Thursday 7 May 2015

এ'মাসের 'শুভম সাময়িকী'তে 'একাকুলা'-র ওপর আমার একটি লেখা

May 2015
'আপনাতে আপনি বিভোর একলা একাকুলা'
মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী

একাকুলার কাছিমপিঠ পথ

এই কুলাতে ‘সে’ আছে, আমি, রান্নাঘরে রাঁধুনী আর এক হেল্পার কাম চৌকিদার- ব্যস্। জায়গার নাম একাকুলা। গিয়েছি নদীপথে ভিতরকণিকা ও পরের দিন নিজেকে নিয়ে মশগুল থাকা একলা একাকুলা‘য়। তখন সবে বিকেল পেরচ্ছে- বাংলো সংলগ্ন কনকচাঁপা গাছের তলায় যে রান্নাঘর, তার লাগোয়া উঠোনজুড়ে দেখি হরিণকুলের মেলা- মানুষ দেখেও তিড়িং লাফে পালায় না। রাঁধুনী বলল এমন নাকি এসেই থাকে- রান্না ঘরের বাতিল আনাজ, আলু-মূলোর খোসা, চালধোয়া জল আর ফ্যানের টানে। বাহ্! বাজারহীন, বিদ্যুতবিহীন, বন্যতার বাঁশপাতা আড়াল নেওয়া সমুদ্রযাপনের মাঝে এই হঠাত্ প্রাপ্তি কি আমাদের সত্যি পাওনা ছিল? ছিলনা। তাই আশাতীত উপরীটুকু পেয়ে আমি দিশাহারা। ওদিকে হরিণকুলের কোনো তাপ-উত্তাপ নেই যেন পাড়া বেড়াতে এসেছে- এসেছে নতুন অতিথির খবর নিতে। ‘একাকুলা’র শুরুটাই শুরু হল জগঝম্প বাজিয়ে। সরকারী যে আবাসটিতে উঠেছি, সেও নাম কা ওয়াস্তে ‘গেস্ট হাউস’- আদতে গ্রামের একটি গৃহস্থের বাড়ি যেমন খানিকটা আটপৌরে হয়, খানিকটা দেখনদারির- অনেকটা তেমন। সামনে ছড়ানো উঠোন, কয়েক ধাপ সিঁড়ি উঠে গিয়ে উঁচুতে দালান, দু’ধারে দু‘টো ঘর, চওড়া দেওয়াল, দেওয়ালে ঘুলঘুলি, পুরনো দিনের খিলান দেওয়া দরজা- জায়গার সঙ্গে সবটাই বেশ সামঞ্জস্য দিয়ে বাঁধা। শুধু এলাকাটি যে সমুদ্র-পাড়ার তা জানান দিচ্ছে উঠোন জুড়ে বালির পরত, ঝিনুক, মরা হর্স-শু-ক্র্যাবের খোলস। 
হর্স শ্যু ক্র্যাব

এরই সঙ্গে আবার দু-পাঁচ পা দূরে দেখি বালি-বালি মাটিতে একটা পলাশ গাছ হাওয়ায় দুলছে, গাছ জুড়ে দর্পিত ফাগুনের লাল উল্লাস। বিস্ময় আমার বাগ মানছে না, বুঝছি না অনুভূতিকে কি নাম দেব- মুগ্ধতা না বিহ্বলতা। মাটিতেও ছড়িয়ে আছে অনেক। ফুল আর বালি নিয়ে বেশ কিছুটা সময় এখানে গেল- স্বপ্ন-স্বপ্ন সাজানো এমন সুখগুলোকে ছুঁতেই না এ্যাদ্দুর আসা। সন্ধ্যা হতে ভেতরে ঢুকলাম, চৌকিদার লন্ঠন দিয়ে গেল কিন্তু মন ঘরে বসে না। কি তুক্ যে করল একাকুলা... প্রেমিসেস থেকে মোটে বিশ-পঁচিশ পা দূরে রান্নাঘর তবু যাবার যো নেই- আদিগন্ত আঁধার। শেষে টর্চ ভরসায় এগোলাম ও রাম-রাম জপতে-জপতে স্যুট করে সেঁধিয়ে গেলাম ভেতরে। ঢুকতেই রাঁধুনী ইশারায় চুপ থাকতে বলল, নিয়ে গেল খিড়কি দোরের দিকে। ঘরে হ্যাজাক ছিলই, এবার জোরালো টর্চের আলো ফেললাম মাঠে। 15/20 জোড়া চোখের জলানেভা চকমকি বুঝিয়ে দিল তেঁনারা অপেক্ষায়... রাঁধুনীর ফ্যান গালবার সময় হয়েছে। নাঃ, খাবার সময় বিরক্ত করা ঠিক না, আলো নিভিয়ে দিলাম।
একলা একাকুলা

