মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী
আমার মনফসলে ভূত। ধুস্। পোড়ো
বাড়ির মতন খাঁ-খাঁ ঘর-দুয়ার... আমার বড্ড মন খারাপ। এই আল ইমরান-ই যেন বুঁদির
গড়ের একলা সেনাপতি। নারে ভাই... আছি, আমি
আছি। আসলে লেখা একটা এমন দায়, কেউ পড়ুক না পড়ুক লিখতেই হয়।
যারা পড়ছে তারা না
লিখলেও তো বলতে পারে! ‘এমন লিখলে
মারব’ থেকে ‘এটা আবার লেখা’ অবধি যা খুশী? যে লেখে তার স্টিমুলেশনের দরকার আছে-
তাই না? নেতিমন্তব্য, ইতিমন্তব্য... যা হোক্।
কি বলব, মাস দু'-তিন আমারও ‘দিন-ক্ষণে’ ভূত
ঢুকেছিল। মন চাইলেও বসছিলাম না- বসলেও লিখছিলাম না। ভূতবেটা আমার মনের মধ্যে
সেঁধিয়ে একদম নাটাঝামটায় রেখেছিল। এত দ্বিধা, এত ভুলভাল স্বপ্ন, হাতের পাখী ছেড়ে
বনের পাখীর পিছে ধাওয়া...
চিনেছ কে বনের পাখী? কে
আবার... প্রিন্ট মিডিয়া। অথচ হাতের পাখী ই-মিডিয়ার তুলনা নেই- তার নাক সিধে, গন্ধ
আন্তর্জাতিক। তবু মাঝেসাঝে পালাই। কেন?কেননা চাইলেই আমায় কোল দেয় এ, তাকালেই
হেসে নিরভিমান হাত বাড়ায়। তাই বোধহয়...
অথচ প্রিন্ট মিডিয়া? সে বেটা রাজার
ছেলে কেরাসিন-তেলঅলা... চোখের কোণে চায়। দশটা লেখার সাতটি ফেলে, দু’টি পড়ে একটি হয়তো ছাপে, তবু কি
লালানী-ঝোলানীর জুলজুল তাকিয়ে থাকা। তাও যদি তার নিয়তি তখনি জানা যেত।
ছ/আট মাসের গর্ভযন্ত্রণা আছে,
কিন্তু সন্তান জন্মাবে এমন নিশ্চয়তা নেই। বেশীর ভাগ লেখাই ভূতের মত হাওয়ায় মেলায়। হায়- সময় পালায়, তবু যে কেন গোঁতাগুঁতি! বেহায়া চরিত্র। যেখানে পাইনা, সেখানেই কিনা...
12 comments:
মাঝে মাঝে না পালালে তো ঘর কে চেনা যায় না...
ওরে তাত্ত্বিক, এতো গভীর কথা- ঢাকনী খুলে অল্পস্বল্প তার আসুক এদিকে... এই মনফসলী ঘরে।
মনের সুপ্ত কথাগুলোই কিবোর্ড হয়ে অন্তরজালে চলে আসে ঠিক এভাবেই।
না মঞ্জুদি, নিজেকে দোষ দিওনা। তোমার এই 'বেহায়া চরিত্র' টিকে যাক্, তার সঙ্গে ই-দুনিয়াতেও থাকো।
লেখাও একপ্রকার বেগ, আর বেগ সবসময় আসেনা....আবেগ ঘনীভূত হলে বেগ আসে, তাই অন্য বেগের মতো কাপড়ে চোপড়ে হওয়ার সম্ভাবনা কমই থাকে/ তবে এ নিয়ে বেশি মাথা না ঘামানোই ভালো কারণ কোন বেগই জোর করে আনা যায়না - আসার হলে ঠিকই আসবে/
হাতের পাখী ছেড়ে বনের পাখীর পিছে ধাওয়া করার অভ্যেসটা এবার ত্যাগ করো, নইলে "খ্যাপা খুঁজে খুঁজে ফিরে পরশ পাথরের" মতো অবস্থা হবে/ দুষ্ট গরুর চেয়ে যেমন শুন্য গোয়াল ভালো তেমনই অজানা পাঠকের প্রিন্ট মিডিয়ার অজানা অনুভূতির চেয়ে, জানা পাঠকের ভালোলাগা বা নালাগার ছোঁয়া পাওয়াই মনে হয় শ্রেয়, যা শুধু ই-মিডিয়াতেই পাওয়া যায়/
সত্যি কি তাই? ই-মিডিয়ার মানুষও আজকাল পড়ে কই, পড়লেও বলে কই? তবু প্রিন্ট মিডিয়ায় লেখা বেরলে সেই প্রাতিষ্ঠানিক পত্রিকাটির দায় থাকে তার বিক্রিবাটার... সার্ক্যুলেশনের। আমি সেই নিজেদের তাগিদে নিজেদের বেচার মধ্যে খালি আমাকে জুড়ে দিই... ব্যস্, দায়িত্ব শেষ। যতক্ষণ অবধি নাম না হচ্ছে ততক্ষণ অবধি জানতে হয়তো পারিনা, কিন্তু চেষ্টায় আছি ও আপ্রাণ আছি... এইটুকুটাই সুখ দেয় বেশ।
সত্যি বলতে এখন মানুষের সময়ের বড়ই অভাব... যেটুকু থাকে তার বেশিরভাগই শুষে নেয় ঐ বোকাবাক্স ...মজার ব্যাপার নাম যদিও বোকাবাক্স কিন্তু বুদ্ধিমান লোকেরাই দেখে বেশি/ আর আজকল জোর করে কাউকে কিছুই করানো যায় না...
প্রিন্ট মিডিয়াতে বেরোলে ভালতো লাগেই, তবে তাই বলে মরিচীকার মতো তার পেছনে ছুটতে রাজী নই....এটা আমার সম্পূর্ণ নিজস্ব্য চিন্তাধারা....এই প্রসঙ্গে বলি আমার একটি ছোট্ট লেখা এবারের দেশ প্রতিকার (১৭ই এপ্রিল)"বাঁকা কলমে" এ বেরিয়েছে খবর পেলাম...
দারুণ-দারুণ-দারুণ। এমন কোন বিভাগ ওদের আছে বলে জানতামই না। তবে আপনার লেখার কারণে যদি বিভাগটার সূচনা হয়ে থাকে, তবে তো আহ্লাদ রাখার আর জায়গা নেই দাদা। ইমিডিয়েটলী এখানে লেখাটা দিন। ঠিক হ্যায়?
আমিও কি জানতাম নাকি - আমার এক বন্ধু একদিন বললে দেশে একটা "বাঁকা কলম " বিভাগ হচ্ছে তার জন্য একটু বাঁকা লেখা চাইছে ভঞ্জদা তুমিতো এই ধরনের লেখো, পাঠিয়ে দাও/ তবে ওদেরতো নানা রকম গাইডলাইন থাকে সেইমত কাটাকুটি করে একটা লেখা পাঠিয়েছিলাম...
বিভাগটার নাম "বাঁকা কলম" কেনো রাখল জানিনা - আমার মতে সব লেখাই তো বাঁকা কলমেই লেখা হয়, কলম সোজা রেখে লেখা যায়না - তাই নামটা "বাঁকা লেখা" হলে বোধ হয় বেশি মানানসই হোত/ এ প্রশ্নটা আমি হর্ষ দত্তকেও করেছিলাম কিন্তু জবাব পায়নি....দেশটা আমি এখনও হাতে পায়নি পেলে দিয়ে দেবো /
সব ক্ষেত্রেই লোকের প্রথম প্রথম যে উৎসাহটা থাকে তা পরে ক্রমশ কমতে থাকে। ইউটিউব এ আমার প্রথম গানের শ্রোতার সংখ্যা প্রায় ৪৫০ জন। আর ৬ নম্বর গানের শ্রোতার সংখ্যা ১০ জন। তবে আমি মাঝখানে কয়েকবার এসেছিলাম মনফসল এ। কিন্তু আমার কম্পিউটার এ বাংলা কোনও লেখা পড়া যাচ্ছিলো না। যাই হোক আজ বাংলা পড়তে পেরে বেশ লাগছে।
'পরে ক্রমশ কমতে থাকে' কথাটাকে মিথ্যে প্রমাণ কর সুচেতনা। কম্প্যুতে আজ বাংলা-সাক্ষর হয়ে যে কমেন্টপত্র রাখছো, তা যেন ঐ 'প্রথম প্রথম'-এর সীমানাটা উতরোতে পারে। দু'দিনে ভ্যানিশ হলে মোটেই সুখের হবেনা। এখন গলা বাড়িয়ে বরং আরেকটু দাবী করব... লেখা চাই লেখা। গান-মালকিন তার ছেলেবেলার শখ থেকে আজকের এই গানের দিনে আসুক না... মজা করে পড়ি।
কামাটাকে কমানো যেতেই পারে....কিন্তু 'পরে ক্রমশ কমতে থাকে' কথাটাকে মিথ্যে প্রমাণ করা যায় না, কারণ এটাই যে সংসারের নিয়ম....
Post a Comment