একদা একদিন এক ছোট্ট পোকা উড়তে উড়তে মানুষের তৈরি কিছু বাড়িঘরের খুব কাছে চলে এলো। একটা বাড়ির ভিতর চোখ পড়তেই পোকাটি দেখতে পেল বাড়ির ভিতরে অনেক সুসজ্জিত আসবাব এবং বাহারি রঙের ছড়াছড়ি। পোকাটির খুব আগ্রহ হল বাড়ির ভেতরটা ঘুরে দেখার। আগ্রহ এতো তীব্র ছিল যে, পোকাটি নিজেকে সংবরণ করতে পারল না। বেশ কিছুক্ষন বাড়ির ভিতর ঘুরাঘুরির পর যখন পোকাটি বের হবে ঠিক তখনই বাড়ির দরজা একঝটকায় বন্ধ হয়ে গেল। পোকাটি অনেক চেষ্টা করেও দরজার আশে পাশে, জানালা বা অন্য কোন জায়গা দিয়ে বের হওয়ার কোন রাস্তা পেল না। দীর্ঘক্ষণ ঘুরাঘুরি করতে করতে সে খুব ক্লান্ত এবং ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ল। তখন সে বের হওয়ার চেষ্টা বাদ দিয়ে বাড়িটির রান্না ঘরে গেল কিছু খাবার খুঁজতে। সেখানে বেশ কিছু ভালো খাবার দেখতে পেল। ক্ষুধা এতোই বেশি লেগেছিল যে, খাবার খাওয়াতে মগ্ন পোকাটি বাড়ির মালিক কর্তৃক দরজা খোলার শব্দ টের পেল না। খেয়ে দেয়ে আরও বেশ কিছুক্ষন পোকাটি বের হওয়ার চেষ্টা করে ক্লান্ত হয়ে ভাবল, যাক!! এই রাতে আর চেষ্টা করে লাভ নেই। কাল সকালে যখন বাড়ির মালিক বাড়ি থেকে বের হবার জন্য দরজা খুলবে তখন দ্রুত উড়ে বের হয়ে যাওয়া যাবে। এই ভেবে সে একটি টেবিল ল্যাম্পের কাছে ঘুমিয়ে পড়ল। সারাদিনের ক্লান্তির পর ঘুম এতো গভীর ছিল যে, ঘুম ভাংতে তার অনেক বেলা হয়ে গেল। ততক্ষনে বাড়ির মালিক বাড়ির বাইরে চলে গেছে।
পোকাটি মনে মনে ভাবল, ইস! একটা মোক্ষম সুযোগ মিস হল। আজকে সারাদিন আর ঘুমাব না। রাতে যখন মালিক ফিরবে, সেই মুহূর্তেই আমাকে এই বিপদ থেকে মুক্ত হতে হবে, আমার পরিবার না জানি কত চিন্তা করছে!!
সেই দিন সারা দিন পোকাটি অপেক্ষা করল, গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করল, কিন্তু মালিকের আসার খবর নেই। অবশেষে সে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। মালিক বাড়ি আসল অনেক রাতে। ততক্ষনে পোকাটি গভীর ঘুমে। পরদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠল পোকাটি। বাড়ির মালিক তখনও বাড়ি থেকে বের হয় নি। পোকাটি চিন্তা করল, কখন দরজা খুলে এই আশায় না থেকে যদি মালিকের ব্যবহৃত কোন জিনিষের মাধ্যমে বাইরে যাওয়া যায় তবেই বেশি ভালো হবে। যেই ভাবা, সেই কাজ। পোকাটি প্রথমে ভাবল যে, মালিকের মানিব্যাগে ঢুকে বসে থাকবে, কিন্তু মালিক যদি মানিব্যাগ কে প্যান্টের পিছনের পকেটে রাখে এবং সেই অবস্তায় বসে পড়ে, তবে সে চ্যাপ্টা হয়ে মারা যাবে। তাই সে মালিকের টুপির ভিতর আশ্রয় নিল। কিছুক্ষন পর মালিক অফিসের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেল খুব তাড়াহুড়া করে। ফলাফলে তার টুপিটা নিতে ভুলে গেল। পোকাটি নিজের দুর্ভাগ্য নিয়ে খুব আফসোস করতে লাগল, কিন্তু তবুও তার মনে মুক্তি পাওয়ার আশা এবং বিশ্বাস অবশিষ্ট ছিল। তার বিশ্বাসের জোরেই হয়ত কিছুদূর যাওয়ার পর মালিকের টুপিটির কথা মনে হওয়াতে সে ফিরে এসে টুপিটি মাথায় পড়ে আবার বের হল। সেখানেও বিপত্তি, এখন যদি সে টুপি না খোলে, তবে পোকাটি টুপির নিচ থেকে বের হওয়ার সুযোগ পাবে না। পোকাটি কি করবে তা দ্রুত ভাবতে লাগল। হটাত তার মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল, সে লোকটির চুলের ফাকে দিয়ে গিয়ে মাথার তালুতে কামড় দিল। লোকটি এতে মাথার তালুতে তীব্র চুলকানি অনুভব করল। আর এটাই হল ঐ পোকাটির জন্য মোক্ষম সুযোগ। যেই না লোকটি তার টুপি খুলে মাথা চুলকাতে গেল, সেই ফাঁকে পোকাটি পেয়ে গেল তার বহু আকাঙ্ক্ষিত মুক্তি। এক নিমিষেই সে উড়ে চলতে লাগল তার বাড়ির দিকে।
শিক্ষণীয়ঃ বিশ্বাস, বুদ্ধি আর পরিশ্রম একসাথে হলে সফলতা আসবেই।
পোকাটি মনে মনে ভাবল, ইস! একটা মোক্ষম সুযোগ মিস হল। আজকে সারাদিন আর ঘুমাব না। রাতে যখন মালিক ফিরবে, সেই মুহূর্তেই আমাকে এই বিপদ থেকে মুক্ত হতে হবে, আমার পরিবার না জানি কত চিন্তা করছে!!
সেই দিন সারা দিন পোকাটি অপেক্ষা করল, গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করল, কিন্তু মালিকের আসার খবর নেই। অবশেষে সে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। মালিক বাড়ি আসল অনেক রাতে। ততক্ষনে পোকাটি গভীর ঘুমে। পরদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠল পোকাটি। বাড়ির মালিক তখনও বাড়ি থেকে বের হয় নি। পোকাটি চিন্তা করল, কখন দরজা খুলে এই আশায় না থেকে যদি মালিকের ব্যবহৃত কোন জিনিষের মাধ্যমে বাইরে যাওয়া যায় তবেই বেশি ভালো হবে। যেই ভাবা, সেই কাজ। পোকাটি প্রথমে ভাবল যে, মালিকের মানিব্যাগে ঢুকে বসে থাকবে, কিন্তু মালিক যদি মানিব্যাগ কে প্যান্টের পিছনের পকেটে রাখে এবং সেই অবস্তায় বসে পড়ে, তবে সে চ্যাপ্টা হয়ে মারা যাবে। তাই সে মালিকের টুপির ভিতর আশ্রয় নিল। কিছুক্ষন পর মালিক অফিসের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেল খুব তাড়াহুড়া করে। ফলাফলে তার টুপিটা নিতে ভুলে গেল। পোকাটি নিজের দুর্ভাগ্য নিয়ে খুব আফসোস করতে লাগল, কিন্তু তবুও তার মনে মুক্তি পাওয়ার আশা এবং বিশ্বাস অবশিষ্ট ছিল। তার বিশ্বাসের জোরেই হয়ত কিছুদূর যাওয়ার পর মালিকের টুপিটির কথা মনে হওয়াতে সে ফিরে এসে টুপিটি মাথায় পড়ে আবার বের হল। সেখানেও বিপত্তি, এখন যদি সে টুপি না খোলে, তবে পোকাটি টুপির নিচ থেকে বের হওয়ার সুযোগ পাবে না। পোকাটি কি করবে তা দ্রুত ভাবতে লাগল। হটাত তার মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল, সে লোকটির চুলের ফাকে দিয়ে গিয়ে মাথার তালুতে কামড় দিল। লোকটি এতে মাথার তালুতে তীব্র চুলকানি অনুভব করল। আর এটাই হল ঐ পোকাটির জন্য মোক্ষম সুযোগ। যেই না লোকটি তার টুপি খুলে মাথা চুলকাতে গেল, সেই ফাঁকে পোকাটি পেয়ে গেল তার বহু আকাঙ্ক্ষিত মুক্তি। এক নিমিষেই সে উড়ে চলতে লাগল তার বাড়ির দিকে।
শিক্ষণীয়ঃ বিশ্বাস, বুদ্ধি আর পরিশ্রম একসাথে হলে সফলতা আসবেই।
2 comments:
নাহ্, বেশ তো! এটা কি তোমার লেখা? কিন্তু ধরণটি কি কোথও থেকে ধার নেওয়া?
আসছো এবং যাচ্ছো... অন্য লেখা পড়ছো না যে! নাঃ- আর কোনো বাহানা শুনবো না। মনোযোগ পেতে গেলে মনোযোগীও হতে হয় আল ইমরান... পড়ানোর পর পড়তে হয় বলতেও হয়। নাহলে আর কিসের এই কম্যুনিটি ফোরাম? তবে এসব বলার উদ্দেশ্য শুধু তুমি নও, অধিকাংশই কেমন যেন আত্মমগ্ন, অসচেতন। ইদানীং এটা দেখছি, যা আমার ভাল লাগছে না। এর মধ্যে ব্যতিক্রমী তুমিই ছিলে, সেই তুমিও কিনা...
আসলে দিদি, ব্লগস্পট ইদানিং এতো স্লো কাজ করে যে, একটা মন্তব্য বা রিপ্লাই দিতে প্রচুর সময় লেগে যায়। এই কারনে মন্তব্য করা হয় না। আর আমার বেশ কিছু দিন নেট সংযোগ ছিল না।
Post a Comment