আচারের বোয়াম রাখার তাক পরিষ্কার করতে করতে ইতুপিসী ট্যাঁরাবেঁকা মুখ করে বলল, ‘গল্প শুনতে চাও তো ছোটমামাকে গিয়ে ধর না কেন! আমি মুখ্যুসুখ্যু মানুষ। কোথায় পাব এত গল্প। এদিকে তিনি তো পায়ের ওপর পা তুলে রাতদিন ফষ্টিনষ্টি করে বেড়াচ্ছেন। কিসব বকাটে দের সাথে মিশে আদাড়ে বাদাড়ে ঘুরে মরে। দাঁড়াও না, খুড়োমশাই পরশুর ট্রেনে আসছেন। গুপীকে কান ধরে টেনে পশ্চিমে নিয়ে যাবে বলেছে।’
আমরা সমস্বরে চ্যাঁ ভ্যাঁ করে উঠলাম। ওমা, সে কী কথা! ছোটমামাকে নিয়ে চলে যাবে বললেই হোলো! ও না থাকলে আমাদের চীনে হোটেলে কে নিয়ে যাবে? ঘুড়ি লাটাই সুতো এসবের জোগানই বা পাব কোথায়! তাছাড়া ওর না ম্যাও ম্যাও এর জন্য তক্তা দিয়ে ঘর বানানোর কথা!
—‘তা সে সব আমি কি করে জানব বাপু! আমি, কি বলে, সকাল থেকে হাঁড়ী ঠেলি। এদিকে গিন্নিরা তো সব গতর উলটে হেদিয়ে মরছে। আমায় কে দেখে তাই বল? ওই গুপী তবু চোরা গোপ্তা নস্যির চালান দেয়। ও চলে গেলে আমিই বা সেসব কি করে পাব? তবে যাই বলিস, ছোঁড়ার মন বেশ ভালো। আমায় বড় মান্যি করে। এই দ্যাখ না কেমন খিলি দেওয়া জর্দা পান এনে দিয়েছে।’
আমরা চোখ গোলগোল করে দেখলাম, রান্নাঘরে চালের ডাব্বা সরাতেই পেছনের দেওয়ালে চারচৌকো খোপ বেরোল। ঢাকনা আঁটা। বাইরে থেকে বোঝে কার সাধ্যি। ছিটিকিনি খুলে ভেতর থেকে ইতুপিসী হলুদ রঙা বাক্স বের করল। ভেতরে থরে থরে সাজা পান।
—‘ইস্, কি সাবধানে লুকিয়ে রাখতে হয় জানিস। মেজ গিন্নীকে হদিস দিস না যেন। তোদের আবার যা কানে লাগানো স্বভাব। আচ্ছা শোন, কাল আসিস। বেলা পড়লে পায়েস রাঁধব। তখন চেরী ফলের ভাগ পাবি। এখন যা, পালা সব।’
হলুদ বাক্স আবার যথাস্থানে ঠাঁই পেল। বেজায় বিরক্ত হয়ে আমরা ঠেলাঠেলি করে এ ওর পা মাড়িয়ে রান্নাঘর থেকে সরে পড়লুম।
দুপুরবেলা এই সময়টা বড়রা সব যে যার ঘরে ঘুম দেয়। চাকর বাকররা দালানে শুয়ে গল্প আহ্লাদ করে। এ ওর পিঠ চুলকে দেয়। দেশের বাড়ীর খবর দেওয়ানেওয়া করে। আমরা সব উবু হয়ে বসে জুলজুল চোখে সেসব শুনি। বেনারসে আমাদের পুরোনো বাড়ীর কথা। গঙ্গার ঘাটে ভিঞ্চি মহারাজের কথা। জমকালো দূর্গাপুজোর কথা। আমরা ছোটরা অবশ্য সেসব কেউ দেখিনি, শুধু শৈলদিদি ছাড়া। ওকে নাকি হরিদাদু মাথায় চড়িয়ে পুজো দেখাত, চড়কের মেলায় নিয়ে যেত। হরিদাদু যখন বলল কলকাতায় আসবে না তখন নাকি শৈলদিদি খুব কেঁদেছিল। পুঁটে অবশ্য বলে, সব মিথ্যে কথা। শৈলদিদি নাকি সব্বার আগে জ্যাঠামশায়ের হাত ধরে স্টেশনে পৌঁছেছিল। ঠাকুমা ওকে বলেছে।
কলকাতায় এ বাড়ীতে অবশ্য মস্ত ছাদ আছে। মাঝখানে ছোট ছোট পাঁচিল টানা। আমি ওগুলো টপকাতে পারি না। পুঁটে পারে। পুঁটে সন্ধ্যেবেলা অন্ধকারে ছাদে যেতে পারে। ভূতে ভয় পায় না। খুব জোরে দৌড়তে পারে। চিলের ছাতে ঘুলঘুলিটা ওই প্রথম দেখেছিল। ছোটমামার সাথে ওর খুব ভাব। পুঁটে গাছে চড়তেও ওস্তাদ। ম্যাও ম্যাও যখন পেয়ারা গাছে উঠে আর নামতে পারছিল না, তখন পুঁটেই তো নামিয়ে আনল। তবে ও অঙ্কস্যারকে খুব ভয় পায়। আমি অবশ্য পাই না। আমার নাকি খুব বুদ্ধি। আমি ইশকুলে আঁক দিব্যি কষি।
রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে বড় দালানের এককোণে আমরা সব জমায়েত হলুম। দালানের রেলিঙে পিঠ ঠেকিয়ে পুঁটে বলল, ‘দেখেছিস! আমি আগেই জানতুম। সব্বাই ছোটমামাকে এখান থেকে সরাতে চায়। এবার খুড়োমশাই কলকাতায় এলেই নাকি ওকে সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন। বেনারসে কাগজের আপিসে ওর চাকরীর ব্যবস্থা হয়েছে। ভাগ্যিস আমি ঘুড়ি মাঞ্জাসুতোর সুলুকসন্ধান গুলো নিয়ে রেখেছি।’
আমার ভীষণ কান্না পেতে লাগলো। ছোটমামাকে আমি কি ভালোই না বাসি। ও চলে গেলে আমাদের আফ্রিকা যাওয়ারই বা কি হবে?
—‘আ হা হা। উনি আফ্রিকা যাবেন। তাহলেই হয়েছে। জানিস ছোটমামা পরীক্ষায় পাশ দিতে পারে না। যত গুলিখোরদের সাথে আড্ডা দেয়। অকম্মার ঢেঁকি একটা। খুড়োমশাইএর চেনা জানা বলে চাকরীটা করে দিতে পেরেছেন। না হলে...’ শৈলদিদি ধমকিয়ে উঠে যা নয় তাই বলতে লাগল। আমি অবশ্য আগেই জানতাম ও ছোটমামাকে পছন্দ করে না। গতবার জন্মদিনে শৈলদিদির বন্ধুরা যখন সব এসেছিল তখন তাদের বিনুনি বাঁধা দেখে ছোটমামা আর পুঁটে নাকি খুব হাসাহাসি করেছিল। সেই থেকে ওর যত রাগ। ছোটমামাকে নিয়ে খারাপ খারাপ কথা বলতে ওর একটু মুখে আটকায় না।
পুঁটে আমার গা ঘেঁষে কানের কাছে মুখ নিয়ে এসে বলতে লাগল, ‘এখন কি করা যায় তাই ভাব, ছোটমামাকে পাচার করলেই হোল নাকি? কোনো ফন্দি ফিকির বার করো একটা!’
