মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী
সাবান মেখে আষাঢ় কালো মেঘের রং সাদা
জুঁই ফুলকে ডাকল
দিদি হাস্নুহেনায় দাদা।
শিউলিফুল ও
পদ্মমণির খুব অভিমান হল
নালিশ নিয়ে শিশিরভেজা
ভোরের কাছে গেল।
ভোর বলল ফুল্লকুসুম তোরাই বা
কী কম
রাঙিয়ে দিল ওদের দিয়ে নিজের
কমলা রং।
দিল বিপুল পেঁজা তুলোর বৃষ্টিধোয়া
আকাশ,
শরত রোদের আঁকিবুকি পূজোর গন্ধ
বাতাস।
শিউলি বুকে তিরতিরে সুখ কমলা-বোঁটা
সাজে
সেই সুখ ফুল হয়ে ফোটে সকাল
তখন না যে।
উপচে যাওয়া নিখাদ খুশীর অশেষ প্রেরণায়
বিছিয়ে দিল ফুলরাশি ভোরের ভালবাসায়।
পদ্মমণির মাঝে নিটোল সূর্য্য-রঙা
কোরক
মধু পানে এসে ভ্রমর ভাবল কুচি
হীরক।
মুগ্ধ চোখের নীরব ভাষায় পদ্ম
প্রাণে ঠেউ
বুকের উথালপাতাল কথা জানল না আর
কেউ।
বাপের ঘরে আসার পথে মা
দুর্গার মন
ছুঁয়ে গেল ভিতরপুরের পদ্ম-গোপন-কোণ।
কমলকুঁড়ির সে ব্যাথা মা চরণ
পেতে নিল
পদ্মমণির প্রেমিক পরাণ পূর্ণতাতে
গেল।
আষাঢ় কালো মেঘ-মহোদয় সাবান
মেখে সাদা
জুঁই-চামেলী আসবে
সেজে চলছে বাঁধাছাঁদা।
শিউলি বলল ‘পদ্মদিদি ভোরের সঙ্গে চল্,
কমলা আলোয় সাজাব দিক্ নামবে খুশী-ঢল।‘
2 comments:
পূজোর দিনে ভালই দিলে।
ছন্দোবদ্ধ প্রকাশ ভাল লাগলো। চমৎকার!
পূজোর শুভেচ্ছা। অনেকটা দেরিতে। ভাল তো মঞ্জুদি?
Post a Comment