Friday, 12 August 2011

যাচ্ছি দূরে


মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী 
ওরে ওরে ওরে আমার মন মেতেছে।  কেন? কেন আবার, বৃষ্টিতে সাধ গিয়েছে ভিজতে, তাই যাচ্ছি দূরে। কদম্বের গন্ধ-মাতাল বনে, হলুদ রেণুর সুরে, বন্ধু-আঙুল আঁকড়ে যাব লেবু রঙা নদীর জলে মন ভাসাতে সাতটি সহ-সুমন। জায়গার নাম হাজারীবাগ, নদীর নাম বরাকর, প্রেমের নাম প্রকৃতি আর আমার নাম পাগল। থাকবো বনের আপন ঘরে, আর কচুপাতার মুক্তোকণা নিয়ে প্রাণ ভরে খেলবো সাতজনে।

আর স্বজন? কি যে বলি, কেমন যেন স্বজন!!!!! মন মরুক, দেহ বাঁচুক ভাবনা ফাঁদে পড়ে, তারা একশো পিছুটানে। যেওনা, যেওনা... জলে বানের ডাক, যেওনা, যেওনা... হাওয়ায় বিপদ-আভাস। কোথায়? আমি তো দেখি জলে পানকৌড়ির ডুব, আমি তো হাওয়ায় শুনি মেঠো বাঁশীর সুর। এজন্যই স্বজন তুমি আর আমি মিললাম না কোন কালেই। কি আর উপায়? তুমি থাক নাহয় তোমার সুখী উদ্বেগকে সঙ্গী করে আর আমি ঝর্ণা তলার বিপদে। ফিরে আসি, দেখা হবে রোদের পথে ফের। তখন স্বজন- কেঁদনা।

2 comments:

Unknown said...

ও ব্বাবা, কেউ পড়েনি? গেলাম আবার ফিরেও এলাম, মানুষজনের খেয়ালই নেই। যাক্ গে, কি আর উপায়... একলাই যাই, একলাই ফিরি, একলাই পড়ি, একলাই বলি।

গিয়েছিলাম বনে। এই প্রকৃতি যেন বৃষ্টির নূপুর পায়ে রিমঝিম... ভেজা কদম্ব ফুল। বাইরে বেরতে পারিনি, তাই বন-আবাসে বসে বনের সুগন্ধ নিয়েই কাটিয়ে দিলাম দিন। আর সাত পাগলে কি না করেছি, সাতশো খেলাধূলা, সাত হাজার গান আর সাত হাজার সাতশো কিসিমের মজা। ছিল মেঘলা দুপুর, ভরা বরাকর নদী, সবুজ পাতায় বৃষ্টিফোঁটার চিকমিক, বনপথে বিছিয়ে থাকা রাধাচূড়া আর আমরা ক-জন দিকভোলা, সহ-অনুভবী পথিক।

ব্যস, বেশ কাটল আমার দিন-দুপুর-রাত।

আল ইমরান said...

থাকবো বনের আপন ঘরে, আর কচুপাতার মুক্তোকণা নিয়ে প্রাণ ভ’রে খেলবো সাতজনে।

চমৎকার লিখেছ কিন্তু। আমার নামটা একটু পরিবর্তন করেছি।