সত্যি দাদা, মাথায় আপনার আসেও। এই খোলতাই যুক্তির একটিও ফেলবার নয়, আবার পড়তে গিয়ে না হেসেও পারা যায়না। লেখাটা কোনো পত্রিকায় পাঠিয়ে দিন দাদা, এই স্টাইলের মধ্যে যে অভিনবত্ব আছে, তা খুব কমজনই প্রকাশ করতে পারে। সুতরাং...
আসলে আমার মাথায় কোন কবিতা বা ছন্দ আসেনা, আসে শুধু নানান দন্দ - আর সেই নিয়ে যা মনে আসে তাই লিখে ফেলি। তবে সব লেখার পেছনেই কোন না কোন ঘটনা থাকে, এটার পেছনের ঘটনাটিও খুব মজার। আমার এই লেখা ছাড়াও "ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর" আরো কিছু সখ আছে - ফটোগ্রাফি তার অন্যতম। অমাদের অফিস কাম রেসিডেন্সিয়েল কমপ্লেসে অনেক জন্তু-জানোয়ার আছে, প্রচুর ময়ূরও আছে। পথে-ঘটে, মাঠে অনেক ময়ূর দেখেছি, তাদের পেখম তুলে নাচও দেখেছি, কিন্তু দুঃখের বিষয় পেখম তোলা ময়ূরের ভালো ক্লোজ-আপ ফটো তোলার সুযোগ হয়নি। একবার অফিসে বিকেলের দিকে খবর পেলাম একটা ময়ূর পেখম তুলে অফিসের লনে খেলা করছে, সঙ্গে সঙ্গে ক্যামেরা নিয়ে ছুটে গেলাম, ক্যামেরাটা একটু সেট করে ফটো তুলতে যাব ঠিক তখনি ময়ূরটা পেছন দিকে ঘুরে গেল। তারপর ঝাড়া ২০ মিনিট ক্যামেরার পেছনে চোখ লাগিয়ে বসে রইলাম, বেটা কিছুতেই আমার দিকে আর মুখ ফেরালো না। আসলে ময়ূরতো আর আমার জন্য পেখম তোলেনি, আর ময়ূরীটা তখন কেটে পড়েছে সেই দুঃখে উনি ম্রিয়মান। শেষমেষ উনিও পেখম নামিয়ে ময়ূরীর পেছনে ধাওয়া করলেন। ঐ ঘটনাই আমার এই লেখাটির উত্স বলতে পারো। এই প্রসঙ্গে বলি, প্রতিবারই বলছো লেখাটা কোন পত্রিকাতে পাঠিয়ে দিন, কিন্তু তাদের ঠিকানাগুলো দেবো বলেও এখনো দাওনি।
প্রথমেই বলি, সেই মে মাসের উত্তর নিয়ে এ্যাদ্দিনে এলেন... না, মোটেই ব্যাপারটি ঠিক না। বুঝেছি, ভীষণই একলাপ্রবণ মানুষ আপনি, কোনকিছুতেই মন লাগান না, তাই না? তা বেশ, নির্বিকল্প থাকার একটা সুখ আছে আর সে সুখের মৌজদারও একলাই। এমন ধরণের মানুশকে নিয়ে সংসারে খুব বিপদ আছে, তা কি জানেন? কেউ বলেনি?
তোমার বিশ্লেষণের কোনটাই তেমন মিলল না - আমি মোটেই একলাপ্রবন নই বরং উল্টোটাই, আর আমি চট করে কোন কিছুতে মন লাগাইনা বটে তবে লাগালে একটু বেশি লাগিয়ে ফেলি সেটাই সমস্যা। আমার এই রসিক স্বভাবের জন্য পরিচিতির সংখ্যাটাও একটু বেশি তাই একলা থাকার সুযোগই পাইনা। আমি নিজেকে আলুর মতো রাখতে চাই - আলু যেমন সবরকম সবজি, মাছ-মাংস সবার সঙ্গেই সহজে মিশে যায় আবার একলা আলুর পদ হিসেবেও চলে যায়, আমিও সেইরকম বন্ধুতো এবং একাকিত্ব দুটোই সমানভাবে এনজয় করি। গত সপ্তাহে আমার হার্নিয়া অপারেশন হয়েছে তাই এখন বসা প্রায় বারণ। এই হার্নিয়া অপারেশনের অভিজ্ঞতা নিয়েও একটা মজার লেখা মনে মনে ভেঁজে ফেললাম কিন্তু লেখা হয়ে উঠলো না, পরে যখন লিখতে যাব তখন হয়তো সব ভুলে যাব, আমার এই হয় - কি আর করা যায়।
4 comments:
সত্যি দাদা, মাথায় আপনার আসেও। এই খোলতাই যুক্তির একটিও ফেলবার নয়, আবার পড়তে গিয়ে না হেসেও পারা যায়না। লেখাটা কোনো পত্রিকায় পাঠিয়ে দিন দাদা, এই স্টাইলের মধ্যে যে অভিনবত্ব আছে, তা খুব কমজনই প্রকাশ করতে পারে। সুতরাং...
আসলে আমার মাথায় কোন কবিতা বা ছন্দ আসেনা, আসে শুধু নানান দন্দ - আর সেই নিয়ে যা মনে আসে তাই লিখে ফেলি। তবে সব লেখার পেছনেই কোন না কোন ঘটনা থাকে, এটার পেছনের ঘটনাটিও খুব মজার।
আমার এই লেখা ছাড়াও "ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর" আরো কিছু সখ আছে - ফটোগ্রাফি তার অন্যতম। অমাদের অফিস কাম রেসিডেন্সিয়েল কমপ্লেসে অনেক জন্তু-জানোয়ার আছে, প্রচুর ময়ূরও আছে। পথে-ঘটে, মাঠে অনেক ময়ূর দেখেছি, তাদের পেখম তুলে নাচও দেখেছি, কিন্তু দুঃখের বিষয় পেখম তোলা ময়ূরের ভালো ক্লোজ-আপ ফটো তোলার সুযোগ হয়নি।
একবার অফিসে বিকেলের দিকে খবর পেলাম একটা ময়ূর পেখম তুলে অফিসের লনে খেলা করছে, সঙ্গে সঙ্গে ক্যামেরা নিয়ে ছুটে গেলাম, ক্যামেরাটা একটু সেট করে ফটো তুলতে যাব ঠিক তখনি ময়ূরটা পেছন দিকে ঘুরে গেল। তারপর ঝাড়া ২০ মিনিট ক্যামেরার পেছনে চোখ লাগিয়ে বসে রইলাম, বেটা কিছুতেই আমার দিকে আর মুখ ফেরালো না। আসলে ময়ূরতো আর আমার জন্য পেখম তোলেনি, আর ময়ূরীটা তখন কেটে পড়েছে সেই দুঃখে উনি ম্রিয়মান। শেষমেষ উনিও পেখম নামিয়ে ময়ূরীর পেছনে ধাওয়া করলেন। ঐ ঘটনাই আমার এই লেখাটির উত্স বলতে পারো।
এই প্রসঙ্গে বলি, প্রতিবারই বলছো লেখাটা কোন পত্রিকাতে পাঠিয়ে দিন, কিন্তু তাদের ঠিকানাগুলো দেবো বলেও এখনো দাওনি।
প্রথমেই বলি, সেই মে মাসের উত্তর নিয়ে এ্যাদ্দিনে এলেন... না, মোটেই ব্যাপারটি ঠিক না। বুঝেছি, ভীষণই একলাপ্রবণ মানুষ আপনি, কোনকিছুতেই মন লাগান না, তাই না? তা বেশ, নির্বিকল্প থাকার একটা সুখ আছে আর সে সুখের মৌজদারও একলাই। এমন ধরণের মানুশকে নিয়ে সংসারে খুব বিপদ আছে, তা কি জানেন? কেউ বলেনি?
তোমার বিশ্লেষণের কোনটাই তেমন মিলল না - আমি মোটেই একলাপ্রবন নই বরং উল্টোটাই, আর আমি চট করে কোন কিছুতে মন লাগাইনা বটে তবে লাগালে একটু বেশি লাগিয়ে ফেলি সেটাই সমস্যা। আমার এই রসিক স্বভাবের জন্য পরিচিতির সংখ্যাটাও একটু বেশি তাই একলা থাকার সুযোগই পাইনা। আমি নিজেকে আলুর মতো রাখতে চাই - আলু যেমন সবরকম সবজি, মাছ-মাংস সবার সঙ্গেই সহজে মিশে যায় আবার একলা আলুর পদ হিসেবেও চলে যায়, আমিও সেইরকম বন্ধুতো এবং একাকিত্ব দুটোই সমানভাবে এনজয় করি।
গত সপ্তাহে আমার হার্নিয়া অপারেশন হয়েছে তাই এখন বসা প্রায় বারণ। এই হার্নিয়া অপারেশনের অভিজ্ঞতা নিয়েও একটা মজার লেখা মনে মনে ভেঁজে ফেললাম কিন্তু লেখা হয়ে উঠলো না, পরে যখন লিখতে যাব তখন হয়তো সব ভুলে যাব, আমার এই হয় - কি আর করা যায়।
Post a Comment