Saturday, 14 May 2011

সত্যিকথা


এই মনফসলে স্বপ্ন বিভাগ রেখেছি, এবার ভাবছি সত্যি বিভাগও রাখি। কেন বলি? যখনের কখা বলছি, তখন আমার লেখা কোনো দেওয়াল পত্রিকাতেও বেরয়নি, অথচ আমি.....

হেলে ধরতে হিমসিম আমি কিনা প্রথমেই বাড়িয়েছিলাম হাত কেউটের দিকে আর ছোবল খেতেই অজ্ঞান। মানে লেখার শুরুতেই লেখা পাঠিয়ে বসেছিলাম দেশ’-এ। বুকে বিশ্বাস, বাকী লেখকদের ছুটি করে দিয়ে আমার লেখা নিয়ে চলবে নাচানাচি। তো পরিণতি যা হবার তাই হল। পাঁচমাস বাদে আপনার লেখাটি মনোনীত না করার জন্য আমরা দুঃখিতজেনে দুঃখে আমি দুভাগ হলাম এক বন্ধুর পরামর্শে। এক ভাগের মঞ্জু গেল লিটিল ম্যাগের দিকে আরেকভাগের আমি বাণিজ্যিক পত্রিকার দিকে। ইতিমধ্যে কিছু খুচরো প্রেমও জমেছিল ই-পত্রিকাগুলো ধরে। ভাগ্যিস বন্ধুর কথা মত আমি চলেছিলাম সেদিন....

লিটিল ম্যাগে লিখতাম আর বাণিজ্যিক পত্রিকাগুলোয় বেরনো লেখকদের নাম তালিকায় জুলজুল চেয়ে ফোঁসফোঁস নিঃশ্বাস ফেলতাম। ভাবতাম কবে আমি দেখব আমাকে ওখানে!!!!!! তারপর স্বাভাবিক কি অস্বাভাবিক কোন নিয়মে জানিনা, বেশ কবার লেখা বেরলো সাপ্তাহিক বর্তমান, নিউজবাংলা, সংবাদ প্রতিদিনতথ্যকেন্দ্রে

এক তো বাণিজ্যিক পত্রিকা একটা পরিচিতির জায়গা, দুই- কাগজগুলোর হিউজ সার্ক্যুলেশন আর তিন হল তাদের কাজের শেষে মিঠে নোটের সম্মান। কিছু না কিছু তো মানুষ চায়। হয় নাম, নয় টাকা। বাণিজ্যিক এই পত্রিকাগুলোর ক্ষমতা দেখি এই দুটো দিকেই বেশ। এসব তো আমি অনেকদিনই জানি, আজ হঠাত্ লিখছি কেন? এইজন্য, যে দেশ-এর বিভাগীয় সম্পাদক হর্ষ দত্তর কাছ থেকে আপনার গল্প কষ্টছোঁয়া স্বপ্নপথ বেয়েমনোনীত, যথাসময়ে প্রকাশিত হবে লেখা একটা চিঠি পেলাম বলে। প্রথম লেখা ফেরত্ এসেছিল যখন, তখন থেকেই ও ঘর বড় দূরের, বড় অন্যের, আমার কান্নার ও কামনার ছিল বলে। আমার লেখা এবার ফেরত আসুক, ফেরতই আসুক নাহয় সবকটা। তবু সেদিনের মত ভাঙবো না। ব্যস, ও ঘরে আমার ঢোকার ছিল... ঢুকেছি। ঢুকতে না দিয়ে বের করে দেওয়া সইছিল না..... সইছিল না কিছুতেই। এবার যদি বাকীগুলো প্রকাশ পায় তো বেশ- সেগুলো হবে বোনাস, আমার উপরী। আমার প্রাপ্তির কোটা আজই ফুলফিল্ড।  

No comments: