মঞ্জু তোমার লেখাটা পড়ে আমার এই লেখাটা পোস্ট করতে ইচ্ছে হোল,তবে ইমেজ ফাইল হিসাবে দিতে হোল। প্রথমে পাতাতে ক্লিক করে show original এ ক্লিক করলে ভালোভাবে পড়া যাবে,দরকার পড়লে জুম করে বড় করে নেওয়াও যেতে পারে। এটা আমার অনেক আগের লেখা তবে তোমার লেখার সাথে হয়তো কিছু মিল আছে।
দুর্দান্ত হয়েছে দাদা লেখাটা... একদম প্রাণের কথা মনের কথা লিখেছেন। তবে যে মাপের হাস্যরস দিয়েছেন, সেটাই এ লেখাটার ইউ.এস.পি।
প্রথমদিকে কম ঠকেছি? আড়াইহাজার শব্দসংখ্যার লেখা পাঠিয়ে শুনলাম কম করে সাড়ে চারহাজার চাই। ঐ যে বললেন ভুসিমাল, তা বাড়াতে গিয়ে তাই তো হল। ফলস্বরূপ ঘরের বেড়াল ঘরেই ব্যাক। কারুর চাহিদা সাতশো শব্দের গপ্প, কারুর দেড়হাজার, কেউ আবার...
এরকম ঠকে-ঠকে এখন চালাক হয়ে গেছি। কোন ক্যাটাগরির লেখার জন্য কত শব্দ বরাদ্দ, তা আগে জেনে নিই, তারপর লিখতে বসি। তবু সামলাতে পারিনা। ঐ যে বলেছেন না, ‘কেউ সাতেও নেই পাঁচেও নেই আবার সবেতেই আছেন’। অসুবিধে হয় এ’সব জায়গাগুলোয়। আজকের আনন্দবাজারেই শারদীয়া পত্রিকাগুলো সম্পর্কে ‘বইপোকা’-র একটা সমালোচনা পড়লাম, শিরোনাম- ‘তাঁহারা বৃদ্ধ হইয়াছেন।‘ মূল বক্তব্য এই যে, নামী-দামী মানুষগুলো যাচ্ছেতাই লিখছেন। কোনো প্রাতিষ্ঠানিক পত্রিকার প্রথিতযশার উপন্যাস যদি শুরু হয়েছে রহস্যের ওড়না জড়িয়ে তা নাকি শেষও হয়ে গেছে রহস্যের নিষ্পত্তি না ঘটিয়ে। পাঠকের প্রতি এ’সব মারাত্মক অবিচার, তবু। কেউ আবার উপন্যাসের শেষে নাকি লিখেছেন ‘পরবর্তী সংখ্যায় সমাপ্য’। মানে? পরবর্তী পূজাসংখ্যায়? আসলে নামে কাটবে জেনে পত্রিকা দপ্তর যদি চর্বিতচর্বন চালু রাখে, তবে ভারে কেন কাটবে না সাহিত্যিককুল? তারাও একসময় প্রচুর ক্ষইয়েছে জুতোর শুকতলা, তারাও আপনার মত কত লেখাই হয়তো ভাসিয়ে দিয়েছে নদীতে। আজ তাই সুযোগ পেতেই...
যদিও হওয়া উচিত্ ছিলনা। দায় তো সর্বাগ্রে পত্রিকাগুলোর। তারা কি হাওয়ার খবর পড়তে পারেনা- না জানেনা যে উঠতি কত মানুষ কত ভাল লিখছেন? সামান্য নেট-পত্রিকাগুলো পড়তে গিয়েই আমি থতিয়ে যাচ্ছি আর তারা তো বুলডগের মত... খোঁজপাত্তা লাগিয়ে রাখা লেখক তৈরীর কারিগর।
ও হবেনা, হবেনা। একটা গয়ংগচ্ছ দিনের নিরিখে এ্যাডনির্ভর পত্রিকাগুলো আমাদের মত কেয়ারলেস, আদেখলে, মধ্যমাপের মানুষজনের প্রতিনিধিত্ব ততদিন করবে, যতদিন আমরা না সচেতন হবো। যা পাচ্ছি তাতেই ধন্য আমরা সমবেতভাবে বলাটুকুও কি জারি রাখতে পারতাম না?
আমার লেখা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। পাঠক যতদিন না নিজের পছন্দটা বেছে নেওয়ার সুযোগ পাছে ততদিন এডিটর যা খাওয়াবে তাই খেতে হবে। সেক্ষেত্রে আমাদের মতো অনামি লেখকদের কোনদিনও সুযোগ মিলবে না। এখন অনলাইন পত্রিকা বা ব্লগগুলো পাঠকদের এই বেছে নেওয়ার সুযোগ কিছুটা দেয় সেটাও বড় পাওয়া। আমি এই প্রসঙ্গে আর একটা পুরনো লেখা দিলাম - পড়ে দেখো।
3 comments:
মঞ্জু
তোমার লেখাটা পড়ে আমার এই লেখাটা পোস্ট করতে ইচ্ছে হোল,তবে ইমেজ ফাইল হিসাবে দিতে হোল। প্রথমে পাতাতে ক্লিক করে show original এ ক্লিক করলে ভালোভাবে পড়া যাবে,দরকার পড়লে জুম করে বড় করে নেওয়াও যেতে পারে। এটা আমার অনেক আগের লেখা তবে তোমার লেখার সাথে হয়তো কিছু মিল আছে।
দুর্দান্ত হয়েছে দাদা লেখাটা... একদম প্রাণের কথা মনের কথা লিখেছেন। তবে যে মাপের হাস্যরস দিয়েছেন, সেটাই এ লেখাটার ইউ.এস.পি।
প্রথমদিকে কম ঠকেছি? আড়াইহাজার শব্দসংখ্যার লেখা পাঠিয়ে শুনলাম কম করে সাড়ে চারহাজার চাই। ঐ যে বললেন ভুসিমাল, তা বাড়াতে গিয়ে তাই তো হল। ফলস্বরূপ ঘরের বেড়াল ঘরেই ব্যাক। কারুর চাহিদা সাতশো শব্দের গপ্প, কারুর দেড়হাজার, কেউ আবার...
এরকম ঠকে-ঠকে এখন চালাক হয়ে গেছি। কোন ক্যাটাগরির লেখার জন্য কত শব্দ বরাদ্দ, তা আগে জেনে নিই, তারপর লিখতে বসি। তবু সামলাতে পারিনা। ঐ যে বলেছেন না,
‘কেউ সাতেও নেই পাঁচেও নেই আবার সবেতেই আছেন’। অসুবিধে হয় এ’সব জায়গাগুলোয়।
আজকের আনন্দবাজারেই শারদীয়া পত্রিকাগুলো সম্পর্কে ‘বইপোকা’-র একটা সমালোচনা পড়লাম, শিরোনাম- ‘তাঁহারা বৃদ্ধ হইয়াছেন।‘ মূল বক্তব্য এই যে, নামী-দামী মানুষগুলো যাচ্ছেতাই লিখছেন। কোনো প্রাতিষ্ঠানিক পত্রিকার প্রথিতযশার উপন্যাস যদি শুরু হয়েছে রহস্যের ওড়না জড়িয়ে তা নাকি শেষও হয়ে গেছে রহস্যের নিষ্পত্তি না ঘটিয়ে। পাঠকের প্রতি এ’সব মারাত্মক অবিচার, তবু। কেউ আবার উপন্যাসের শেষে নাকি লিখেছেন ‘পরবর্তী সংখ্যায় সমাপ্য’। মানে? পরবর্তী পূজাসংখ্যায়? আসলে নামে কাটবে জেনে পত্রিকা দপ্তর যদি চর্বিতচর্বন চালু রাখে, তবে ভারে কেন কাটবে না সাহিত্যিককুল? তারাও একসময় প্রচুর ক্ষইয়েছে জুতোর শুকতলা, তারাও আপনার মত কত লেখাই হয়তো ভাসিয়ে দিয়েছে নদীতে। আজ তাই সুযোগ পেতেই...
যদিও হওয়া উচিত্ ছিলনা। দায় তো সর্বাগ্রে পত্রিকাগুলোর। তারা কি হাওয়ার খবর পড়তে পারেনা- না জানেনা যে উঠতি কত মানুষ কত ভাল লিখছেন? সামান্য নেট-পত্রিকাগুলো পড়তে গিয়েই আমি থতিয়ে যাচ্ছি আর তারা তো বুলডগের মত... খোঁজপাত্তা লাগিয়ে রাখা লেখক তৈরীর কারিগর।
ও হবেনা, হবেনা। একটা গয়ংগচ্ছ দিনের নিরিখে এ্যাডনির্ভর পত্রিকাগুলো আমাদের মত কেয়ারলেস, আদেখলে, মধ্যমাপের মানুষজনের প্রতিনিধিত্ব ততদিন করবে, যতদিন আমরা না সচেতন হবো। যা পাচ্ছি তাতেই ধন্য আমরা সমবেতভাবে বলাটুকুও কি জারি রাখতে পারতাম না?
আপনার এই লেখাটা তাই খুবই প্রাসঙ্গিক দাদা।
আমার লেখা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
পাঠক যতদিন না নিজের পছন্দটা বেছে নেওয়ার সুযোগ পাছে ততদিন এডিটর যা খাওয়াবে তাই খেতে হবে। সেক্ষেত্রে আমাদের মতো অনামি লেখকদের কোনদিনও সুযোগ মিলবে না। এখন অনলাইন পত্রিকা বা ব্লগগুলো পাঠকদের এই বেছে নেওয়ার সুযোগ কিছুটা দেয় সেটাও বড় পাওয়া।
আমি এই প্রসঙ্গে আর একটা পুরনো লেখা দিলাম - পড়ে দেখো।
Post a Comment