রমণের লেখাটা পড়বে না নাকি? প্লিজ, কষ্ট করে একটু..... আর তোমার কিছু সঙ্গীসাথীদেরও এই ব্লগ ঠিকানাটা দিও না, অনেক এলে ভাল লাগবে সবারই। দেবে তো?
এত চাপ দিচ্ছি.... ইস্, তুমি না আবার পালাও।
verry good ami to bordhoman giechilam tai jantam na
SORRY
Ekhane lekha debe na Bhuchu? Bhorer swapnota-i nahoye likhe phelo.... plzzzzzz, kichhu ektu lekho. Amar khub raag hochhe kintu.....
Post a Comment