Tuesday 5 May 2015

পশ্চিম সিকিম- বসন্তের ভার্সে

রডোডেনড্রন (গুরান্স)

মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী

‘উদ্ধত যত শাখার শিখরে রডোডেনড্রন-গুচ্ছ।‘
তাঁর কাছে আর বাদ নেই কিছু। রবি ঠাকুর রডোডেনড্রনকে এমনভাবে আঁকলেন যে ‘পথ বেঁধে দিল বন্ধনহীন গ্রন্থি / আমরা দুজন চলতি হাওয়ার পন্থী‘ গাইতে-গাইতে বাঙালী পৌঁছে যাচ্ছে ‘ভার্সে’। শুধুমাত্র রডোডেনড্রনের দিকে চেয়ে। কি যে তিনি না শেখালেন... ‘রডোডেনড্রন’ শুধু রবি-কবির কবিতার লাইন ভালবাসতে-বাসতেই ভালবেসে ফেলা। বাঙালী মানসে এ’টি ঠাকুরগন্ধী ফুল। ক্ষুদ্র বোধ নিয়ে ‘তাঁর’ মত করে দেখার বা ‘তাঁর’ অনুভবে অনুভাবিত হবার যে কি নিদারুণ বাসনা। ‘আমরা চকিত অভাবনীয়ের ক্বচিত্ কিরণে দীপ্ত’ হই বা না হই- বাঙালীত্বের শরিক হতে পেরে তৃপ্ত। ‘ভার্সে’গামী হয়ে তাই আমিও ছিলাম উদ্বেল। এখানে ‘গুরান্স (Radodendran) কুঞ্জ’ একটি আছে, যেটি থাকার একমাত্র ঠিকানা- দায়িত্বে ‘বন্ধু শেরপা’। তার অভিমত- অন্য ভাষাভাষীরা শতাংশে পাঁচজন এলে বিদেশীরা আসে পাঁচজন আর বাকী নব্বইজনই বাঙালী। কি করে বোঝাই- অন্য ভাষাভাষীদের তো আর বাঙালী রবীন্দ্রনাথ নেই যে আবেগের ওমে সেঁকবে নিজেদের। আমি দেখেছি সেই আহ্লাদীপনায় মজে ‘ভার্সে’র বসন্তকাল রডোডেনড্রনীয় লাল। এমন কি সাড়ে চার কি.মি রাস্তা যখন বনের মধ্যে দিয়ে হেঁটেছি, ঘোর লাগা চোখের ওপর তখন উপছে পড়া আগুন। যেদিকে তাকাই সেদিকে সত্যিই অরুণকিরণ তুচ্ছ করা রডোডেনড্রন-গুচ্ছ।



 গুরান্সকুঞ্জ, এখানেই উঠেছিলাম

এটিও গুরান্সকুঞ্জের সামনেই- মুখোমুখি

ভার্সের কাছাকাছি পৌঁছে গেছি

ফুলোবতী

'ট্রেকার্স হাট'-এর সামনেই ফুলভারে দর্পিত রডোডেনড্রন-গুচ্ছ

স্বপ্নের মত যেন ভার্সের বনোপথ

কাছে-দূরে লালের উল্লাস

লাল রাজ্যে ফণা তুলে হঠাত্ স্নেক-লিলি

গোলাপী গুরান্স

 কুঁড়ি-পাতা-ফুলের বৈভবী গুরান্স

 চিমল ( White Radodendran)


No comments: