পরনিন্দা-পরচর্চার
উপকারিতা
অলোক ভঞ্জ
আমাদের জীবনে কিছু কিছু ব্যপার থাকে যা
শুনলেই একটা জাতি বা গো্ষ্ঠির কথাই মনে পড়ে যায়, যেমন মারদাঙ্গার কথা শুনলেই
পুরুষদের কথা মনে আসে, আবার পরনিন্দা-পরচর্চা অথাৎ PNPC ইর কথা উঠলেই
নারীদের কথাই মনে ভাসে। অথচ বাস্তবে তা কিন্তু হওয়ার কথা নয়, পরনিন্দা-পরচর্চা
শুধুমাত্র মহিলাদের কুক্ষিগত ব্যপার নয়, এটা পুরুষদের মধ্যেও সমানভাবে বিদ্যমান, কেবল
নাম আলাদা। যেমন এর ঘরোয়া নাম - আড্ডা, অফিসিয়েল নাম - মিটিং বা আলোচনা
সভা, আর পলিটিকেল নাম – সন্মেলন, এ সবের একই উদ্দেশ্য - পরনিন্দা
এবং পরচর্চা।
কিন্তু এখন প্রশ্ন পরনিন্দা-পরচর্চা আমরা
করি কেন? উত্তরটা খুবই সহজ – সব মানুষের মধ্যেই দোষগুন থাকে, কিন্তু
দুখেঃর বিষয় গুনের পরিমানটা বড্ড কম, অনেকটা তরি-তারকারিতে
নুনেরই মত, মাত্র এক চিমটে তাই তা নিয়ে বেশীখন চর্চাই করা যায়না। আর গুনের চর্চা
দিয়ে যখন বেশিখন টানা যাবে না তখন পরনিন্দা ছাড়া উপায় কি?
একবার এক বাবা তার ছলেকে ধমক দিয়ে বলে
উঠেছিলেন - মিথ্যা কথা বলতে তোর লজ্জা করে না...আমি মিথ্যে কথা বলাতো
দূরে থাক, মিথ্যে কথা কখনো শুনিও না - সেইরকম অনকেই
বলে থাকেন আমি পরনিন্দা-পরচর্চা করিও না বা শুনিও না। এটা যে কত বড় মিথ্যে কথা - যে বলে সেও জানে, আর যে শুনে
সেও জানে। সুতরাং এটুকু জোর গলায় বলা যেতেই পারে যে পরনিন্দা- পরচর্চা সব্বাই করে
বা করতে হয়।
পেট হালকা করার জন্য তাও ইস্ফগুল আছে,
ত্রিফলা কিংবা জোলাপ আছে, কিন্ত মন হালকা করার জন্য পরনিন্দা-পরচর্চা ছাড়া আর কোন
ওষুধইতো বাজারে নেই, তাই পরনিন্দা-পরচর্চার উপকারিতাও কম নয়।
আপনারা কি বলেন ???
2 comments:
বুঝলাম... খুব একটা মানলাম না দাদা। ব্যক্তি মানুষের ধরণ অনুযায়ী মন হাল্কার দাওয়াই আছে তার একান্ত গঠনের মধ্যে, তার চারিত্রিক ওরিয়েন্টেশনের মধ্যে। কেউ গান শুনে, কেউ ফাটিয়ে ঝগড়া করে, কেউ এককথা একশোবার বলে, কেউ আবার উপনিষদের পাতায় চোখ রেখেও হাল্কা হয়। তবে পরনিন্দা-পরচর্চা ব্যাপারটি শেষপাতে চাটনীর মত স্বাদু সবার কাছে, এটা মানাই যায়।
আড্ডা হলে একটু পরনিন্দা হবেই, এটা খুব স্বাভাবিক। লেখা ভালো লাগলো।
Post a Comment