কলকাতা থেকে উড়িষ্যার ভদ্রক স্টেশনে নেমে ভাড়া গাড়ি নিয়ে এসেছি চাঁদবালি। এটাই রুট। এখন ফেব্রুয়ারীর শেষ- ট্যুরিস্ট সিজনও প্রায় শেষ বলা যায়। বুঝতেই পারছি, প্রাইভেট বোটওয়ালারা বেশ মুশকিলে পড়েছে, পাল্লা দিয়ে রেট কমাচ্ছে। একই সঙ্গে নানান আত্মপ্রচার ও  লোভনীয় ছাড়। এর মধ্যেই বেছেবুছে একটির সঙ্গে কথাবার্তা এগোল- ছাড়টি তার লুক্রেটিভ। সবাই যেখানে দু’দিনের হিসেব বোঝাচ্ছে সেখানে সে দিচ্ছে তিনদিনের ট্রিপ। আমরা তিনদিনের প্ল্যান করেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছি- দু’দিন হলে বাকী দিন নিয়ে কি করতাম! তাকে বলতে সে এক কথায় রাজী। আসলে ট্যুরিষ্ট প্রায় নেই, এমন কি সরকারী লঞ্চও লোকাল যাত্রী নিয়ে কাছাকাছির দ্বীপগুলোয় ট্রিপ করছে।
ভিতরকণিকার জেটি

আমরা ভুটভুটি ঠিক করেই লোকাল মার্কেট থেকে জল ও খাবার নিতে ছুটলাম আর বোটওয়ালা গেল ডিজেল কিনতে। তিনদিনের বেশীর ভাগটাই এবার জলে-জলে কাটবে। সময় হু-হু এগোচ্ছে, আধঘন্টার মধ্যে আমরা দু’পক্ষই রেডী।  টুবুটুবু ডিজেল ভর্তি জ্যারিকেন উঠল বোটে, অন্যদিকে উঠল মুড়ি-কাঁচালঙ্কা-শশা-চানাচুর। পুরো মার্কেট ঘুরে- ফিরে, ওগুলোই সেরা লাঞ্চ বলে মনে হল। চাঁদবালী থেকে এবার পারমিশন করিয়ে নিয়ে বোটে উঠলাম। মাঝিমাল্লাও কত আপনজনের মত ব্যবহার করছে। পাটাতনের ওপর চাদর বিছিয়ে বিছানা করে দিল, মুখে রোদ না লাগে তার ব্যবস্থায় টাঙিয়ে দিল কাপড়। ঝিপঝিপ করে বোট চালু হল- আমরা যাচ্ছি ভিতরকণিকার দিকে, কখনো শুয়ে কখনো বসে।
জঙ্গলপথ

