Thursday 10 November 2011

ডাঁটিয়াল


মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী

সন্ধ্যা-সকাল শিউলিবোঁটার
কমলা ছলনা-
ঢের সয়েছে মিথ্যা সোহাগ
ছিন্ন ললনা

মন উঠোনে জল থৈথৈ
মাড়িয়ে যাবে? না
ভিতরপুরের শাপলা ডাঁটায়
সাপের জ্বলনা

ছন্দময়ীর হাঁটার পথে
সজনা ফুলেল রোদ
মুছবে আলো? নেবে গাঢ়
কষাটে নীল শোধ

সোহাগী ওম্ সাতসমুদ্দুর
আসক্তি নিলাজ-
ফেলে উজান? দেবে কঠোর
'সম' হারানো সাঁঝ

রাতের কেয়াফুলের বুকে
প্রখর রতিকাল
তাহার বোধে পাপের পাঁক
ফুল্ল ডাঁটিয়াল

*******************
*নোট- সমহচ্ছে সেটাই, যা না থাকলে গান, বাজনা, নাচের মজা প্রায় নেই বলা যায়, বিশেষতঃ ক্লাসিক্যালেযে কোনো তাল শুরু হয়ে তার মাত্রাপথ (গণনা হিসেবে ত্রিতালের ক্ষেত্রে যেমন 16, কারুর ক্ষেত্রে 14,12,7 ইত্যাদি) ঘুরে যখন সেই শুরুর মাত্রায় এসে একটা আবর্তন কমপ্লিট করে, তখন তাকে সম বলে গোদা বাংলায় বোঝাতে গেলে বলতে হয় একদম মাপে-মাপ, খাপে-খাপসম, বিষম, অনাগত, অতীত এমনি চারটি গ্রহ(যেখান থেকে সংগীতের আরম্ভ হয়)-র মধ্যে সমহল তাই, যেখানে আদি ও অন্তের মধ্যে সাযুজ্য থাকতেই হবেবিষমহল আদি-অন্তে অনিয়ম হতেই হবে আর অতীত’, ‘অনাগত’- হল এমনই আরো কিছু, যা না জানলেও কবিতা বোঝার অসুবিধে হবে না শিক্ষার শুরুতেই তাল শিখতে হয় ও সেই সঙ্গে আসে সম সম হারানো সাঁঝমানে তাই সাযুজ্য-হীন, মিল-বিহীন, মাত্রাছাড়া কষ্টদায়ক যাত্রাপথের সন্ধ্যাকাল


2 comments:

nilakash said...

ইসসসসসসসসসস্ ডাঁটিয়াল-এর কি দশা। মন্তব্য কই, পাঠক কই? তোমার লেখাটা পড়ে আমার নিজের একটা লেখা এখানে রাখতে ইচ্ছে করছে। এটা অনুষ্টুপ-এ প্রকাশিত। দেখি>>> বসে বসে বাংলা টাইপ করতে আমার ঘ্যানর ঘ্যানর লাগে।

আল ইমরান said...

মারাত্মক সুন্দর একটা কবিতা পড়লাম দিদি।
শুভকামনা রইল অবিরত।