Thursday, 14 June 2012

গোধূলী

মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী


অনেকটা আকাশ লুটিয়ে আঁচল
বনস্থলীর দিশামুগ্ধ লালিমাতে
ছিল বিছিয়ে-
দুজনে... দুসনে।

মেঘ কি করে যেন খবর পেল
সে আকাশে জলপরী সম্ভাবনারা
সবুজ আলোর স্নান সেরে
শিকারে গেছে।

শুনে মনোপুরে মন্থন মঞ্জুর-
স্মৃতিপুরে ভীতিময় উতরোল।
জয় এত সোজা নয় মেঘ। 


যাও মেঘ, দেখো,
আঁচলে গেঁথেছ যে সৌরভ,
উড়িয়েছ রামধনু রঙ 
ম্লান করে দিয়েছে তা
দিনান্তের শত্রুশিবির।

3 comments:

Aloke Bhanja said...

তোমার উপমাগুলো খুব সুন্দর, সব কিছু উপলব্ধি করি বটে তবুও যেন সঠিক বুঝে উঠতে পারিনা - অক্ষমতাটা তোমার নয় - আমার....কারণ কবিতা বুঝতে গেল একটু কাব্যিক হতে হয় - সেটা যে আমি নই...

Unknown said...

কবিতায় একটা আলো-আঁধারী ছায়ামায়ার খেলা থাকে দাদা, যাকে ছাড়িয়ে নিয়ে দেখতে গেলে আপনার ভাষা মতই ঘটনা ঘটে... 'সব কিছু উপলব্ধি করি।' তবে পরনর্তী বিবৃতির মত 'সঠিক বুঝে উঠতে পারিনা'টাও যথার্থ। আমি কি আর তেমন করে পারি যে বুঝবেন? যারা পারেন, তাঁরা উপলব্ধির পাশাপাশি বুঝিয়েও দিতে পারেন। কবিতার এই দ্বিতীয় ধরণটাই বেশী ভালবাসি। আজকাল কবিতা বড় বেশী আড়ালকামী ... দুর্বোধ্য, যা ঠিক বুঝিনা। এ কবিতার অন্তরে অন্য কথা আছে দাদা, যা সময় করে বলব... এখনি নয়। আমি সচেতন প্রয়াসেই কবিতার গায়ে আব্রু এনেছি। তবে ছেনেবেনে এমন দেখলেন ও বললেন বলেই অনুরোধ, প্লীজ কবিতা পাতায় গিয়ে আমার পুরনো দু'একটা যদি পড়েন, কিছু বলেন...

ভাবনাকে বোধগম্যতার অতি দূরত্বে রেখে কায়দাকেতায় আমারও বড় অনীহা।

আল ইমরান said...

"যাও মেঘ, দেখো,
আঁচলে গেঁথেছ যে সৌরভ,
উড়িয়েছ রামধনু রঙ
ম্লান করে দিয়েছে তা
দিনান্তের শত্রুশিবির।"

বেশ ভালো লাগলো।