নিস্তব্ধ বিকেলের নীরবতা ভেঙ্গে
একঝাঁক কাকের কর্কশ চিৎকারে
যখন আন্দোলিত হয় চারিপাশ-
তখন- তীব্র মানসিক যন্ত্রণায়
কাতরাতে থাকে বিবাগী মন।।
শেষ বিকেলের আলো শেষ হয়ে গেলেও
এখনও যায়নি মুছে তার লালিমা
ছোট্ট ছোট্ট মেঘপুঞ্জ উড়ছে হেথা সেথা
দেখে যেন মনে হয়,
এ আকাশের রক্তাক্ত, ব্যথিত মুখচ্ছবি।
ক্লান্ত পথিকের ঘরে ফেরা আর
কর্মব্যস্ততার কোলাহল থেমে
চারিপাশে যেন ঘিরে ধরে নিস্তব্ধতা।।
এ অসহ্য....... কেন??? কেন???
কেন এত বেশি নিস্তব্ধতায় ডুবে আছি
লোকচক্ষুর অন্তরালে....
এ কোন ঝড় উঠেছে এই বুকে??
ঝড়ের তোড়ে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে
পংক্তিমালা যত সাজানো ছিল মনে।
দুর্বোধ্য, দুর্ভেদ্য এ অন্ধকার,
প্রচণ্ড শূন্যতার হাহাকার
আমাকে ঘিরে ধরছে কেন???
কে দেবে উত্তর, ঐ কাক, ঐ সন্ধ্যে
নাকি ঐ নীলাভ আকাশ??
এরা উত্তর দিতে জানে না,
এরা উত্তর দিতে পারে না।
যে জানে সে তো চলে গেছে দূরে
দূর থেকে দূরান্তরে..... বহুদূরে,
শুধু রেখে গেছে বিচ্ছিন্ন আমায়
নিস্তব্ধ এ কোন অন্ধকারে।।
******************
4 comments:
'ঝড়ের তোড়ে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে
পংক্তিমালা যত সাজানো ছিল মনে'
পুরো কবিতাটার মধ্যে এই লাইন দুটি মোক্ষম। তোমার কবিতা আগের চেয়ে অনেক পরিণত আল ইমরান। এখন তোমার অন্তর-আবেগের ছোঁয়া পাওয়া যায় লেখায়। কিন্তু একটা কথা, পড়তে গিয়ে বাধার মত চোখের সামনে পাঁচিল তুলছিল বানান। তাকে ঠিক করে নিয়ে পড়েছি, তবে স্বাদ নিয়েছি, তবে মন্তব্য করতে পেলাম। থ
নীরবতা, কাক আর পংক্তি ঠিক করেছি। এ ব্যাপারে আরেকটু তুমি সতর্ক হলেই কেল্লাফতে। লিখছ তো ভালই...
ধন্যবাদ দিদি। এইত শিখছি। একটা বাংলা অভিধান কিনতে হবে। আগে একটা ছিল বাসায়। কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। ভুলগুলো অবচেতন মনে হয়। ঠিক করে নেবার চেষ্টা করব।
সুখপাঠ্য...
শেষটা ভাল লাগলো। লেখা চলুক।
Post a Comment