Thursday, 20 October 2011

কেন লিখি


'কর্নিকা' নামের ই-পত্রিকায় প্রকাশিত লেখা

মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী

সত্যি তো কেন লিখি? কী হয় না লিখে শুধু লেখা পড়লে, টিভি দেখলে, নাটক, সিনেমা, আড্ডা, নাচ... কতকিছুই তো আছে ব্যস্ত থাকার জন্য, তবু? আমি প্রথম-প্রথম যা লিখতাম, তা নিজেকে নিজে বলতে চাইতাম অথচ চেঁচিয়ে তো বলা যেতনা, তাই লিখতাম। এমন কিছু কথা, এমন কিছু অনুভব, এমন কিছু কষ্ট-রাগপেতে চেয়ে না পাওয়া প্রেম- দিতে চেয়ে অফুরন্ত অশ্রদ্ধা, অক্ষম সহস্র যন্ত্রণার অভিব্যক্তি ছিল লেখা। লেখার প্রয়োজন ও উদ্দেশ্য নিয়ে সেই ছোটবেলা থেকে কী কম কথা শুনলাম? জ্ঞানের কথা, আখেরে লাভের কথা? বাবা বললেন চেঁচিয়ে-চেঁচিয়ে যতই পড়ি নাকি লাভ নেই- লিখতে হবে এবং লিখতেই হবে। মাষ্টারমশাই বললেন, মনের মধ্যে পড়াকে সিঁধিয়ে দিতে লিখে-লিখে পড়ার কোন বিকল্প নেই। ভাল মেয়ে গুণী মেয়ে-র লোভ দেখানো সিধে রাস্তার সোজা ঠিকানায় পৌঁছে দিতে স্কুলটীচার হোমওয়ার্ক দিলেন। অথচ আমি? আমি যে কুঁড়ের ডিম, পড়তে ভালবাসি বেশী, লিখি নাসেইখানেই রাজ্যের অনীহা। স্বভাবতঃই পরীক্ষার খাতা সে বাবদের হিসেব-নিকেশ কড়ায়-গন্ডায় বুঝিয়ে দিত বেশ। মাঝেসাঝেই গার্জেন কল, আর রেজাল্টের দিন ধুকুপুকু বুকের, ডিমে তা দিতে বসা পাখীর চোখের মত ভ্যাবলা ছানাবড়া দিন। ঠিক সেই সময়েই অপূর্ণ ইচ্ছেরা, অজস্র আনতাবড়ী তুচ্ছ ঘটনারা, আকন্ঠ আবেগ মেখে অথচ ঝরে পড়ত খাতার পাতায়- দিব্যি। দেরাজের কোণায়, তোষকের তলায়, দীপু-পিসীর ভাঙ্গা তোরঙ্গের নীচে লুকিয়ে হয়তো শ্বাস নিচ্ছে এমনি আমার হরেক হরিদাসের বুলবুল ভাজা- আজও।

কীজানি কী করে সেই অন্য কিছু লিখতাম- লিখে চলেছিলাম। বাস্তব অবস্থা থেকে পালানো সেইসব দিন-মাস-বছর গেছে ভাবরাজ্যের ঠেউ গুনে-গুনে। সেই উপচানো ফুলেফেঁপে ওটা ঠেউ গুলোতে বাঁধ দিতে চেয়েছি যত তত থ্যাপস্ গেড়ে বসেছি লেখার কাছে। ক্রমশঃ পেঁয়াজের খোসা খুলে-খুলে জীবনও একসময় বার গার্লের স্ট্রিপটিজ ডান্স- এসে দাঁড়িয়েছে নিজেরই কাছে, মুখ ঢেকে। খুব আকুলতা তাকে দেখার, বোঝার। শেষে অনেক খুঁজে, অনেক কেঁদে, অন্তরের অন্দরে-বন্দরে ভাবনা এসে ভিডেছিল- আলগোছে। ভাবনার বিমূর্ত রূপকলায় কি লাভ? বয়ে তো যেতে পারেনা সেসব অনুভব- বরং গতি হওয়া চাই। কথারা এলো আর সাক্ষর না রেখে গেলো, তা হয় নাকি? হয় না আর তাই লেখা। যা বাঁদর ছিল, তা কখনো আদর দিয়ে কোলে তুলেছি যেন রাজপুত্তুর, কখনো অমনোযোগের আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলেছি শুধু লেখার কারিকুরী দিয়েই। লেখার মধ্যে দিয়েই প্রকাশ করেছি উদ্দীপনা, প্রকাশ করেছি ঘৃণা। এত ভাল বন্ধু আমার কেউ নেই। নিজেকে ধরা দেওয়া যে লেখা, আর ধরা না দিয়ে ঘোরানো যে গোপনচারী লেখা, এনজয় করেছি তার সমগ্রটা।

দোলের দিনে বন্ধুর দাদার সাদা পাঞ্জাবীর ওপর আবীরের হাল্কা প্রলেপ কত কথা যে সেদিন ঘাড় ধরে লিখিয়ে নিয়েছিল! সেদিনের সেই অনুভব, আর অনুভব-জারিত সেইসব লেখা আজ সমার্থক। একে অন্যের গায়ে কী তারা নির্দোষ লেপ্টে নেই? আছে। না লিখতাম যদি, তবে কোথায় পেতাম সেই সুগন্ধ? আসলে অনেক চেনা-অচেনা গন্ধদের আগলে বুকে রাখবো বলে লিখি এবং লিখেই চলি। প্রধানতঃ নিজেকে খুশী করি আগে, আর ঠিক পরবর্ত্তীতেই ইচ্ছে করে- সেই খুশী ছড়িয়ে দিই। কেননা বাকীদের মনোজগতেও এমনি ঠেউ ওঠে কিনা, এমনি উচাটন গানে সেজনও মাতোয়ারা কিনা বা আমার সঙ্গে একাত্ম সে হচ্ছে কিনা-সব জানার ভারী লোভ। কোথাও থেকে আমায় তাগাদা পেতে হয়না, প্রাতিষ্ঠানিক মূল্যায়নেও হয়তো জয় এলোনা, তবু নিজের কাছে নিজের খুশীর বাঁচাটা চাই, তাই লেখা। লেখা এখন অভ্যাস, লেখা এখন পূজার মত নিত্যকর্ম।

এই লেখা-লেখা মজার আন্দাজ স্কুল জীবনের শেষের দিকে পেয়েছিলাম হঠাত্ই। একটু সাদামাটা ভোলেভালা এক বান্ধবী ছিল আমার, যে পরীর মত সুন্দরী। ডাব্বা-ডাব্বা প্রেমপত্র পেত সে- দেড়শো ছেলের থেকে। অথচ জানিনা তার বোধ ছিলনা না মন ছিলনা, সেইসব নিবেদনকে, বুক-উথলানী রক্তপাতকে সে আমার কাছে এনে উপুড় দিত- পড়ে আমায় উত্তর লিখতে হবে বলে। কত ধরণের সেসব ব্যাথা, কত ধরণের বিভিন্নতা সেই সব প্রকাশভঙ্গীর ও শ্রেণীর। সেই শুরু আমার অজানা নায়কদের মনের দালানকোঠায় বসিয়ে বানিয়ে-বানিয়ে কথা বলার। অথচ নিজে প্রেমে পড়ে যে লেখা লিখলাম, তা দেখি একেবারেই আলাদা- সাজানো দালানকোঠার একখানা থামও কোথাও নেই। পরবর্ত্তীকালে বুঝি, সোহিনী আমার পরম বন্ধু ছিল বলেই এমনি করে লেখার কাছে হাত ধরে আমায় বসিয়ে দিয়ে গেল। সেইসব দিন, সেসব লেখা চলে গিয়েছে কোন অপিরিচিত অনির্দেশের দিকে। কিন্তু শব্দবৃত্তের মধ্যে দিয়ে পাক খেয়ে-খেয়ে বাক্যের কাছে পৌঁছন সেই কোজাগরী প্রকাশ যা ছিল, তা ছিল একান্তই আমার। স্বপ্নঘোরের মত আজও আমি লেখার মধ্যে দিয়ে পথ হাঁটি। শুধু বদলে গেছে সেদিনের সময় ও হিসেব। তখন ছিল দিস্তে-দিস্তে কাগজের তাড়ায় লেখার দিন। আমার হাজার একটা অনুভবের বান্ডিল থেকে কাগজ কেটেকুটে, কখনো সেসব ভাইয়ের নৌকো, কখনো এরোপ্লেন, কখনো ঘুর্ণি। আর এখনকার লেখালিখি? কেউ নিয়ে নেবার বা পড়ে ফেলবার ভারমুক্ত- প্রযুক্তি-তালার পার্সোনাল লকারে নিরুপোদ্রব, সদানন্দ, বিনদাস। কাগজ-কলমের আড়ম্বর ফেলে, কম্প্যুকান্ডের ফান্ডায় এখন সে স্লিম, মর্ডান, সুখী।

কেন লিখি তার মুখ্য কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম কারণ হল প্রযুক্তির এই নব্য ভূমিকাকে ভালবাসা ও আত্মসমর্পন। কম্প্যুটার খুলে বসলে, অখেয়ালেই হাত কীবোর্ডের চাবীতে যায়, মন উঁকি দেয় ভাবনঘরে, আর আমি আবিষ্কার করি কিছু লেখা, যা একশোবার ফেয়ার করার দরকার নেই, দলামোচড়া হয়ে এদিকে-ওদিকে ছড়াবার নেই, সোজা প্রিন্ট আউট নিলেই হল। প্রয়োজনে ডকুমেন্ট ইমেজ বা পি.ডি.এফ ফর্ম্যাট। প্রযুক্তি লেখা ভালবেসেছি এতই যে এই অকারণের গানও তো দিব্যি চাবী টিপে-টিপে গেয়ে ফেললাম এতদুর। এসব স্বত্বেও কেন লিখি আমাকে ভাবিয়েছিল বলেই লিখে ফেললাম নীচের লেখাটাও-

গভীর ভালবাসা থাকলেই বুঝি লেখা যায়?
না বোধহয়।
স্বতোঃত্সারিত এই প্রকাশ সেই তার
যার প্রাণ-
স্ফুর্তির পেয়ালায় জীবনের আলাপনে অকুন্ঠ-
অবিরল।
ভুবন- অনন্ত-প্রবাহের আহ্লাদ মেখে মাতোয়ারা যখন
তখনই উচাটন,
তখনই মনোমুকুরে আলোর স্তুপ, উদ্দীপনার ঠেউ-
অংশুময়ী, অনর্গল।
                                        
****************************

6 comments:

আল ইমরান said...

সত্যিই দিদি, কিছু কাজ থাকে পৃথিবীতে যা দাম দিয়ে মূল্যায়ন করা যায় না। মনের ভিতরের সুপ্ত আবেগই থাকে তার চালিকাশক্তি।
খুব সরল স্বীকারউক্তি "ভালো লাগলো"

nilakash said...

আপনার লেখার স্টাইল দিয়ে নিজেকে চিনিয়ে দেন আপনি্। এখানেও তার অন্যথা নেই... অসাধারণ লাগল্। সহজ ও অসম্ভব আন্তরিক্।

aloke bhanja said...

লেখাটা দারুন লাগলো , তোমার এই ধরণের লেখাগুলো পড়ে যতটা সহজ লাগে, লেখা কিন্তু ততটা সহজ নয় সেটা খুব ভালোই বুঝি। তোমার কাছে এটা এখন প্রায় নিত্যকর্মর মতো হয়ে গেছে তাই অনয়াসেই তা বেরিয়ে আসে কিন্তু আমাদের মতো কোষ্ঠ-কাঠিন্য রুগীদের কাছে তা কল্পনাতীত.....তাই ভাবি এভাবে আমিও যদি লিখতে পারতাম। যাক যা হবার নয় তা নিয়ে ভেবে কোনো লাভ নেই, হিমাদ্রীর গল্পের মতো ঐ "কলা"বা "মিল্ক অফ মেগ্নেশিয়া"খেয়েও কোনো লাভ নেই। আসলে লেখার সূত্রপাত আবেগ থেকে, সেই আবেগ মনের মধ্যে ঘুরপাক খেতে খেতে তা মোচড় দিতে থাকে এক সময় বেগের সঞ্চার করে এবং তা লেখা হয়ে বেরিয়ে আসতে চায়। আবেগ হয়তো অনেকেরই আসে কিন্তু তা বেগে রুপান্তরিত হয়না শুধূ অম্বলের গ্যসের মতো কেবলি মনে ধাক্কা মারতে থাকে অথচ কিছুতেই বেরিয়ে আসেনা,ভ্যাগিস আসেনা তাহলে লেখক-লেখিকাতে দেশ ভরে যেত, ভালো জিনিস কম পাওয়া যায় তাই ভালো, নইলে কোনো দামই থাকতো না।
অনেকে সারা জীবনধরে শুধূ পড়েই যায় লেখার কথা ভুলেও ভাবে না, আমার এক ভায়রাভাই আছেন তার ঘরটি একটি লাইব্রেরি, সারাজীবন ধরে অগনিত বই পড়েই চলেছেন কিন্তু কখনো কিছু লেখেন না -আমি কতবার বলি আপনার এতদিনের অভিজ্ঞতা,জ্ঞান অন্যদেরকেও একটু অবগত করান কিন্তু উনি ওনার নিজের বিচারে অনড়, আমি তাই অনেক সময় মজা করে বলি আপনি নিজে বই পড়ে মরবেন এবং আপনার বউও বই পড়েই মারা যাবেন,কারণ মোটামোটা বইগুলো যেভাবে বিপদজনকভাবে লিন্টনের উপর রাখা থাকে তা পড়ে কেউ মারা যেতেই পারে।
প্রধানতঃ নিজেকে খুশী করি আগে, আর ঠিক পরবর্ত্তীতেই ইচ্ছে করে-সেই খুশী ছড়িয়ে দিই।
তোমার এই কথাটা খুব খাঁটি - নিজে খুশি হতে না পারলে তা কখনই অন্যকে খুশি করতে পারেনা,
এটা শুধূ লেখার ক্ষেত্রে নয়,সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
দ্বিতীয়তঃ অন্যকে খুশি করার মধ্যে যে আনন্দ তা নিজেকে খুশি করার মধ্যে কৈ…….

Unknown said...

এজন্যই দাদা আপনার সঙ্গে আমার মতের এতটা মিল। ঐ যে লিখেছেন- 'অন্যকে খুশি করার মধ্যে যে আনন্দ তা নিজেকে খুশি করার মধ্যে কৈ...' এই বিশ্বাসকে ধরেই চলে এলাম যখন অনেকটা পথ, তখন হঠাত্ই একদিন পিছু মুড়ে দেখি আমি হেরো, হেরো... আমার জন্য দুনিয়া নেই, আমি দুনিয়ার খুশীর জন্য। আমি জানিনা এই 'সুখ' পেতে গিয়ে নিজেকে যত 'অসুখ' আপনি দিলেন, তাকে আইডিন্টিফাই করতে পারেন কিনা। আমি পারি। তবে ও'টুকুই, পারি, কিন্তু পেরোতে পারিনা নিজেকে। বহুকাল প্রশ্নহীন দেওয়ার খুশীতে ছিলাম, একদিন আমার গোপন ভান্ড উপুড় দিতে খোলামকুচি পেলাম। যাদের জন্য ফুরিয়ে ফেলেছি স্বর্ণসময়, তারা অথচ আলাভোলা, আনমোনা, ছেলেমানুষ।

আপনি এই মনোভঙ্গীকে যতই হাইলাইট করুন, আমি কিন্তু ঠকে-ঠকে আজ নিজের প্রতি বীতশ্রদ্ধ, বিরক্ত। পালাতে চাই, নিজের দিকে তাকাতে চাই, স্বার্থী বোধের উদ্বোধনে মাতাতে চাই আমার আগামী বাঁচা, কিন্তু হচ্ছে কৈ? এমন ভাবেই দাদা প্রোগামড হয়ে এসেছি, যে নিত্য আমি আমার বৃত্তে চরকির মত ঘুরপাক খেয়ে যাচ্ছি। এটাই বোধহয় নিয়তি, এটাই বিধিলিপি। বুদ্ধি দিয়ে ছুঁতে পারছি আমার বৃত্তান্ত অথচ প্রোগ্রামিং-এর জাল কেটে বেরবো তা দুঃসাধ্য। ফলতঃ অবস্থা আরো করুণ। মাথায় বরফজলের ঠান্ডাই- পায়ের তলায় দাউদাউ আগুন।

দেখলেন দাদা, কতদূর বলে এলাম। মনোমত কথা পেলে থামতে পারিনা, আপনার বলামত ঐ 'আবেগ' নামক বস্তুটির দাসত্ব করতে হল।

aloke bhanja said...

কথায় আছে "অধিকন্তু ন দোষায়ঃ" কিন্তু এটা ভুল - কোনো কিছুই বেশি ভালো নয়...সে টাকা-পয়সা প্রেম-ভালোবাসা, স্নেহ-মমতা যাই বালো না কেন। কমের জন্য কষ্ট থাকে কিন্তু সমস্যা অনেক কম,যা বেশির জন্য থাকে। মদ ততটুকুই ভালো যতক্ষণ মানুষ মদকে খায় আর যখন মদ মানুষকে খেতে থাকে তখনি যত ঝামেলা। এই গান নাচ, ছবি আঁকা, ছবি তোলা সবই তাই কারণ এগুলোও এক ধরণের নেশা, যাকে কন্ট্রোল করা খুব জরুরী নইলে সে তোমাকে কন্ট্রোল করবে তখন পালাবার পথ পাবে না। আমিও এসব করি বটে তবে এখনো কন্ট্রোলের মধ্যেই আছি, তাই এখনো নিজের মধ্যে থাকার সুযোগ পাই, তবে তার মূল কারণ হয়তো আমি তোমার মতো সমাদৃত নই বা হতে পারিনি, অনেকটা ঘুষ পাইনা তাই সাধু আছি পেলে কি হোত জানিনা গোছের ব্যাপার। আসলে একমাত্র ভগবানের দেওয়া কিছু প্রাকৃতিক কর্ম ছাড়া কোনো কিছুই নিত্যকর্ম হয়ে উঠলে তা আর আনন্দ দেয় না, কারণ মানুষ সবসময় বৈচিত্র খুঁজে বেড়ায়।
তাই বলছি সব আবেগকে বেগে রুপান্তরিত হতে দিও না, আর পারলে প্রাণায়াম কারো দেখবে দারুন এক প্রশান্তি পাবে, কাজ করার ইচ্ছে আরো বাড়বে অথচ ক্লান্ত লাগবে না - কারণ মানুষের বেশিরভাগ ক্লান্তিই মনে, দেহে নয়।
আমি সেই বাঙ্গালোরের শেখা বিদ্যে এখনো চালিয়ে যাচ্ছি এবং অনেক প্রানবন্ত রয়েছি, সেই ধারণা নিয়েই কথাগুলো লিখলাম।

nilakash said...

আলোচনাটা রসিয়ে পড়লাম। আপনার ব্লগের মনফসল নামটা একদম উপযুক্ত হয়েছে।