চাঁদবালিতে যে নদীর নাম ‘ব্রাম্ভণী,’ ভিতরকণিকায় সেই তিনিই ‘বৈতরণী’ যা একাকুলায় নাম নিয়েছে ‘পাঠশালা।‘ ‘ব্রাম্ভণী’ থেকে ‘বৈতরণী’তে পড়ার মুখে তেমন কিছু বদল না ঘটলেও দু’ধারের বালি-বালি মেঠো পাড়ে কখনো সখনো কুমীর দেখতে পাচ্ছি- নিশ্চুপে শুয়ে। আশেপাশে বক উড়ছে, কাদাখোঁচা... তবে একাকুলা যাবার পথে ‘পাঠশালা’ নদী কিন্তু অন্য পড়া পড়িয়েছে- যা অনন্য ও সর্বার্থেই আলাদা। দ্বীপের যত কাছে যাচ্ছি, ততই ইঞ্জিনশক্তিকে হার মানানো জলের উতরোল পৌঁছে যাচ্ছে বুকের গভীরে। দুলুনী বাড়ছে, বোটের জিনিসপত্র এদিক-ওদিক গড়াচ্ছে- বুঝতে পারছি  সমুদ্র কাছেই- কানে ঠেউ ভাঙার ঊচ্ছ্বাস। একসময় হঠাত্ই চোখের ওপর লাফিয়ে নামল সমুদ্র। আর কি আশ্চর্য্য, নদী-সমুদ্রের ডিমার্কেশন লাইন যে নিজেদের অস্তিত্বকে অক্ষুণ্ণ রেখেও এ’ভাবে মিলতে পারে তার নমুনা সেট করে চলেছে সারাক্ষণ-  খুশদিল বইছে- আমি মাতোয়ারা।
অস্তরাগে একা

প্রথমদিন ভিতরকণিকায় থেকে আমরা দ্বিতীয়দিন গেলাম একাকুলায়, নদী-সমুদ্রের মোহনায়। আছোঁয়া সারল্যের অনুরাগ মেখে একাকুলা-র সমুদ্রতট সারাক্ষণ উছলাচ্ছে অথচ একই সময় উল্টোদিকে নদীর বুকে তার অন্য খেলা- জোয়ার-ভাঁটার। অর্থাত নদীতে জোয়ার এলে ও সেই জোয়ারে পানসী ভাসলে তবেই ফেরার কথা ভাবা যাবে- নয়তো চাতকের মত থাকো বসে ফটিকজল চেয়ে। অবশ্য দিনে জোয়ার একবার আসবেই। আমি আসলে একাকুলার ইচ্ছাধীনাই হতে চেয়েছিলাম। সব জায়গায় জোর চলেনা, কোথাও তো সমর্পণের শান্তিটুকু থাক্। প্রকৃতিলীন হবার কিছু শর্ত আছে- তাকে মানতে হয়। আর মেনেছি বলেই জেনেছি একাকুলা জীবন্ত এক প্রাণ... অন্তরে তার অপর্যাপ্ত কথা!
একাকুলা

বাংলোর উঠোন জুড়ে যে মরা হর্স-শু-ক্র্যাবের মেলা তা এত জীবন্ত ও ঝকঝকে যে কুড়িয়ে এনে ধুয়ে-মুছে রোদে দিয়েছি। প্রকৃতির আপনপুরের উপহার নিয়ে যাব কলকাতায়। কিন্তু ‘সে’ বিব্রত ও অসহযোগের বাধাদানে-
- কি হবে এসব?
- চিন্তা কোরনা,  ঠিক গুছিয়ে নেব...
- নেবে কিসে? বিশ্রী গন্ধ,
- কই, আতর দিয়েছি যে...
- এজন্যই। পচা মাংস, সঙ্গে আতর... বমি আসছে।
- এখানে না থাকলেই হয়...
- কোথায় যাব?
- ক-ত... তাকিয়ে দেখ ঠিক পাবে।
- ও, তুমি পাচ্ছ বুঝি!!!
- খুউব...
- বেশ।
গাল ফুলিয়ে দুমদুমিয়ে সে ঘরে ঢুকল আর আমি বাঁধন-ছুট হতেই ছুটলাম মোহনার দিকে। আহা, একেক সময়ের ঝগড়া স্পেস-কে যে কি মহার্ঘ্যতা দেয়। অন্ততঃ ঘন্টা দুয়েক এখন বাকবন্দী খেলা। একফালি অভিমানের ফাঁকে আমার সময় ছিল অপেক্ষায়- হাত ধরে তার চললাম। গোটা দ্বীপটায় সাকুল্যে আছি নজন। আমরা দুই, এক চৌকিদার, এক রাঁধুনী, দুই অরণ্যকর্মী আর খাঁড়িতে তিনটি মাঝিমাল্লা নিয়ে আমাদের ভুটভুটিটি- ব্যস, মনুষ্য-গপ্প শেষ।
'নিত্য তোমার যে ফুল ফোটে ফুলবনে'
  
