বিমুগ্ধ বিমর্ষ আকাশে
ভেজা চাঁদ যেন পূর্ণিমার দাবি রাখে
তারাগুলো যেথায় একজোট বাঁধে
বাঁধে মোহিত সুর বীণায়।
সেথায়, ভাবনার ছেঁড়া সুতো
নীলচে নির্বাসনের কাছে জমা রেখে
বনবিলাশী একাকী একজন
কুয়াশাভেজা হাসনাহেনা জড়ায় অনুভবে
ব্যাস্ত শহরের ব্যাস্ততা মাখা অস্থিরতা ছেড়ে
দূরের কোন পাড়াগাঁয়ের হাতছানি
টিনের চালে পাতায় জমা
কুয়াশার টুপ টাপ ঝরে পড়া
সেই টাপুর টুপুরের মোহে মোহাচ্ছন্ন
রাতটা যেন মাথার উপর
বিছানো শীতলপাটি.....
তার উপর নকশী কাঁথা ছড়িয়ে
শুয়ে পড়া অবিমিস্রিত অবসন্ন দেহে।
শীতের প্রথম ভোরে--
হিমশীতল টাটকা খেজুর রসে মেতে,
দুপুরে সালদ নদীর পাড়ে
উঁচু টিবির উপর আমগাছটার হাতছানি
সন্ধ্যায় পাখির মত কুড়িয়ে আনা খড়কুটো
জ্বালিয়ে আগুন, উষ্ণতার অনুভবে
দূর দিগন্তে জেগে উঠা সেই ভেজা চাঁদ
আলোতে উদ্ভাসিত আকাশ, মাটি, মন
হঠাৎ দেখা তারাখসা
ভেতর থেকে জাগ্রত ইচ্ছেটা
এভাবেই থেকে যেতে চাওয়া আমরণ।।
2 comments:
আহাহা আল ইমরান, তুমি প্রকৃতিকে যেভাবে ভেবেছ, দেখছ, চেয়েছ, তাকে ছুঁয়ে থাকা সেই আহ্লাদ আছে এ’ লেখায়। ক্রমশঃ তুমি ‘হয়ে উঠছ’ ভাই। তোমার ‘এভাবেই থেকে যেতে চাওয়া আমরণ’-ইচ্ছেকে আমায় জানাতেই হল কুর্নিশ।
তোমার কুর্নিশ পেয়ে মুগ্ধ উচ্ছ্বাসিত আমি।
Post a Comment