মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী 10.6.11 বেলা সাড়ে দশটা
বেশ, কেউ যখন লিখছে না, এই বিভাগটা আমার একারই থাক্।
স্বপ্ন 2
কাল স্বপ্নে আমি রান্নাঘরে ছিলাম। ওমা.... হঠাত্ জানলা দিয়ে একটা বাঘ ঢুকে এলো। আমায় ভয় পাবার অবকাশ না দিয়ে বাঘ বাবাজীই দেখি ভিরমী খেয়ে জানলা দিয়ে ধাঁ। ঐ চকিত ঘটনায় আর বিদ্যুতের মত হলুদ প্রভায় মন যখন ভয় পাওয়ার হিসেবটা বুঝেছে, তখনই ছুটে গেলাম জানলায়। নীচে তাকিয়ে দেখি ডুয়ার্সের সেই নুড়িভরা সাদা বালির 'বালানদী', পুর্ণিমা চাঁদ মেখে শুয়ে আর শুখা সে নদীর বালিতে পা ডুবিয়ে বাঘবেটা চোখ তুলে দেখছে। ড্যাবড্যেবে, অবোধ, 'কেমন বোকা বানালুম' গোছের মুখোভাবের বাঘ আমায় দেখছে আর আমি তাকে। এমন সময় মা আর ভুচু হঠাত্ রান্নাঘরে। ভয়হীন যে সৌন্দর্য্যতে ফিদা আমি মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে ছিলাম, ওদের দেখে সঙ্গে-সঙ্গে তা উধাও তো বটেই বরং কি করে ওদের রক্ষা করি এই চিন্তায় পড়লাম। বাঁদিকে মুখ ফেরাতেই দেখি হলুদ শিখা, জানলা কিন্তু বন্ধ। ভাবলাম গ্যাস জ্বলছে... নেভাই। বাবা, গ্যাস কোথায়... বেটা বাঘ ফের ঘরে, লাফিয়ে বেড়াচ্ছে এই তাক, ঐ তাক, সিলিং....
হঠাত দেখি ওরা নেই, মানে মা আর ভুচু......
ফের আমি আর বাঘ। এবার আর মনে সৌন্দর্য্যবোধের লেশমাত্র নেই, শুধুই ভয়। অথচ পালাচ্ছি না, সেও জ্বালাচ্ছে না। আপন খেয়ালের দস্যিপনায় আমায় কাঁটা করে রেখে দিয়েছে। এমনি ভাবেই ধীরে ফিকে হল স্বপ্ন, ভোর হল। এই স্বপ্নটা ভারী মিষ্টি না? একফোঁটা তিতকুটে স্বাদ নেই। ঘুম ভাঙল যখন, মনে হল ছুঁয়ে এলাম কিশোরীকাল..... আয়নায় দেখতে ইচ্ছে করল নিজেকে।
একটা বয়সের পর এমন সুখী স্বপ্ন বড় কম আসে। জাগ্রত মনের ওপর দিয়ে সবরকম অনুভূতিই যে বয়ে যাবে এমন স্থিরতা নেই। কৈশোরের পর থেকে বেঁচে থাকা জীবনের দায় বইতে-বইতে সংগ্রহে অধিকাংশই জঞ্জাল। কিছু-কিছু তার না যায় ফেলা, না যায় রাখা। তবু জমার ঘরে বাড়তেই থাকে পুঁজি। এমনই দিনগুলোর কোনো এক ফাঁকে যদি এমনি হলুদ স্বপ্ন এসে বলে 'ভয় পাও বুলবুল, ভালবাসো....' তাকে তখন সাপ্টেজাপ্টে নিয়ে বাঁচি।
কিছুদিন পরেই স্বপ্নগুলো হারায়। তাই ধরে রাখতে এমনি করেই লিখে ফেলব। হঠাত্ কখনো চোখে পড়লে, পাঁক থেকে বেরিয়ে থাকা একডগা পদ্মকুঁড়ির মত যাতে আমায় তারা সাহচর্য্য দেয়, শুশ্রুষা দেয়, আকাঙ্খিত রাখে অনুক্ষণ।
বেশ, কেউ যখন লিখছে না, এই বিভাগটা আমার একারই থাক্।
স্বপ্ন 2
কাল স্বপ্নে আমি রান্নাঘরে ছিলাম। ওমা.... হঠাত্ জানলা দিয়ে একটা বাঘ ঢুকে এলো। আমায় ভয় পাবার অবকাশ না দিয়ে বাঘ বাবাজীই দেখি ভিরমী খেয়ে জানলা দিয়ে ধাঁ। ঐ চকিত ঘটনায় আর বিদ্যুতের মত হলুদ প্রভায় মন যখন ভয় পাওয়ার হিসেবটা বুঝেছে, তখনই ছুটে গেলাম জানলায়। নীচে তাকিয়ে দেখি ডুয়ার্সের সেই নুড়িভরা সাদা বালির 'বালানদী', পুর্ণিমা চাঁদ মেখে শুয়ে আর শুখা সে নদীর বালিতে পা ডুবিয়ে বাঘবেটা চোখ তুলে দেখছে। ড্যাবড্যেবে, অবোধ, 'কেমন বোকা বানালুম' গোছের মুখোভাবের বাঘ আমায় দেখছে আর আমি তাকে। এমন সময় মা আর ভুচু হঠাত্ রান্নাঘরে। ভয়হীন যে সৌন্দর্য্যতে ফিদা আমি মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে ছিলাম, ওদের দেখে সঙ্গে-সঙ্গে তা উধাও তো বটেই বরং কি করে ওদের রক্ষা করি এই চিন্তায় পড়লাম। বাঁদিকে মুখ ফেরাতেই দেখি হলুদ শিখা, জানলা কিন্তু বন্ধ। ভাবলাম গ্যাস জ্বলছে... নেভাই। বাবা, গ্যাস কোথায়... বেটা বাঘ ফের ঘরে, লাফিয়ে বেড়াচ্ছে এই তাক, ঐ তাক, সিলিং....
হঠাত দেখি ওরা নেই, মানে মা আর ভুচু......
ফের আমি আর বাঘ। এবার আর মনে সৌন্দর্য্যবোধের লেশমাত্র নেই, শুধুই ভয়। অথচ পালাচ্ছি না, সেও জ্বালাচ্ছে না। আপন খেয়ালের দস্যিপনায় আমায় কাঁটা করে রেখে দিয়েছে। এমনি ভাবেই ধীরে ফিকে হল স্বপ্ন, ভোর হল। এই স্বপ্নটা ভারী মিষ্টি না? একফোঁটা তিতকুটে স্বাদ নেই। ঘুম ভাঙল যখন, মনে হল ছুঁয়ে এলাম কিশোরীকাল..... আয়নায় দেখতে ইচ্ছে করল নিজেকে।
একটা বয়সের পর এমন সুখী স্বপ্ন বড় কম আসে। জাগ্রত মনের ওপর দিয়ে সবরকম অনুভূতিই যে বয়ে যাবে এমন স্থিরতা নেই। কৈশোরের পর থেকে বেঁচে থাকা জীবনের দায় বইতে-বইতে সংগ্রহে অধিকাংশই জঞ্জাল। কিছু-কিছু তার না যায় ফেলা, না যায় রাখা। তবু জমার ঘরে বাড়তেই থাকে পুঁজি। এমনই দিনগুলোর কোনো এক ফাঁকে যদি এমনি হলুদ স্বপ্ন এসে বলে 'ভয় পাও বুলবুল, ভালবাসো....' তাকে তখন সাপ্টেজাপ্টে নিয়ে বাঁচি।
কিছুদিন পরেই স্বপ্নগুলো হারায়। তাই ধরে রাখতে এমনি করেই লিখে ফেলব। হঠাত্ কখনো চোখে পড়লে, পাঁক থেকে বেরিয়ে থাকা একডগা পদ্মকুঁড়ির মত যাতে আমায় তারা সাহচর্য্য দেয়, শুশ্রুষা দেয়, আকাঙ্খিত রাখে অনুক্ষণ।
1 comment:
স্বপ্ন2-
তোমার মিষ্টি স্বপ্নের ভাগ দেবে মঞ্জু? খুব অন্যরকম, যদিও প্রশ্ন কতটা কল্পনা, কতটা....।
Post a Comment