Friday 4 November 2011

আধিদৈবিক

জীবনের দুই প্রান্তকে জোড়া দেবে তারই
আয়োজনে মেতেছিল সেদিন বরেন্দ্রভূমি
বর্ষা গ্রামে বর্ষণ ছিল না তবুও আমরা
ভিজেছিলাম, তোমার বৃষ্টিতে আমি
আমার বৃষ্টিতে তুমি।

সাঁওতালি নাচের মুদ্রায় বেজেছিল
উন্মাতাল মাদলের সুর কালের নিদ্রা
ভেঙে দুবাহু বাড়িয়ে নান্দনিক সম্পর্কে
ডেকেছিলে তুমি, যুগান্তের তৃষ্ণা
আকাঙ্ক্ষার আগুন।

ফাগুন বেলায় তোমাকে ভালবেসে
জেনেছি আমি সব নান্দনিকতায়
থাকে গোলাপের মত কাঁটা ও কীট
বাগান বিলাসের রঙ বদলাতে পারে না
মনের কোনের লুকানো কদর্যতাকে।

অবচেতনে যে প্রতিনিয়ত যূপকাষ্ঠের পাশে
শান দেয় ছুরি, তৈরি রাখে সিঁদুর,
যে কোন মুহূর্তে বলি দেবে তার নিজেরই
আত্মাকে যেখানে রেখেছিলাম পরম
বিশ্বাসে আমার হৃদয়।

3 comments:

Unknown said...

কাব্য ফর্মাটে বাঁধানো তোমার এই যথার্থ কথাক’টি অন্তরে এসে বসল। তার মধ্যে থেকে নিজের জন্য তুলে নিলাম ‘জেনেছি আমি সব নান্দনিকতায়/থাকে গোলাপের মত কাঁটা ও কীট’
তোমার অধিকাংশ কবিতাই খুব অন্তরসম্পর্ককে ধরে- এই কারণেই আমার এত ভাল লাগে। সম্পদকে সম্পন্নের মত এক্সিকিউট করতে পারাটা একটা কেতা। আসলে কেউ কেউ ধনী হয়েও এক্সিক্যুশনে বড় দরিদ্র।

তবে এখানেও বলার আছে। তোমায় কি পেঁচোয় (পাঁচ-এ) পেয়েছে? ওখানে ‘প্রাতিভাসিক’, এখানে ‘আধিদৈবিক’...

তা বেশ, এই অবধি ঠিক আছে। এবার বলেকয়ে শিরোনামে একের খেলা দেখাও তো কন্যে। দেখাই যাকনা কি দাঁড়ায়। দুই নয়, তিন নয়, পাঁচ তো নয়ই। ঠিক আছে? রাগ করে আবার পালিও না।

চৈতী আহমেদ said...

আমাদেরকে মাঝে মাঝে কিছু একটাতে পায় বলেই তো আমাদের হাত নিশপিশ করে আর মগজ গিজগিজ করে আর বেচারা কীবোর্ড ওর কি দোষ বলো আমাদের হুকুমের দাস বৈ তো নয়। আর এই মহান কম্পু স্যার আমাদের ধারণ না করলে তুমি আমি কোথায় যেতাম বলোতো, আমাদের পাবনা পাগলা গারদে শুনি বড্ড গাদাগাদি...
যা তুমি দেখতে চেয়েছো এ আর এমন কি করাই যায়, তবে কখন তাতো জানি না, তবে দেখবে এ ঠিক বলছি।

Unknown said...

তুমি ঠিক বলেছ চৈতী, এই কম্প্যুস্যার ধারণ করছে বলেই না আমরা ফান্ডা দিয়ে লিখে চলেছি। আজকাল আর কাগজকলম নিয়ে বসাই হয়না।

আর তোমাদের ওখানে তো তবু পাগলাগারদে গাদাগাদি। আর এই ভারতে? তুমি জাননা চৈতী, গ্রামের সবুজ আর সারল্য ছেড়ে এই নগরসভ্যতায় থাকা মানুষজনের ক্ষতির পরিমাপ। কিভাবে যে ঘরে-ঘরে ছড়িয়ে আছে অসুস্থতা... তুমি কল্পনাও করতে পারবে না। আমিও ভয়ে আছি, কোনদিন না খুইয়ে বসি মানসিক সন্তলন। সেনসিটিভ মানুষদের বড্ড বিপদ এখন।