কিছু টুকরো অনুভূতি

**কিছু কিছু কাজ আচমকাই শুরু হয়ে যায়, ঠিক যেমনি করে শুরু হয়ে গেলো উপন্যাস লেখা। কাব্যকানন এমন চেপে ধরল যে দু'কলম না লিখে স্বস্তি পাচ্ছিলাম না। রশীদ ভাই তো রাত ১২ টার আগে এদিকে পা মাড়াবেন না। পঞ্চম কিছুক্ষণ আগে অস্পষ্ট আবেগের কথা লিখে তপ্ত কড়াইয়ে ঘি ঢালল মনে হয়, অমনি আব্দুল ভাই, জিঞ্জির ভাই ফস করে কিছু লিখে ফেলল। অর্পণা যদিও গ্যালারীতে বসতে চাচ্ছে, তবুও আমি জানি, কিছুক্ষণ পর সে ঠিকই মাঠে নামবে।
**কিছুক্ষণ আগেও সবাই লিখা নিয়ে খুব মাতামাতি করছিল, আচমকাই উধাও হয়ে গেল, ঠিক বুঝতে পারছি না, কাব্যকানন সবাইকে মাঠে নামিয়ে সেই বা কোথায় গেল? আমার মনে হয়, সবকটা কথা ফ্যাক্টরিতে গেছে, কথামালা তৈরি করার জন্য, আমি আর জিঞ্জির ভাই অপেক্ষা করতে করতে মোটামুটি বিরক্তির পর্যায়ে চলে যাচ্ছি। জিঞ্জির ভাই এর দিকে তাকালাম, আমার মুখ দেখেই উনি ঘটনা অনুমান করে নিলেন, মৃদু মাথা ঝাকিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, "আরেকটু অপেক্ষা কর।"
**কাব্যকাননের ঘরে নাকি আজ তালা,অনেকেই ঢুকতে পারছে না,মুজিব ভাই,দোয়েল ভাই,সাইদ ভাই সহ অনেকেই আমাকে ফোন দিচ্ছে। আমি কাব্য কে ফোন দিলাম এই বিষয়ে জানার জন্য। যেটা জানলাম তাতে আমার নিজেরই প্রচণ্ড হাসি পেল,কারন কাব্য নিজেও নাকি ঘরে ঢুকতে পারছে না। কারন সে তার ঘরের চাবি খুঁজে পাচ্ছে না।
**বেশ অনেক্ষন ধরে রাস্তায় দাড়িয়ে আছি, আব্দুলহাক ভাই আসবেন বলেছিলেন, উনার অপেক্ষাতে এই প্রচণ্ড রোদের গরমেও ধৈর্য ধরে দাড়িয়ে আছি। এর মধ্যে নীল দা, এর সাথে দেখা হল, উনি কোথায় যেন যাচ্ছিলেন। বেশিক্ষন সময় দিতে পারলেন না। এর মধ্যে আরমান ভাই আবার কি জন্য যেন নামের এফিডেভিট করতে গিয়েছিলেন, উনিও এখন এসে যোগ দিলেন আমার সাথে। প্রায় বেশ কিছুক্ষণ গল্প করলাম দুজন। এখনও আসেনি আব্দুল ভাই। পঞ্চম ভাইয়ের দেখা নেই। মেজাজ খুব খারাপ হচ্ছে.........
**সেইদিন প্রেম নিয়া খুব কথা হচ্ছিল কাব্যকাননের ঘরে, বিভিন্ন জন সুন্দর সুন্দর প্রেম কাব্য আবৃত্তি করছিলেন। আমার আবার সেদিন ববির সাথে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে, মেজাজ একটু তিরিক্ষি হয়ে আছে, হটাত সবার মাঝে বলে উঠলাম,
প্রেম রে প্রেম...
আইজ তোর একদিন কি আমার যেই কয়দিন লাগে,
বহুত দিন ধইরা তরে পাইনা ভাগে
খাইছি তরে পালাবি কই
গাছে তুইলা আমায় নিছিলি কাইরা মই।
বহুত দিন খাড়ায়া রাস্তায় খুজছি তরে,
ভাবছি খালি এই রাস্তা ছাড়া যাইবি কই,
সবুরের মেওয়া আইজ পাইজা
আর যাই হউক তরে খাইছি।
আমার কবিতা শুনে সবাই হো হা হা করে হেসে উঠলো,মনের দুঃখ ভুলে আমিও হেসে উঠলাম। পরবর্তী মিনিট বিশেক আমাকে নিয়েই হাসি আড্ডা চলল। মনটা খুব হালকা হয়ে গেল। এরকম ভাবেই থাকতে চাই সবার মাঝে।
2 comments:
তুমি লিখে চলেছ এবং প্রায় অনর্গল। এটা লেখক স্বত্বা ও স্বাস্থ্যের জন্য সুলক্ষণ। কবিতাটি বেশ... এক্সপেরিমেন্ট চালু থাক্।
ধন্যবাদ দিদি।
Post a Comment