হাঁটতে শুরু করলেও আমার গতি মন্থর, ভিজে বালি ঠেলে এগোনো দুষ্কর। তবু পৌঁছলাম কাছিমের পিঠের মতন উপুড় পড়ে থাকা উঁচু একটা জায়গায়, যার দুপাশে ছলাত্ছল জল- একদিকে যার সমুদ্র অন্যদিকে নদী। উঁচু পথের দুধারে ঝাউগাছ, বিছিয়ে আছে শুকনো আমলকী, পায়ে জড়াচ্ছে বুনোলতা। তীব্র বাতাসে গাছপালা এলোপাথারী দুলছে। কেননা হাওয়া সামলাবার এককুচি আড়াল নেই, সারাক্ষণ কাটাকুটি খেলা। নদী-সমুদ্রের এই বিভাজন রেখায় দাঁড়িয়ে দেখছি দুধারের জলের রঙের স্পষ্ট ফারাক। তারতম্যও কত মধুর হতে পারে, তার ছবি আছে একাকুলার কাছে। আমার পড়া এমন প্রকৃতিপাঠ এই প্রথম। যেন জীবনানন্দের কবিতা- আধুনিক, আগ্রাসী, জারুল-হিজল-লহনার শব্দ দিয়ে আঁকা।
একাকুলার জেটি। দূরে টুলটুল দুলছে আমাদের নৌকা

বেশ কিছুটা এগোনোর পর সমুদ্র-দিকের ঢালে নামলাম। অদূরেই দ্বীপ গহিরমাতা। অলিভ-রিডলে কচ্ছপ যেমন ডিম পাড়তে গহিরমাতায় আসে, তেমনি আসে একাকুলায়- বীচময় ছড়িয়ে তার একশো নমুনা। মরা কচ্ছপের রোদ-পোড়া-গন্ধ, সমুদ্রের গর্জন আর নিঃসঙ্গ চরাচরে হাঁটতে থাকা একটাই মনুষ্যপ্রাণ আমি, ওদিকে মাথার ওপর শ্রিল চীত্কারে চিলের চংক্রমণ। ভয় পেয়ে গেলাম, ছুটতে-ছুটতে নিজেরই পদচিহ্ণে পা ফেলে- ফেলে ফিরে এলাম কাছিম-পিঠ পথে। এবার এক্সপ্লোরেশন ঢালের অন্যদিকে- ম্যানগ্রোভের জঙ্গল। কিন্তু বাধা এখানেও। সমুদ্রের দিকটায় বালি ছিল আর এদিকে এঁটেল মাটি। কাদাজলে পা ডুবছে, ডেঁয়ো-পিঁপড়ের মত কুড়কুড় করে ছুটছে লক্ষ লাল কাঁকড়া। জলাসংলগ্ন গাছের নীচু ডালে হঠাত্ই দেখি ছোট্ট এক কচ্ছপ ঘাড় উঁচিয়ে বসে- আমার নজর যেতেই শরীরটা ছেড়ে দিল আর টুপ করে গড়িয়ে গেল জলে। মাটি ফুঁড়ে উঠেছে সুন্দরী গাছের শিকড়- নাড়ির অদৃশ্য বাঁধনের মত পায়ে জড়িয়ে ধরছে আর সরতে চাইলেই ডাকছেআয়-আয়
অলিভ রিডলে টার্টলের ছানা

মোহগ্রস্থ চলেছি আমি স্বপ্নসম্ভবের পথে। কঁ-কঁ করে হঠাতই একটা বনমোরগ সামনে দিয়ে দৌড়ে চলে গেল। কখন কি হবে কিচ্ছু জানা নেই- এই এলাকা এমনই আচমকা। চারিদিকে ছড়ানো স্টার ফিস, ঝিনুক ছাড়াও কত অজানা জীবিত-মৃত প্রাণ। হাত ভরে তার কিছু কুড়িয়েছি- এবার ফিরতে হবে। কিন্তু মুস্কিল- বেরনো যাচ্ছেনা। পায়ের গোছ অবধি বসে যাচ্ছে কাদায়, গাছপালার ঘনত্ব বেড়ে আকাশ আড়ালে, মনুষ্য স্পর্শবিহীন প্রকৃতি যেতে নাহি দিববলে ক্রমশঃ আঁকড়ে নিচ্ছে পা। এমনই বিপদকালে মন-অগোচরে সে। কুড়োনো সম্পদ তখনই ভার লাগল। সব ছুঁড়ে ফেলে হাতদুটো ফ্রী করে নিলাম, তারপর গাছের ডাল পুঁতে-পুঁতে মাটির ভার গ্রহণের ক্ষমতা বুঝে এগোতে থাকলাম। মিনিট কুড়ি হাঁটার পর নজরে এল ডানদিকে বাঁশের সাঁকো- চিনতে পারলাম, এপথেই একাকুলায় এসেছি। সাঁকোর শেষমুড়োয় দেখি ভুটভুটিটি টুলটুল দুলছে, মাঝিমাল্লারা ব্যস্ত কিছুর গবেষণায়। মনে প্রশান্তি সবে বসব-বসব করছে ঠিক তখনই ওদের ইশারায় জলে তাকিয়ে থমকে গেলাম- যে পথ ধরে এসেছি, ঠিক সেদিকেই নদীর ধার ঘেঁষে একটা কুমীর ভেসে আছে। শুনলাম একটা বক ধরতে ঝাঁপিয়েছিল, কিন্তু ইঞ্চি তিনেকের মিস্ ক্যালকুলেশনে ব্যর্থ হয়েছে বেচারী। আপাত নিস্পৃহতা নিয়ে তিনি এখন ধ্যানীর মগ্নতায়। 
একাকুলার অন্যতম বাসিন্দা

এবার স্পষ্ট হল সবটা। এতক্ষণ যে লতাপাতা আমায় আঁকড়ে ধরছিল, কাদামাটিতে গেঁথে নিচ্ছিল পা- তার উত্তর পেলাম মূহুর্তে। সুমঙ্গলা প্রকৃতি আসলে আগলাচ্ছিল আমায়, নাড়িতে তাঁর টান পড়ছিল শিকড় উপড়ে যাওয়ার। বেশ বুঝেছি, ডালবাকলের আঁকশী ছিল তাঁর বাড়ানো হাত- আর কাদার আঁচলে রাখা ছিল আশীর্বাদ। আমি বোকা- মাকেই কিনা সন্দেহের...

পিছু ফিরে জঙ্গলে চাইলাম, কৃতজ্ঞতার জলে ভরে উঠল চোখ। এবার আমি বাংলোর দিকে। কিজানি, এখনো ‘সে’ ঘরে না আমার খোঁজে বেরিয়ে পড়েছে! এপথে নয়তো? সতর্ক করা দরকার- তাড়াতাড়ি পা চালালাম।
ভান এমন... যেন মৃত

.........................................................................................................................................................................................................................
*কিভাবে যাবেন- উড়িষ্যার ভদ্রক স্টেশনে নেমে বাস বা রিজার্ভ গাড়িতে চাঁদবালী সেখান থেকে জলপথে ভুটভুটি করে প্রথমে ডাংমল 2 ঘন্টায় তারপর ডাংমল থেকে একাকুলা 4 ঘন্টা। এছাড়া ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে যে 3 ধরণের বোট পাওয়া যায় তার ক্যাপাসিটি 30 জন/15 জন/5 জন ও খরচ যথাক্রমে মাথাপিছু Rs.1500/-,1000/-,700/- ফুয়েল ছাড়া। ইদানীং একাকুলায় অরণ্য-নিবাস ছাড়াও সরকার থেকে কিছু টেন্টের ব্যবস্থা হয়েছে ও এলাকা সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছেবুকিং-এর জন্য যোগাযোগ- Divisional Forest Officer,  Mangrove Forest Division Rajnagar, Dist: Kendrapada, PIN:754225, Ph (06729) 272460, Fax: 91-6729-272464 Or Asst. conservator of Forests, Chandbali, PIN 756133 Ph. (06786) 220372 ডাংমল, গুপ্তি, হাবালিকাঠি বা ভিতরকণিকা স্যাঙ্কচুয়ারির বুকিংও এখান থেকেই দেওয়া হয়। 

No comments: