Tuesday 19 July 2011

স্মৃতিপুর

মধ্যরাতের বৃষ্টি কার ঘ্রাণ ছড়িয়ে যায়? কার...? কার...?কার ? ঘ্রাণ...? ঘ্রাণ...? ঘ্রাণ? রিন রিনে একটা মিষ্টি সুর, নহলী শিকারী চিলের মত ছোঁ মেরে হাতে তুলে নেয় মুঠোফোন, হাত বুঝি অবিশ্বাস করছে মস্তিস্ককে, একবার নয় পাঁচবার এসেছে একই বার্তা, এটি একটি প্রত্নভাষা অনুবাদ করতে হলে বৃষ্টি চাই, অঝোর বৃষ্টি, চাই মধ্যরাত, তাইকি অঝোরে ঝরছে মধ্যরাতের আকাশ! নখের আচড় পড়ে বিস্মৃতির জঞ্জালের স্তুপে। খোলা জানালা দিয়ে জলের ঝাপটা এসে ভিজিয়ে দিচ্ছে পায়ের পাতা, শাড়ীর পাড়, অন্ধকারে চিকচিক করছে জল, বুকের ভেতর ছলকে পড়ে সেই জল ছলাৎ ছল, ছলাৎ ছল, বিন্দু বিন্দু ঘাম জমা হয় কপালে, বিস্মৃতির জঞ্জাল ধুয়ে গিয়ে বেরিয়ে পড়ে অন্যজন্মের শিলালিপি, বংশীয়াল! কোথায় তুমি? তোমার বাড়ীর ছাদে ফুলের ভারে কি নুয়ে পড়েছে স্নানমগ্ন কদমের ডাল! মধ্যরাতের বৃষ্টি এমন অর্থবহ করে তুলবে আমার কাছে তুমি ছাড়া আর কে?

2 comments:

চৈতী আহমেদ said...

মঞ্জু, মনের খুব জটিল অবস্থার মধ্যে আমার বসবাস, কারো সাথে কথা বলতে ভালো লাগে না, আশা করি বুঝবে? বুঝতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। ঠিক ধরেছ, পড়ছি সব, কিছু বলতে ইচ্ছে করে না। তোমার এত ভালো লেখাগুলো না পড়েও পারি না, যদি নিষেধ করো তবু পড়বো, যদি স্বাভাবিকতায় ফিরতে পারি তবে না হয় ইচ্ছে মতন বলবো।

Unknown said...

বুঝি,বুঝি... জটিল আবর্তনে মনের ঘুরপাক আমিও বুঝি চৈতী। যখন মধ্যরাতের বৃষ্টি অর্থবহ করে তোলে কোন উচাটন তখন যেমন বুঝি তেমনি খরাক্লান্ত দিনের শেষে শান্তির প্রত্যাশাটাও কিছু বুঝি আমি। তুমি এত সেনসিটিভ বলেই এই অস্থিরতা, এই একার সঙ্গে একার বিলাস, এই ভাল লেখা। তবে তোমার সঙ্গে মনের সুখে তর্ক করার বড় বাসনা চৈতী। তাই লিখেটিখেই খুঁজি তোমায়। যাচিয়ে না নিয়ে এক ধাক্কায় ভাল বলার পাবলিক তুমি নও। এমন ধরণের মানুষ ভারি পছন্দ আমার। আরেকজন আছে- তিতাস। তারো কোনো রাখ-ঢাক নেই।
তোমার এই 'স্মৃতিপুর'ভ্রমণ আমার বেশ হল।