ঘর
ইন্দিরা মুখার্জীএকটা ঘর যদি পাই
সস্তা বা দামি নয়
ছোট বা বড় নয়
কৌণিক আবার আয়তক্ষেত্রও নয়।
একটা সুদৃশ্য শান্ত চতুর্ভুজ আমার চাই।
ঘরের পাশে একটা রাস্তা তো থাকবেই, কিন্তু
দেখো, যেন কোলাহল না থাকে।
আর ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তা টা যদি
একটা নদীর সাথে মেশে-
আরও ভালো হয়।
যদি না মেশে তাতেও ক্ষতি নেই;-
আমিই না হয় ঢুকবো নদী হয়ে--
আমার বন্ধুরা সব নানান ঘরে থাকে।
কোনোটা ছোট, কোনোটা বড়, কোনোটা সরল,
কোনোটা বা কর্কশ।
আরও আছে।
ধূসর রঙের ঘর।
লাল না, হলুদ না-- কেমন একটা আড়ষ্ট ভাব,
খোলা জানলা দিয়ে ঢোকে অন্ধকার।
আর যে ঘরটা ছিল পুতুল দিয়ে সাজা!
খেলার পুতুল, কাজের পুতুল, নকল পুতুল, আসল পুতুল--
ঘর দিয়ে গাছ-- গাছ দিয়ে ঘর--
দেখনি? -- ওই যে যেখানে,
শিকড় গুলো জেগে আছে প্রান খুলে শ্বাস নিতে?
যাক সে কথা--
তুমি বরং ভালো করে দেখে নিও ঘরে সূর্য কখন ওঠে।
দখিন পারের রোদ্দুর কখন আদর কেড়ে যায়।
আচ্ছা ! ঘরের রং কি হবে?
সাদাই রেখো বরং।
গাছ গাছালি কলকা এঁকে দেবে
কখনো এপার--- কখনো ওপার দেওয়ালটায়।।
ঘর ভরা মন -- মন ভরা ঘর
ঘরের কানে কথা,
ঘরের মধ্যে ঘর ভোলানো
এক সমুদ্র ব্যথা--
এমনই একটা ঘরের দাবি আমার।
এমনই একটা ঘরকে আমি চাই।
যে ঘর শুধু তোমার সঙ্গগুনে
রত্ন খোঁজে উড়িয়ে দিয়ে ছাই।।
-------------------------
1 comment:
এই যে তোমার নিবিড় চাওয়া স্বচ্ছ্বস্নেহ ঘর,
সেই ঘরকে একাই পাবে বুঝি?
একাই নেবে রত্নরাজী উড়িয়ে দিয়ে ছাই?
না, না.. এ যে অহংকার।
নদী হবে, বইবে একা,
ঘরের চালে বসবে টিয়া
সুখের বসতকথায় দাওয়ায় খেলবে সোনা চাঁদ।
এসব পেতেই পারো
তবু তাকিয়ে দেখো মেয়ে-
অপেক্ষাতে দাঁড়িয়ে আছে ভিড়
নিয়ে মনের কোণে নদীর কলরোল-
বুকে নীড় হারানো নীর।
তোমার এই কবিতাটা পড়ে এই যে লিখে ফেললাম, উস্কে দিতে পারলে... এ' জন্য রইল আমার অজস্র কৃতজ্ঞতা। খুব ভাল লিখেছ.... স্ব্বচ্ছ-সহজ-সুন্দর।
Post a Comment