ফন্দি ফিকির একটা বার করতেই হবে। ছোটমামা চলে গেলে সব্বাই আমাদের দিকে তাকিয়ে মুখ টিপে হাসবে। সেসব বরদাস্ত করা চলবে না। আছে নাকি কোনো শয়তানি বুদ্ধির চাল? যাতে এক প্যাঁচে সব্বাই কাত হবে। যে যাই বলুক বড়রা সব সময় সবটা টের পায় না। মেয়েরা তো আরোই না। অত গা ভর্তি কাপড়চোপড় গয়নাগাঁটি সামলে সুমলে সব নজরে রাখা কি চাট্টিখানি কথা। ইতুপিসী কি টের পায় নাকি যে ভাঁড়ারের চাবি সর্বদা ওঁর ট্যাঁকে থাকে না।
সাধারণত বুদ্ধির দরকার পড়লে আমি হাঁ করে আকাশ দেখি। রেলিঙের ফাঁক দিয়ে চৌখুপি আকাশপানে তাকাতেই দেখলুম দিব্যি কালো রঙ ধরেছে। পাশের বাড়ির ছাদের শাদা শাদা পায়রা গুলো গোল হয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে। বাদলা হবে। সন্ধ্যের দিকে ঝড়জল হলে দিব্যি মজা। যেমন সেই গেলবার সাইক্লোনের সময় হয়েছিল। অঙ্কস্যার নিশ্চয় কামাই দেবেন। তাহলেই আমাদের ঠাকুমার ঘরের খাটের তলায় বসে লন্ঠনের আলোয় কাটকুট খেলার বন্দোবস্তটা পাকা হয়। এইসময় ম্যাও ম্যাও কোথায় কে জানে। আমার সারা গায়ে রোমাঞ্চ হতে লাগল।
আমরা সমস্বরে চ্যাঁ ভ্যাঁ করে উঠলাম। ওমা, সে কী কথা! ছোটমামাকে নিয়ে চলে যাবে বললেই হোলো! ও না থাকলে আমাদের চীনে হোটেলে কে নিয়ে যাবে? ঘুড়ি লাটাই সুতো এসবের জোগানই বা পাব কোথায়! তাছাড়া ওর না ম্যাও ম্যাও এর জন্য তক্তা দিয়ে ঘর বানানোর কথা!
—‘তা সে সব আমি কি করে জানব বাপু! আমি, কি বলে, সকাল থেকে হাঁড়ী ঠেলি। এদিকে গিন্নিরা তো সব গতর উলটে হেদিয়ে মরছে। আমায় কে দেখে তাই বল? ওই গুপী তবু চোরা গোপ্তা নস্যির চালান দেয়। ও চলে গেলে আমিই বা সেসব কি করে পাব? তবে যাই বলিস, ছোঁড়ার মন বেশ ভালো। আমায় বড় মান্যি করে। এই দ্যাখ না কেমন খিলি দেওয়া জর্দা পান এনে দিয়েছে।’
আমরা চোখ গোলগোল করে দেখলাম, রান্নাঘরে চালের ডাব্বা সরাতেই পেছনের দেওয়ালে চারচৌকো খোপ বেরোল। ঢাকনা আঁটা। বাইরে থেকে বোঝে কার সাধ্যি। ছিটিকিনি খুলে ভেতর থেকে ইতুপিসী হলুদ রঙা বাক্স বের করল। ভেতরে থরে থরে সাজা পান।
—‘ইস্, কি সাবধানে লুকিয়ে রাখতে হয় জানিস। মেজ গিন্নীকে হদিস দিস না যেন। তোদের আবার যা কানে লাগানো স্বভাব। আচ্ছা শোন, কাল আসিস। বেলা পড়লে পায়েস রাঁধব। তখন চেরী ফলের ভাগ পাবি। এখন যা, পালা সব।’
হলুদ বাক্স আবার যথাস্থানে ঠাঁই পেল। বেজায় বিরক্ত হয়ে আমরা ঠেলাঠেলি করে এ ওর পা মাড়িয়ে রান্নাঘর থেকে সরে পড়লুম।
দুপুরবেলা এই সময়টা বড়রা সব যে যার ঘরে ঘুম দেয়। চাকর বাকররা দালানে শুয়ে গল্প আহ্লাদ করে। এ ওর পিঠ চুলকে দেয়। দেশের বাড়ীর খবর দেওয়ানেওয়া করে। আমরা সব উবু হয়ে বসে জুলজুল চোখে সেসব শুনি। বেনারসে আমাদের পুরোনো বাড়ীর কথা। গঙ্গার ঘাটে ভিঞ্চি মহারাজের কথা। জমকালো দূর্গাপুজোর কথা। আমরা ছোটরা অবশ্য সেসব কেউ দেখিনি, শুধু শৈলদিদি ছাড়া। ওকে নাকি হরিদাদু মাথায় চড়িয়ে পুজো দেখাত, চড়কের মেলায় নিয়ে যেত। হরিদাদু যখন বলল কলকাতায় আসবে না তখন নাকি শৈলদিদি খুব কেঁদেছিল। পুঁটে অবশ্য বলে, সব মিথ্যে কথা। শৈলদিদি নাকি সব্বার আগে জ্যাঠামশায়ের হাত ধরে স্টেশনে পৌঁছেছিল। ঠাকুমা ওকে বলেছে।
কলকাতায় এ বাড়ীতে অবশ্য মস্ত ছাদ আছে। মাঝখানে ছোট ছোট পাঁচিল টানা। আমি ওগুলো টপকাতে পারি না। পুঁটে পারে। পুঁটে সন্ধ্যেবেলা অন্ধকারে ছাদে যেতে পারে। ভূতে ভয় পায় না। খুব জোরে দৌড়তে পারে। চিলের ছাতে ঘুলঘুলিটা ওই প্রথম দেখেছিল। ছোটমামার সাথে ওর খুব ভাব। পুঁটে গাছে চড়তেও ওস্তাদ। ম্যাও ম্যাও যখন পেয়ারা গাছে উঠে আর নামতে পারছিল না, তখন পুঁটেই তো নামিয়ে আনল। তবে ও অঙ্কস্যারকে খুব ভয় পায়। আমি অবশ্য পাই না। আমার নাকি খুব বুদ্ধি। আমি ইশকুলে আঁক দিব্যি কষি।
রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে বড় দালানের এককোণে আমরা সব জমায়েত হলুম। দালানের রেলিঙে পিঠ ঠেকিয়ে পুঁটে বলল, ‘দেখেছিস! আমি আগেই জানতুম। সব্বাই ছোটমামাকে এখান থেকে সরাতে চায়। এবার খুড়োমশাই কলকাতায় এলেই নাকি ওকে সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন। বেনারসে কাগজের আপিসে ওর চাকরীর ব্যবস্থা হয়েছে। ভাগ্যিস আমি ঘুড়ি মাঞ্জাসুতোর সুলুকসন্ধান গুলো নিয়ে রেখেছি।’
আমার ভীষণ কান্না পেতে লাগলো। ছোটমামাকে আমি কি ভালোই না বাসি। ও চলে গেলে আমাদের আফ্রিকা যাওয়ারই বা কি হবে?
—‘আ হা হা। উনি আফ্রিকা যাবেন। তাহলেই হয়েছে। জানিস ছোটমামা পরীক্ষায় পাশ দিতে পারে না। যত গুলিখোরদের সাথে আড্ডা দেয়। অকম্মার ঢেঁকি একটা। খুড়োমশাইএর চেনা জানা বলে চাকরীটা করে দিতে পেরেছেন। না হলে...’ শৈলদিদি ধমকিয়ে উঠে যা নয় তাই বলতে লাগল। আমি অবশ্য আগেই জানতাম ও ছোটমামাকে পছন্দ করে না। গতবার জন্মদিনে শৈলদিদির বন্ধুরা যখন সব এসেছিল তখন তাদের বিনুনি বাঁধা দেখে ছোটমামা আর পুঁটে নাকি খুব হাসাহাসি করেছিল। সেই থেকে ওর যত রাগ। ছোটমামাকে নিয়ে খারাপ খারাপ কথা বলতে ওর একটু মুখে আটকায় না।
পুঁটে আমার গা ঘেঁষে কানের কাছে মুখ নিয়ে এসে বলতে লাগল, ‘এখন কি করা যায় তাই ভাব, ছোটমামাকে পাচার করলেই হোল নাকি? কোনো ফন্দি ফিকির বার করো একটা!’
ফন্দি ফিকির একটা বার করতেই হবে। ছোটমামা চলে গেলে সব্বাই আমাদের দিকে তাকিয়ে মুখ টিপে হাসবে। সেসব বরদাস্ত করা চলবে না। আছে নাকি কোনো শয়তানি বুদ্ধির চাল? যাতে এক প্যাঁচে সব্বাই কাত হবে। যে যাই বলুক বড়রা সব সময় সবটা টের পায় না। মেয়েরা তো আরোই না। অত গা ভর্তি কাপড়চোপড় গয়নাগাঁটি সামলে সুমলে সব নজরে রাখা কি চাট্টিখানি কথা। ইতুপিসী কি টের পায় নাকি যে ভাঁড়ারের চাবি সর্বদা ওঁর ট্যাঁকে থাকে না।
সাধারণত বুদ্ধির দরকার পড়লে আমি হাঁ করে আকাশ দেখি। রেলিঙের ফাঁক দিয়ে চৌখুপি আকাশপানে তাকাতেই দেখলুম দিব্যি কালো রঙ ধরেছে। পাশের বাড়ির ছাদের শাদা শাদা পায়রা গুলো গোল হয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে। বাদলা হবে। সন্ধ্যের দিকে ঝড়জল হলে দিব্যি মজা। যেমন সেই গেলবার সাইক্লোনের সময় হয়েছিল। অঙ্কস্যার নিশ্চয় কামাই দেবেন। তাহলেই আমাদের ঠাকুমার ঘরের খাটের তলায় বসে লন্ঠনের আলোয় কাটকুট খেলার বন্দোবস্তটা পাকা হয়। এইসময় ম্যাও ম্যাও কোথায় কে জানে। আমার সারা গায়ে রোমাঞ্চ হতে লাগল।
2 comments:
তোমার লেখা পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছে তুমি ইচ্ছেমত লেখার স্টাইলকে বদলে ফেলতে পার এবং তা পারো খুব স্বচ্ছন্দে ও অনায়াসে। যেমন এই লেখাটাই... পড়তে-পড়তে ভীষণ লীলা মজুমদার মনে পড়ছিল। আরেকটা লেখা পড়েছিলাম যেটায় শীর্ষেন্দু স্টাইল ছিল। জানিনা এর পরের পর্ব্বগুলো কোন পথে যাবে, তবে এটার মধ্যে যে কৈশোরপন আছে, তা'তে আনন্দমেলার জন্য একদম আইডিয়াল এটা। তোমার গুণপনা দেখতে-দেখতে অবাক হচ্ছি তিতাস। একই সঙ্গে এতকিছু কি করে সামলাও! খুব ভাল লিখেছ এটা।
ও হ্যাঁ, তোমার স্কেচ দেখে অভ্র যা বলেছে তা কি দেথেছ? উত্তর দেবে না?
হ্যাঁ মঞ্জুদি, তুমি ঠিকই ধরেছ। এটা ঐ স্টাইলেই লেখা। আসলে কি জানো, আমার ভাবতে ভালো লাগে না যে উনি আর আমাদের জন্য (ছোটদের জন্য) লিখবেন না। তাই নিজেকে প্রবোধ দিতেই এমনটা করি।
ওঁর মতো লিখতে তো কোনোদিন পারব না, কিন্তু যদি লেখা পড়ে কেউ কাছাকাছি রকমের একটা আনন্দ পায় তাই তো অনেক পাওয়া হল।
অভ্রদার কমেন্ট দেখেছি। রিপ্লাই দিচ্ছি। ......তিতাস
Post a Comment